ব্রাজিল-বলিভিয়া ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে কোপার
দেশের মাটিতে বসতে যাচ্ছে কোপা আমেরিকা। কিন্তু আয়োজক ব্রাজিল দলে নেই প্রাণভোমরা নেইমার। গোড়ালির চোট লাতিন আমেরিকার সর্বোচ্চ এ ফুটবল আসরে দর্শক বানিয়ে দিয়েছে পিএসজির এ তারকাকে। নেইমার দলে না থাকায় টুর্নামেন্টে নিশ্চিত চাপ নিয়েই খেলতে হবে ব্রাজিলকে। ৬ জুন কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচে চোট পান নেইমার।
ক্রীড়াপ্রেমীদের উন্মাদনায় ভাসাতে প্রস্তুত বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মহাদেশীয় এ ফুটবল আসর। শনিবার ভোরে পর্দা উঠছে ৪৬তম কোপা আমেরিকার। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ব্রাজিল মুখোমুখি হবে বলিভিয়ার। সাওপাওলোর এস্তাদিও দো মোরুম্বিতে ‘এ’ গ্রুপে দুদলের ম্যাচ মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায়।
হোম কন্ডিশনের সুবিধা তো পাবেই সেলেসাও শিবির। নেইমার দলে না থাকলেও কোচ তিতে জয় দিয়ে শুরু করতে চান। স্বাগতিক ব্রাজিলের কোপায় শিরোপা খড়া কাটিতে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। তা বাস্তবে রূপ দিতে ১২ বছরের মধ্যে প্রথম বারের মতো ছিনিয়ে নিতে চান কোপা শিরোপা।
কোপা আমেরিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ সফল দল ব্রাজিল। আট বারের চ্যাম্পিয়নরা সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ২০০৭ সালে ভেনেজুয়েলা আসরে। তিতের দল এখন দুরন্ত ফর্মে। গত দশ ম্যাচ খেলে হারেনি কোনো টিতেই। তাই ১৯৬৩ সালে একমাত্র কোপা শিরোপা জয়ী বলিভিয়ার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে পরিষ্কার ভাবে এগিয়ে ব্রাজিল।
বিপরীতে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ লা ভার্দে আছে বাজে ফর্মে। গত পাঁচ ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র একটি। হার মেনেছে পাঁচটিতেই। তাই অ্যান্ডারডগ হিসেবেই কোপা আমেরিকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে বলিভিয়া।
বলিভিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে ব্রাজিল। কোচ এদুয়ার্দো ভিলেগাসের দলের বিপক্ষে সবশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই তিতের দল জিতেছে কোনো গোল হজম না করেই।
মাঠের লড়াইয়ে নেইমার না থাকলেও তৈরী হয়ে আছেন আলবিসেলেস্তে মহাতারকা লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন এ ফুটবল জাদুকর মরিয়া হয়ে আছেন শিরোপা উপহার দিতে।
কোপা আমেরিকার এ আসরেই তিন ফাইনালে (২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০১৫ ও ২০১৬ কোপা আমেরিকা) হারের দুঃস্বপ্নটা ভুলে যেতে চান এলএম টেন। দুর্ভাগ্যটা বিদায় করে বার্সা সুপারস্টার জাতীয় দলের জার্সিতে কাটাতে চান শিরোপা খড়া।
অন্য দিকে হামেস রদ্রিগেজও প্রস্তুত আছেন কলম্বিয়ার হয়ে ফের মেজর কোনো টুর্নামেন্টে আলো ছড়াতে।