ইংল্যান্ডের কোচের দৌড়ে কারস্টেন-আর্থার
ইংল্যান্ডকে আরাধ্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছেন। তাতে কী? কোচ ট্রেভর বেলিসের কথার নড়চড় হয়নি। চলতি গ্রীষ্ম শেষেই ইংল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কটা পুরোপুরি চুকিয়ে ফেলছেন। যোগ দিতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসানের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদে।
বেলিসের বিদায় আসন্ন সে তো বোঝাই গেল। তাহলে ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ হচ্ছেন কে? অ্যাশেজ সিরিজের উত্তেজনার মাঝে এনিয়েই এখন শুরু হয়েছে যত জল্পনা-কল্পনা।
বেলিসের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যে কয়জন হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে আছেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার। যিনি কোচ হিসেবে কাজ করেছেন নিজের জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। আর্থার যে ইংল্যান্ডের কোচ হতে ইচ্ছুক সেটা জানা গেছে জুলাইতেই।
আর্থারের প্রতি ইংল্যান্ডের আগ্রহের কারণ দেশটির মাটিতে তিনি বরাবরই সফল। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০০৮ জেতেন টেস্ট সিরিজ। আর ২০১৭ সালে পাকিস্তানকে এনে দেন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডও চাকরিটা পেতে আগ্রহী। তার সঙ্গে প্রার্থী হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ওটিস গিবসন ও ২০১১ সালে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা কোচ গ্যারি কারস্টেনও।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান গিবসন ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে দুই বার দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালের শেষ দিকে দায়িত্ব নেন প্রোটিয়াদের। একে তো তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। তারওপর তিনি বসবাস করেন ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডের কোচের চাকরি তার কাছে লোভনীয়ই বটে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার কারস্টেন এখন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
ইংল্যান্ডের বর্তমান সহকারী কোচ ক্রিস সিলবারউড, পল কলিংউড ও গ্রাহাম থর্পও লড়তে পারেন কোচ হওয়ার দৌড়ে।
ইংল্যান্ড ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট অ্যাশলে জাইলস এর আগে স্বদেশী কাউকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি তার মত পাল্টে ফেলেছেন। এখন সেরা কাউকেই বেছে নিতে চান।