এই পুরস্কার শুধুই রোনালদোর!
গত এক দশক ধরেই বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন তিনি। ফিফা আর ইউরোপের বর্ষসেরার দৌড়েও তারই দাপট দেখা গেছে। তবে লিওনেল মেসি সমান তালেই লড়েছেন তার সঙ্গে। কিন্তু পর্তুগালের বর্ষসেরা পুরস্কারটি যেন শুধুই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। এই স্বীকৃতি নিজের বানিয়ে ফেললেন দেশটির কিংবদন্তি এই ফুটবলার।
রেকর্ড দশমবারের মতো পর্তুগালের বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
পর্তুগিজ অধিনায়কের দাপটের গল্পটা শুরু সেই ২০০৭ সালে। এরপর মাঝে দু'বার শুধু নিজ দেশের সেরা ফুটবলার হতে পারেন নি তিনি। সিআর-সেভেনকে কোণঠাসা করে ২০১০ ও ২০১৪ সালে বর্ষসেরা হয়েছিলেন যথাক্রমে সিমাও ও পেপে। তারপর থেকে সেই একই চেনা গল্প!
এরমধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে এখন জুভেন্টাসের হয়ে খেলছেন রোনালদো। কিন্তু সাফল্যের ধারাবাহিকতা ঠিকই ধরে রেখেছেন তিনি। প্রথম মৌসুমেই জিতেছেন সিরি এ শিরোপা। বয়স ৩৩ পেরিয়ে গেলেও বল পায়ে ম্যাজিক কমেনি এই প্লেমেকারের। তার পথ ধরেই এবারও পর্তুগালের সেরা ফুটবলার হলেন তিনি।
এবারের লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের জোয়াও ফেলিক্স ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বানার্দো সিলভা। তাদের পরিষ্কার ব্যবধানে পেছনে ফেলে বর্ষসেরা হলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক।
বিশ্বের ইতিহাসে এমন কোনো ফুটবলার নেই যে দশবার দেশের সর্বোচ্চ এই পুরস্কার পেয়েছেন। মেসির হাতে উঠেছে মাত্র ৫ বার বর্ষসেরার পুরস্কার।
দিন কয়েক আগেই উয়েফার বর্ষসেরার পুরস্কারটা একটুর জন্য পাওয়া হয়নি রোনালদোর। যেখানে তাকে ও বার্সেলোনার মহাতারকা লিওনেল মেসিকে পেছনে ফেলে সেরা হয়েছেন লিভারপুলের ভার্জিল ভ্যান ডাইক।
তবে ফিফার বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়েও আছেন রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার সঙ্গে আছেন মেসি ও ইউরোপসেরা ডাইক। কে সেরা তার উত্তর মিলবে আসছে ২৩ সেপ্টেম্বর!