তামিম ইকবাল এক দুঃখী অধিনায়ক‌



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর,কম
এমন হতাশ তামিমেরই দেখা মিলল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে

এমন হতাশ তামিমেরই দেখা মিলল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা জটিলতা থেকে অন্তত মুক্তি পেলেন তামিম ইকবাল। বেশ লম্বা সময় পরে এই প্রথম ‘বোল্ড’ হওয়া থেকে বাঁচলেন! পেছনের ৬ ম্যাচে বোল্ড হয়েছিলেন। সপ্তম ম্যাচে এসে ক্যাচ আউট হলেন।

তবে পুরানো একটা জটিলতা ঠিকই রয়ে গেলো। ইনিংস গুছিয়ে শুরু করার আগেই আরেকবার আউট। শ্রীলঙ্কায় অধিনায়ক তামিম ইকবালের সিরিজটা শুরু হয়েছিলো শূন্য দিয়ে। শেষ হলো ২ রান দিয়ে। মাঝের ওয়ানডেতে ফিরেছিলেন ১৯ রানে।

তিন ম্যাচে ২১ রান। গড় ৭। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই হার। পারলে কলম্বোর এই তিন ম্যাচের সিরিজকে শক্ত রাবার দিয়ে ঘসে ঘসে ক্যারিয়ার রেকর্ড থেকে মুছে ফেলতে চাইবেন তামিম।

সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে এই সিরিজে কোনো কিছুই তামিমের পক্ষে যায়নি। না ভাগ্য। না ক্রিকেটীয় পরিস্থিতি। অধিনায়ক হিসেবেও মাঠে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি-যা নিয়ে আলাদা কোনো আলোচনা হতে পারে। বরং সমালোচনা হতে পারে-এমন অনেককিছুই রেখে গেলো তার জন্য তিন ম্যাচের এই সিরিজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564583031458.png

 সিরিজ জুড়ে টিভি ক্যামেরা যতবারই তামিম ইকবালকে ক্লোজশটে ধরেছে, প্রায় প্রতিটিতেই একই অনুভুতি ও অনুভবের তামিমকে দেখা গেছে-‘চরম দুঃখী দুঃখী চেহারা!’

হতাশায় কাতর। টেনশনে গালে হাত। আশা ভঙ্গের বেদনায় চোখ ঢেকে ফেলা। কপাল চাপড়ানো। শূন্য দৃষ্টিতে ভরা দু’চোখ। সমস্যার চোরাবালিতে ভারে ক্রমশ যেন নিমজ্জিত মানুষের অসহায়ত্ব তার পুরো অবয়ব জুড়ে।

যে দুঃখী ভঙ্গি নিয়েই সিরিজ শুরু। ভেঙ্গে নুয়ে পড়া সেই অভিব্যক্তি নিয়েই ব্যাট হাতে তামিমের সিরিজ শেষ!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564583088173.png

পুরো সিরিজে তামিম কখন হেসেছেন, ঠিক মনে পড়ছে না। সংবাদ সম্মেলনে মুখে হালকা হাসি ধরে রেখেছিলেন। তবে সেই হাসিতে আনন্দের চেয়ে কস্টের যন্ত্রনা ভোলার আবহ যে বেশি স্পষ্ঠ!

মাত্র এক সিরিজ অথবা তিন ম্যাচ দেখেই যে কোনো বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় না। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত অধিনায়কত্ব কারো জন্য আনন্দের। কখনো বা কারোর জন্য বাড়তি বোঝা!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564583131113.png

শ্রীলঙ্কায় এই সিরিজ থেকে হারের সঙ্গে এই শিক্ষা নিয়েও ফিরছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের মাত্র অর্ধেক সময়ে দল যখন সঙ্কটে তখন স্বয়ং অধিনায়কই যদি মুষড়ে পড়েন। হতাশায় কপাল চাপড়ান। তখন সেই ম্যাচের ফল জানতে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার আর প্রয়োজন পড়ে না।  

তামিম ইকবাল এই সিরিজে ব্যাট হাতে আরো অনেকের মতোই ব্যর্থ। কিন্তু ব্যাটসম্যান তামিমের সেই ব্যর্থতার চেয়ে বড় সঙ্কট অধিনায়ক হিসেবে গোটা সময় তার দুঃখী এবং সর্বস্ব হারানোর বেদনার প্রকাশ!

অধিনায়কই যদি হেরে যায়, দল জিতবে কিভাবে?

   

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ শাইনপুকুরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের। দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শাইনপুকুর। জিসান আলম ও অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৬৪ রান।

দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পোড়েন শাইনপুকুর ওপেনার জিসান আলম। তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তাকে থামতে হয় ৯৮ রানে। ৬৪ রান আসে আকবর আলির ব্যাটে।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইবুর।

২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।

;

বিশ্বকাপে ‘ভালো কিছুর সম্ভাবনা’ দেখছেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ কেমন করবে সেটার জবাব আপাতত সময়ের কাছে তোলা। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক মাস আগেই খুব বেশি প্রত্যাশা বা মাতামাতি করতে নিষেধ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে অবশ্য অন্য সুর শোনা গেল।

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলে বিশ্বাস সাকিবের। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন না দেখালেও অন্তত সমর্থকদের আনন্দ করার মতো কিছু উপলক্ষ্য এনে দিতে চান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে।’

সেজন্য সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখার বার্তা সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্রে  এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।’

গত বছর ভারতে বিশ্বকাপের পর চোখ ও আঙুলের চোট নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে সাকিবকে। দীর্ঘ বিরতি শেষ গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরেছিলেন সাকিব। এর মাঝে অবশ্য দেশের দুই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল এবং ডিপিএলে কিছু ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজেও খেলতে চান সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

;

শান্তর সেঞ্চুরিতে শিরোপার আরও কাছে আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেল আবাহনী লিমিটেড। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৭১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে আবাহনী। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস সমান ৩৩ রানে ফেরেন। তিনে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৪ বলে ৮ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০১ রান আসে তার ব্যাটে।

চার এবং পাঁচে নেমে ফিফটি করেন এনামুল হক বিজয় ও তাওহিদ হৃদয়। দ্রুতলয়ে ব্যাট চালিয়ে ৬৮ রান করেন এনামুল, হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। শেষদিকে ১৭ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান করে আবাহনী।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ পারভেজ জীবন।

জবাব দিতে গাজী গ্রুপ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটার সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আবাহনীর রানপাহাড় টপকানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না। অন্য ব্যাটারদের গড়পড়তা পারফরম্যান্স ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী।

আবাহনীর পক্ষে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। দুটি করে উইকেট যায় তানজিম হাসান সাকিব ও সৈকতের ঝুলিতে।

প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচের সবকটিতে জয় পায় আবাহনী, এখন সুপার লিগেও দুই ম্যাচ জিতে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা।

 

;