ধোনি ভক্তদের তোপে শচীন টেন্ডুলকার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ধোনিকে নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে শচীন

ধোনিকে নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে শচীন

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় ক্রিকেটে বরাবরই আলাদা সম্মান পেয়ে থাকেন তিনি। সবারই প্রিয় আর শ্রদ্ধার ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরও ধরে রেখেছিলেন নিজের ইমেজ। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে বিশ্লেষক হতে গিয়ে অনেক অপ্রিয় কথাই বলতে হচ্ছে তাকে। এজন্য অপ্রীতিকর ঘটনারও মুখোমুখি হচ্ছেন শচীন!

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১ রানের জয়ে ম্যাচে ধীর গতিতে ব্যাট করেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। এজন্য শচীন বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১ রানের জয়ে ম্যাচে খেলার কোনো ইতিবাচক ইচ্ছাই ছিল না ভারতীয় ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে মহেন্দ্র সিং ধোনি (৫২ বলে ২৮ রান) ও কেদার যাদবের (৬৮ বলে ৫২ রান)। তাদের ৫৭ রানের কচ্ছপ গতির পার্টনারশিপই তার প্রমাণ।’

এই মন্তব্য করেই চাপে আছেন সাবেক এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। লিটল মাস্টারের এ মন্তব্য মেনে নিতে পারেনি ধোনি ভক্তরা। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা। কোনো ছাড় না দিয়ে রীতিমতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে চেপে ধরেছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে যাচ্ছেন তার কড়া জবাব। এমনকি ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বরকে উত্যক্ত করে যাচ্ছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ধোনির সমর্থকরা।

ধোনি ও যাদবের প্রতি অসন্তুষ্টি জানিয়ে শচীন বলে ছিলেন, ‘আমি খানিকটা হতাশ। পারফরম্যান্সটা আরো ভালো হতে পারত। ধোনি ও যাদবের জুটি নিয়ে মোটেই খুশী নই। কচ্ছপ গতিতে খেলেছে তারা। ৩৪ ওভারই আমরা স্পিন বল মোকাবেলা করেছি। কিন্তু স্কোর দাঁড়িয়ে মাত্র ১১৯ রান। এখানটায় আমরা মোটেই তৃপ্ত নই। খেলার ইতিবাচক কোনো অভিপ্রায়ই তাদের ছিল না।’

এ অবস্থায় ক্যারিয়ারের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক ক্রিকেট অনুরাগী ধোনির সঙ্গে তুলনা করেছে শচীনের। একজন তো শচীন ও ধোনির বায়োপিক নিয়েই তুলনা টেনেছেন। টুইঙ্কেলিং সানিয়া নামের একজন তো টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার কাছে ধোনি ও শচীন সমান। মানুন নয়তো মরুণ।’

এক অন্ধ ভক্ত দর্শক ভরা গ্যালারির ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘দর্শক দেখছে এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি।’ পাশে পুরো গ্যালারিতে মাত্র একজন বসে আছেন। এমন ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘দর্শক দেখছেন, শচীন: এ বিলিয়ন ড্রিমস।’ নির্মল নামের আরেক জন্য টুইট করেছেন, ‘এই মানুষটি (ধোনি) আপনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। যা আপনি পুরো ক্যারিয়ারে জিততে পারেননি।’

যদিও ২০১৯ বিশ্বকাপে এখনো নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি ধোনি। খেলেছেন মাত্র ২৮, ১, ২৭ ও ৩৪ রানের ইনিংস।

   

নাহিদের ৫ উইকেটের দিনে মোহামেডানের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে শাইনপুকুরের কাছে ডিএলএস মেথডে ৬ উইকেটে হেরে গেছে মোহামেডান। ৫ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরকে জয় এনে দিয়েছেন তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। ওপেনার ইমরুল কায়েস ফিফটি পেলেও টপ এবং মিডল অর্ডারের অন্য ব্যাটাররা তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ৫৬ রান করে ইমরুল থেমেছেন হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়ে।

মোহামেডানের টপ এবং মিডল অর্ডার একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নাহিদ রানা। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৫ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার।

লোয়ার অর্ডারে আবু হায়দার রনির ৫৫ বলে ৫১ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে দুইশ ছাড়ায় মোহামেডানের সংগ্রহ। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে সাদাকালোরা।

রান তাড়ায় শাইনপুকুরকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং জিসান আলম। ৩৬ বলে সমান ৩৬ রান করেন তানজিদ, ১৫ বলে ১ চার এবং ৩ ছক্কায় ২৬ রান আসে জিসানের ব্যাটে।

শাইনপুকুরের ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি হানা দিলে তাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ৩০ ওভারে লক্ষ্য নেমে আসে ১৫৮ রানে।

অধিনায়ক আকবর আলির ২০ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদ।

ডিপিএলের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচ শেষে মোহামেডান এবং শাইনপুকুরের পয়েন্ট সমান ১৪। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে শাইনপুকুর, চার মোহামেডান।

;

ভারতের বিপক্ষে মেয়েদের দলে দুই পরিবর্তন



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। আগামী ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশে পা রাখবে তারা। এই সিরিজের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে ভারত। এবার বাংলাদেশও সিরিজকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল চূড়ান্ত করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফারজানা আক্তার লিসা এবং সুমাইয়া আক্তার দলে তাদের জায়গা হারিয়েছেন। তাদের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন রুবয়া হায়দার ঝিলিক ও ১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবা ইসলাম পিংকি।

২৮ এপ্রিল মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ এপ্রিল, ২ মে, ৬ মে ও ৯ মে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল

নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুশতারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, রাবেয়া, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, রুবয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি

স্ট্যান্ডবাই: সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি

;

হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান রঙ্গনা হেরাথের উত্তরসূরি পাকিস্তান থেকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল বড় রদবদল হয়েছে। হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সহকারী কোচ নিক পোথাস বাদে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যরা তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষের পর দায়িত্ব ছাড়েন। শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার হেরাথও তখন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

পরে অবশ্য হেরাথকে ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। বছরে ২০০ দিন কাজের অভিনব এক প্রস্তাবও দিয়েছিল। তবে হেরাথ তাতে সাড়া দেননি। যার ফলে নতুন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজতে হয় বিসিবিকে। মুশতাক আহমেদকে নিয়োগের মধ্যে সে খোঁজাখুঁজির কাজ শেষ হল।

মুশতাক আহমেদের খেলোয়াড়ি জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪০০’র বেশি উইকেট রয়েছে এই ঘূর্ণিবাজের।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী হন মুশতাক। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন, ২০১৪ পর্যন্ত সে পদে ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও কাজ করেছেন। আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

;

সহজ জয়ে ফেড কাপের সেমিতে বসুন্ধরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। যে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আগের ১২ সাক্ষাতে কোনো হার নেই, তাদের মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ কী! সহজ কাজটা সহজেই সেরেছে কিংস। দুই অর্ধের দুই গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই ছিল বসুন্ধরার দাপট। ২৪ মিনিটে সে দাপটের পুরস্কারও পেয়ে যায় তারা। ২৪ মিনিটে রবসনের লে অফে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন সোহেল রানা। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।

বিরতির পর টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে সে সুযোগ হেলায় হারান রহমতগঞ্জের এই ফুটবলার।

সুযোগ নষ্টের মূল্য দ্বিতীয় গোল হজম করে চুকাতে হয় রহমতগঞ্জকে। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপে বোকা বনেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট পায় বসুন্ধরা।

;