ভারতের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ-আশ্বাস সাকিবের



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, সাউদাম্পটন, ইংল্যান্ড থেকে
বাকী দুই ম্যাচেও ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চান সাকিব-মুশফিকরা

বাকী দুই ম্যাচেও ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চান সাকিব-মুশফিকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি রান তার। এই বিশ্বকাপের সেরা বোলিং ফিগার তার। এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি তিনবার ম্যাচ সেরা তিনি। বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তিনি। বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেটও তার। তাকে নতুন করে চেনানোর নেই। তার পারফরমেন্সেই তাকে নিয়ে গর্বিত ক্রিকেট বিশ্ব। সাকিব আল হাসান ধারাবাহিকভাবে বিস্মিত করে চলেছেন এবারের বিশ্বকাপকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী পারফরমেন্সের পর সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন তারই এক ঝলক এখানে-

২৬২ রানের পর কি দল চাপে ছিলো। আফগানিস্তান তো বিপদজনক দল?

# সত্যি বলতে কি, স্কোরবোর্ডে আমাদের জমাটা এই উইকেটের জন্য যথেস্ট ছিলো। এটা ৩০০ বা ৩৫০ রানের উইকেট ছিলো না। আর তাই আমরা সেই রানের জন্য চেষ্টাও করিনি। জানতাম তাদের তিনজন ভালো স্পিনার আছে। এই উইকেটে তাদের ভালোমতো খেলতে হবে। আমাদের ব্যাটিং তো আমার মনে হয় ভালোই হয়েছে। ২৬২ রানের স্কোরও সেটাই জানাচ্ছে। এই উইকেটে আমরা যে রান চাচ্ছিলাম তারচেয়ে ২০ বা ২৫ রানের মতো বেশি পেয়েছি। সেটা আমাদের জন্য বোনাস হিসেবে কাজে লেগেছে। আফগানিস্তানকে গুটিয়ে দিতে সেটা আমাদের অনেক কাজে লেগেছে। উইকেট মোটেও সহজ ছিলো না। এখানে ডটবলের সংখ্যা বাড়ালেই ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখা যায়। আমরা ঠিক সেটাই করেছি।

এই ম্যাচে টস কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো?

টসে জিতে তারা ফিল্ডিং বেছে নিলো। আমরা কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্তে একটু অবাকই হয়েছি। আগে এই উইকেটে খেলা হয়েছে। তাই ব্যবহৃত একটা উইকেটে টসে জিতে তারা ফিল্ডিং নিলো-এতে আমরা অবাকই হয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিলো এই উইকেটে অবশ্যই আগে ব্যাটিং করা। তবে আফগানিস্তানের হয়তো গেম প্ল্যানটা অন্যরকম ছিলো। কখনো কেউ আগে ব্যাট করতে পছন্দ করে। আবার কারো রান তাড়া করা পছন্দ। ম্যাচে খেলতে নামার আগে আমরা ফল নিয়ে নিশ্চিত হই না। আফগানিস্তান বিপদজনক দল, জানতাম আমরা। বেশ ভালো দল। জিততে হলো মাঠে আমাদের কাজটা ঠিকভাবে করতে হবে-এই চিন্তা নিয়েই মাঠে নামি আমরা। এই ম্যাচে নিজেদের পুরো শতভাগ আমরা দিতে পেরেছি। তাই জিতেছি।

এটা আপনার চতুর্থ বিশ্বকাপ। আর নিঃসন্দেহে সেরা পারফরমেন্স। কেমন লাগে এতো দুর্দান্ত পারফরমেন্স?

অবশ্যই বিষয়টা সন্তুষ্ঠির। আমার এবং দলের দিক থেকে একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি ভালো করতে পারছি। এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট ভালো যাচ্ছে। এখনো গ্রæপ পর্যায়ের দুটো ম্যাচ বাকি। আশা করছি সেখানেও ভালো কিছু হবে। প্রথমেই আমাদের খেলতে হবে ভারতের বিপক্ষে। তারা সেরা দল। ভারত এই টুর্নামেন্টের শিরোপা প্রত্যাশী দল। তাদের বিপক্ষে ম্যাচটা সহজ হবে না। তবে জানিয়ে রাখছি, ভারতের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ।

২০০৭ সালে তো ভারতকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই অভিজ্ঞতাও দারুণ নিশ্চয়ই?

 দেখুন পেছনের ম্যাচ বা অভিজ্ঞতা হয়তো কিছুটা সহায়তা করতে পারে। তবে সেটাই সবকিছু না। ভারতকে হারাতে হলে মাঠে আমাদেরকে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। ভারতীয় দলে অনেক দক্ষ ক্রিকেটার আছে যারা একাই ম্যাচের চেহারা বদলে দিতে পারে। তবে যা বললাম- সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। আমার বিশ্বাস সেই যোগ্যতা আছে আমাদের।

নিজেকে প্রমাণ করার কিছু ছিলো কি এই বিশ্বকাপে?

আমি এই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিটা খুব ভালো নিয়েছি। আর হ্যাঁ, কখনোই ভাবি না, নিজেকে প্রমাণের কিছু আছে! বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতির জন্য আমি যা যা করতে চেয়েছিলাম, ভাগ্য ভালো যে সেসব কিছুই আমি করতে পেরেছি।

এই পারফরমেন্সকে নিজের ক্যারিয়ারের কোন স্থানে রাখবেন?

আমি জানি না। আমি কখনো নিজের পারফরমেন্সের তুল্যমুল্য নিয়ে বিচার বিবোচনা করি না। তবে দলের জন্য ব্যাটে-বলে অবদান রাখতে পারলে বেশ তৃপ্তি পাই। অলরাউন্ড পারফরমেন্স দেখাতে পারলে তাতে আমি বেশি সন্তুষ্ঠি পাই। সেই বিবেচনায় আজকের এই পারফরমেন্স নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট।

 সেমিফাইনালের সম্ভাবনা এখন কতো কাছে বা কতো দুরের?

ইংল্যান্ডের এখনো তিনটি ম্যাচ বাকি আছে। সেমিতে খেলতে হলে তাদের এই তিন ম্যাচের একটি জিতলেই চলবে। আমাদের ম্যাচ বাকি দুটো। এই দুটো ম্যাচই আমাদের জিততে হবে। অংকের হিসেবে আমাদের কাজটা বেশি কঠিন। তবে ঐ যে বলে না, ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই সম্ভব। জানি সেমিফাইনাল আমাদের জন্য এখনো অনেক কঠিন। তবে একটা বিশ্বাস পুরো দলের মধ্যে আছে, সামনের দুই ম্যাচ আমরা ভালো খেলতে পারলে ভালো ফল নিয়ে ফিরতে পারবো। এখন এই মূহূর্তে আমরা এটুকুই করতে পারি।

   

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

পিছিয়ে পড়েও আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;

‘অদ্ভুত’ কারণে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টাইন গোলকিপার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যখন টাইব্রেকার বীরত্বে প্রশংসিত হচ্ছেন, ঠিক তখনই তার স্বদেশী আরেক গোলকিপার পড়েছেন বড় নিষেধাজ্ঞার খড়গে। তার নাম নাহুয়েল গুজমান। খেলেন মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস অব নুভো লিওনে।

হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে গুজমানের। তাই দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু মাঠের বাইরে থেকেও বড় শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাকে। মেক্সিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে মন্টেরির বিপক্ষে তার দলের ম্যাচ চলাকালের স্ট্যান্ড থেকে বিপক্ষে দলের গোলরক্ষকের দিকে লেজার লাইট তাক করার দায়ে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী গুজমানকে।

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গুজমানের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে লিগা এমএক্স কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার সেই ম্যাচটির প্রথমার্ধে মন্টেরি গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য ফুটবলারের দিকেও লেজার লাইট মারেন গুজমান। পরে মন্টেরির স্পোর্টস প্রেসিডেন্ট এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তার কাছ কাছ থেকে লেজারটি কেড়ে নেন। পরে অবশ্য এমন কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন গুজমান।

ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল। এদিকে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও জরিমানার বিকল্প হিসেবে গুজমানকে কিছু অনির্দিষ্ট সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে।

;