অন্যের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই, নিজের খেলা খেলতে হবে-মাশরাফি
সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানকে হারানোর পর থেকে প্রায় সবাই একটা হিসেবের খাতা খুলে বসেন। সেই খাতার মলাটে শিরোনাম লেখা - সেমিফাইনাল সমীকরণ!
কি করলে কি হতে পারে? অমুক হারলে বাংলাদেশের লাভ। অমুকে জিতলে বাংলাদেশের সমস্যা। আহা ঐ দল যদি অমুককে হারায়, সেই অপেক্ষায় বাংলাদেশ-এমনতর হিসাব নিকাশ এবং পথ চেয়ে বসে থাকার শুরু!
তবে এই চিন্তার জ্বরে নেই বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার কাছে সেমিফাইনালের হিসেবটা এমন-আগে নিজেদের দুই ম্যাচ জিততে হবে। তারপর অন্য কোনোকিছুর অপেক্ষা। মাশরাফি জানেন-এই দুই ম্যাচের একটা হারলেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ। আর সেই দুই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত। ম্যাচ ২ জুলাই, মঙ্গলবার এজবাস্টনে।
সোজা কথা এই ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য একঅর্থে নকআউট ম্যাচ। তাই অনেক দুরের হিসেব বাদ দিয়ে শুধুমাত্র এই ম্যাচের সমাধানই খুঁজছেন এখন মাশরাফি-‘দেখুন, অন্যের দিকে তাকিয়ে তো লাভ নেই। নিজেদের ভালো খেলা খেলেই আমাদের সামনে বাড়তে হবে। আমরা এখানে তিনটি ম্যাচ জিতে এসেছি। একটা ম্যাচ বৃষ্টিতে বাতিল হয়েছে, সেখান থেকে এক পয়েন্ট পেয়েছি। পেছনের জয়ী ম্যাচগুলোতে যেভাবে খেলেছি আমরা, তেমন ক্রিকেট খেললেই ভারতের বিরুদ্ধেও জিততে পারবো। জানি যে হারলেই আমাদের বিশ্বকাপ শেষ। ব্যাপারটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই নিচ্ছি। কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতেই ভালবাসি। সামনে বাড়তে হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ জিতেই এগিয়ে চলা উচিত।’
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই এখন বাড়তি উত্তেজনা। সাম্প্রতিক সময়ের ক্রিকেটে ভারতকে যদিও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে মুখোমুখি হওয়া প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই লড়াই হয়েছে দারুণ। শেষ বলে এসে জিতেছে ভারত। বিশ্বকাপে টিকে থাকা নয়তো ছিটকে পড়ার বাংলাদেশের কঠিন সমীকরণের এই ম্যাচের আগে মাশরাফি তার দলকে কিভাবে উজ্জ্বীবিত করছেন?
অধিনায়ক বললেন-‘ধীরস্থির ও শান্ত থাকাটাই জরুরি বেশি। বেশ উত্তেজনায় ভুগলে ধীরস্থির থাকা যায় না। মাঠের কাজ ঠিক মতো করতে হলে শান্ত থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। স্নায়ুর চাপ থাকবেই। তবে সেই চাপ নিয়ন্ত্রনও করতে হবে। বাইরের চাপ থেকে দুরে থাকাটাই শ্রেয়।’
-বাইরের চাপ?
ফেসবুক, স্যোসাল মিডিয়া!