হাতুড়েসিংহের কাছে ফেরা আর ‘হাতুড়ে চিকিৎসা’ একই কথা!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বিসিবি’র উৎসাহী একটা অংশ কোচ হিসেবে চাইছে হাতুড়েসিংহেকে

বিসিবি’র উৎসাহী একটা অংশ কোচ হিসেবে চাইছে হাতুড়েসিংহেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ কোচের পদের চাকরির জন্য কোনো দরখাস্ত করেননি চন্ডিকা হাতুড়েসিংহে। আবেদন পত্র জমা দেয়ার তারিখ অনেক আগেই শেষ। এমনকি হাতুড়েসিংহে ব্যাক ডেটেও কোনো দরখাস্ত জমা দেননি।

কিন্তু তারপরও বিসিবি’র উৎসাহী একটা অংশ তাকে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের কোচ হিসেবে পেতে আগ্রহী!

তাও যেনতেন ভাবে আগ্রহী নয়, একেবারে নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকা থেকে কলম্বোতে হাতুড়েসিংহের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। আলোচনা প্রথম ধাপ এর মধ্যেই শেষ!

অথচ বিসিবির টেবিলে এখনো কিন্তু হাতুড়েসিংহের চেয়েও হাইপ্রোফাইল কোচের দরখাস্ত জমা পড়েছে। এদের বায়োডাটা এবং কোচিং ক্যারিয়ারের সাফল্য জানাচ্ছে হাতুড়েসিংহে এদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।

কিন্তু ‘টেন্ডারে’ অংশ না নেয়া হাতুড়েসিংহেকেই আবার বাংলাদেশ কোচের কাজটা দেয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে বিসিবির একটা অংশ।
 
প্রশ্ন হলো- কোচ হাতুড়েসিংহের কাছে বিসিবি কি এমন যাদুমন্ত্র দেখতে পেয়েছিলো যে তাকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য তার কাছেই উল্টো দরখাস্ত ঠুকতে হবে?

একটা বড় অভিযোগ কারণ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে, আর তা হলো কমিশন বাণিজ্য! মোটা বেতনে তাকে বাংলাদেশ কোচের চাকরিটা দিতে পারলে তার এজেন্টের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন মিলবে!

আর তাই উপযাজক হয়ে তাকে কোচের পদে ফেরানোর এমন নিয়ম ভেঙ্গে উঠে পড়ে লাগা! পরীক্ষার ফর্মই যিনি কিনেননি, তাকে পরীক্ষায় প্রথম করিয়ে দেয়ার দু’নম্বরি চিন্তা!
 
কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাতুড়েসিংহে এমন আহামরি কিছুই ছিলেন না। মূলত বাংলাদেশে কোচ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তার নামটা কোচদের তালিকায় একটু আলাদা ভাবে উচ্চারিত হতে শুরু করে। এটা ঠিক যে তার কোচিং কালে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল বেশ ভালো সাফল্য পায়। তবে তাতে কোচ হিসেবে তার যতখানি না ভূমিকা তারচেয়ে বেশি এই সাফল্যের পেছনে ছিলো বাংলাদেশের সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স। সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ এবং মাশরাফির সেরা সময় তিনি বাংলাদেশ কোচের দায়িত্ব পান।

কোচ মাঠের বাইরে দলের পরিকল্পনা ঠিক করে দেন। কিন্তু মাঠে তো ক্রিকেটারদেরই পারফরম্যান্স করতে হয়। ড্রেসিংরুম বা ল্যাপটপের পাশে বসা কোচ কোনো ক্রিকেট ম্যাচ জেতায় না। ম্যাচ জেতায় ২২ গজের ক্রিকেটাররা।

এই হিসেবটাই বুঝতে না পেরে হাতুড়েসিংহের জমানায় আসা সাফল্যকে বিসিবি পুরোটাই ‘কোচের কৃতিত্ব’ভাবতে শুরু করে দেয়। আর তাই তাকে এতো বেশি ক্ষমতায়ান করা হয় যা তাকে কোচ নয়, স্বৈরশাসকেই পরিণত করে।

এক সময় তিনি নির্বাচকদের পাত্তা না দেয়া শুরু করেন। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধুমাত্র তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি চারজনের সঙ্গেই তিনি ঝগড়া বাঁধিয়ে বসেন।

বিস্তারিত উদাহরণ দিলে এই রিপোর্টের আকার প্রবন্ধ হয়ে যাবে!

মাশরাফিকে টি-টুয়েন্টিতে তিনি শুধু অধিনায়ক না, দলেই রাখতে চাননি। বোর্ডকেও সেই ফতোয়া গেলান হাতুড়েসিংহে। আর তাই হঠাৎ একরাতের সিদ্ধান্তে মাশরাফি টি-টুয়েন্টি থেকে সরে দাড়ান।

কোচিংয়ের শেষ অ্যাসাইনমেন্টে ২০১৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক রহিমের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলেন কোচ হাতুড়েসিংহে। মাঠের ফিল্ডিং পজিশন কি হবে সেটা ড্রেসিংরুম থেকে কোচ ঠিক করে দিতেন। অধিনায়ক যেন পুতুল শুধু! মুশফিককে তিনি ফিল্ডিং করতে পাঠান বাউন্ডারি লাইনে। অধিনায়ক হিসেবে সেটাই ছিলো মুশফিক রহিমের শেষ সিরিজ।

সাকিব আল হাসান তিন নম্বরে ব্যাট করুন এটা কখনোই চাননি তিনি, এই পজিশনে বারবার সাব্বিরকে প্রমোট করতে চেয়েছেন হাতুড়েসিংহে। তিনে ফিরার জন্য সাকিবকে তার চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর তিনে ফিরে যেন নিজেকেও ফিরে পেলেন সাকিব, বিশ্বকাপে যার ফল পেয়েছে বাংলাদেশ।
 
মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ের মধ্যে কোচ হাতুড়েসিংহে এত বেশি খুঁত খুঁজে পেয়েছিলেন যে তাকে তিনি টেস্ট দল থেকে একসময় বাদ দেন। একজন ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ে ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। কোচের কাজই সেটা শুধরে দেয়া। কিন্তু হাতুড়েসিংহে সেটা না করে মুমিনুলকে বাদ দেয়ার মধ্যে সমাধান খুঁজলেন। তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করার জন্য যা করার সবাই করলেন।

সেই মুমিনুল হক জবাবটা ঠিকই দিলেন ব্যাট দিয়ে। শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন হাতুড়েসিংহে। সেই সফরে প্রথম টেস্টেই মুমিনুল উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জানিয়ে দিলেন তাকে নিয়ে অবিচার করেছিলেন হাতুড়েসিংহে।

ঘরোয়া ক্রিকেটের একটা ম্যাচও না দেখতেন না তিনি। অথচ তিনি নির্বাচক প্যানেলের সবচেয়ে প্রভাবশালী কর্তা! চরম স্বেচ্ছাচারিতার উদাহরণ তৈরি করেন কোচ হাতুড়েসিংহে। বিসিবি সভাপতি ছাড়া বোর্ডেরও কাউকে তেমন পাত্তা দিতেন না কোচ। অথচ তিনি ছিলেন বোর্ডের একজন চাকুরে! পুরো ড্রেসিংরুমে দমবদ্ধ করা একটা পরিবেশের উদ্ভব হয় তার সময়ে। চোখ গরম হেডমাষ্টারের পদবী জুটে হাতুড়েসিংহের নামের পাশে।

বিশ্বকাপের আগেভাগে হঠাৎ করেই চাকরি ছেড়ে শ্রীলঙ্কায় নিজ দেশের কোচের পদে ফিরে যান হাতুড়েসিংহে। আকস্মিকভাবে তার এই চলে যাওয়ায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ পরিকল্পনা সঙ্কটে পড়ে। কিন্তু মেয়াদ পুরো না করে পেশাদারিত্বের গল্প ফেঁদে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে হাতুড়েসিংহে চলে যান।

শ্রীলঙ্কায়ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার বিবাদ লেগেই ছিলো। তার সময়ে তিনজন অধিনায়ককে বদল করেন তিনি। চান্দিমাল-ম্যাথুস-মালিঙ্গা, কোনো সিনিয়রের সঙ্গে তার বনিবনা হয়নি। অবস্থা এমন দাঁড়ায় বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে। চার বছর পর দলে ফিরিয়ে এনে দিমুথ করুনারত্নেকে অধিনায়ক করতে হয়। শ্রীলঙ্কায় কোচ হিসেবে ব্যর্থ হাতুড়েসিংহে এখন চাকরিহারা হয়ে বিপদে।

কোচ হিসেবে হাতুড়েসিংহে আসলে সমাধান নয়, উল্টো সমস্যার অন্য নাম।

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮১ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

পিছিয়ে পড়েও আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;