পাকিস্তানকে উড়িয়ে জয়ে ফিরল অস্ট্রেলিয়া



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
আরো একটি জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল

আরো একটি জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল

  • Font increase
  • Font Decrease

মনে হচ্ছিল অনায়াসেই বিশ্বকাপে তৃতীয় জয়টা মুঠোবন্ধী হবে অ্যারন ফিঞ্চের। কিন্তু টনটনে শেষ বিকেলে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। অষ্টম উইকেট জুটিতে হিসাবের ছকটা উল্টে দিতে থাকেন সরফরাজ আহমেদ ও ওয়াহাব রিয়াজ। অসাধারণ এক জুটিতে প্রায় হারা ম্যাচেও নিয়ে আসেন প্রাণ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি! সেই প্রতিরোধ শেষে অনায়াসেই জয়ের বন্দরে ফেভারিটরা।

বিশ্বকাপে ঠিক চ্যাম্পিয়নের মতোই দাপটে এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। নাটকীয়তার ইতি টেনে হাসিমুখ ফিঞ্চের। শুরুতে আফগানিস্তান, তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের পর এবার অজিদের শিকার পাকিস্তান।

সরফরাজ আহমেদের দলকে হারিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের কাছে ৩৬ রানে হারের ধাক্কা সামলে ফের চেনা পথে তারা।

টনটনে বুধবার পাকিস্তানকে ৪১ রানে হারিয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দল।

ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। এরপর ডেভিড ওয়ার্নারের শতরান ও ফিঞ্চের দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ৪৯ ওভারে করে ৩০৭ রান। জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ৪৫.৪ ওভারে অলআউট হয়ে করে ২৬৬ রান।

যদিও টার্গেট তেমন বড় ছিল না পাকিস্তানের। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা নিতে পারেনি ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। দলের যখন ২ রান তখন সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার ফকর জামান (০)। তবে এরপরই বাবর আজমকে নিয়ে কিছুটা সময় লড়েছেন ইমাম-উল-হক। দলীয় ৫৬ রানে ভাঙে এই জুটি। ৩০ রানে ফেরেন বাবর।

তারপর বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন ইমাম ও মোহাম্মদ হাফিজ। মনে হচ্ছিল ম্যাচটি বুঝি জিততে যাচ্ছে পাকিস্তানই। দু'জনই অজি বোলিং আক্রমণ উড়িয়ে দিয়ে লড়তে থাকেন। কিন্তু এবার বাধা হয়ে দাঁড়ান প্যাট কামিন্স। তিনি ফিরিয়ে দেন ইমামকে। ৭৫ বলে ৫৩ রান তুলে ধরেন সাজঘরের পথ।

এরপরই তাকে এই ওপেনারকে অনুসরণ করেন হাফিজ। অ্যারন ফিঞ্চের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৪৯ বলে ৪৬। তারপর হাসান আলি ১৫ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিরে গেলে নিভে যায় পাকিস্তানের আশার প্রদীপ। তবে চেষ্টা করেছিলেন সরফরাজ আহমেদ। সঙ্গে ওয়াহাব রিয়াজ বেশ লড়াই করেন। অষ্টম উইকেটে দু'জন যোগ করেন ৬৪ রান। কিন্তু রিয়াজ ৩৯ বলে ৪৫ রান করে ফিরতেই সব শেষ। এরপর অধিনায়ক সরফরাজ ৪৮ বলে ৪০ রানে ফেরেন সাজঘরে!

তিনটি উইকেট নেন পেসার প্যাট কামিন্স। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক ও কেন রিচার্ডসন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি পেতেই পারতেন অ্যারন ফিঞ্চ। শুরু থেকে অধিনায়কোচিত ব্যাটিং পারফরম্যান্সে দিয়ে সেই ইঙ্গিতটাই দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ফিঞ্চ (৮২) শতক পূর্ণ করতে না পারলেও পেরেছেন তার সতীর্থ! সাজঘরে ফেরার আগে তার ওপেনিং পার্টনার ডেভিড ওয়ার্নার (১০৭) ঠিকই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা।

বল টেম্পারিংয়ের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফিরে অসাধারণ ক্রিকেট খেলছেন ওয়ার্নার। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ৮৯ রান। ভারতের বিপক্ষেও তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। এবার শতরান!

১১ চার আর এক ছক্কায় অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ওয়ার্নারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি এটি। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০১৫ বিশ্বকাপে পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ছিলেন তিনি। ফিঞ্চ ও ওয়ার্নারের ব্যাটিং বড় সংগ্রহের পথেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ফিনিশিংটা ভাল হয়নি তাদের। ফিঞ্চ ও ওয়ার্নারের ব্যাটিং বড় সগ্রহের পথেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ফিনিশিংটা ভাল হয়নি তাদের। আরেকটু সরাসরি বলা যায় মোহাম্মদ আমিরের পেসেই শেষটা ভাল হয়নি অজিদের।

ওয়ার্নারের সঙ্গে ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। তিনি ফেরেন ৮৪ বলে ৮২ রানে। আর ওয়ার্নার ১১১ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় ১০৭ রান। তিনিই ম্যাচের সেরা।

এরপর আমির তার বোলিং তোপে ১০ ওভারে দুই মেডেনসহ ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট। ওয়ানডেতে এই প্রথম পাঁচ উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তানের এই পেসার। তবে ম্যাচ শেষে হাসি ছিল না তার মুখে। কারণ দল যে হেরেছে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ৩০৭/১০ (ফিঞ্চ ৮২, ওয়ার্নার ১০৭, স্মিথ ১০, ম্যাক্সওয়েল ২০, মার্শ ২৩, খাওয়াজা ১৮, কেয়ারি ২০, কোল্টার-নাইল ২, কামিন্স ২, স্টার্ক ৩, রিচার্ডসন ১*; আমির ৫/৩০, আফ্রিদি ২/৭০, হাসান ১/৬৭, ওয়াহাব ১/৪৪, হাফিজ ১/৬০)।
পাকিস্তান: ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬/১০ (ইমাম ৫৩, ফখর ০, বাবর ৩০, হাফিজ ৪৬, সরফরাজ ৪০, মালিক ০, আসিফ ৫, হাসান ৩২, ওয়াহাব ৪৫, আমির ০, আফ্রিদি ১*; কামিন্স ৩/৩৩, স্টার্ক ২/৪৩, রিচার্ডসন ২/৬২, কোল্টার-নাইল ১/৫৩, ফিঞ্চ ১/১৩)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ডেভিড ওয়ার্নার

   

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

পিছিয়ে পড়েও আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;

‘অদ্ভুত’ কারণে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টাইন গোলকিপার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যখন টাইব্রেকার বীরত্বে প্রশংসিত হচ্ছেন, ঠিক তখনই তার স্বদেশী আরেক গোলকিপার পড়েছেন বড় নিষেধাজ্ঞার খড়গে। তার নাম নাহুয়েল গুজমান। খেলেন মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস অব নুভো লিওনে।

হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে গুজমানের। তাই দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু মাঠের বাইরে থেকেও বড় শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাকে। মেক্সিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে মন্টেরির বিপক্ষে তার দলের ম্যাচ চলাকালের স্ট্যান্ড থেকে বিপক্ষে দলের গোলরক্ষকের দিকে লেজার লাইট তাক করার দায়ে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী গুজমানকে।

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গুজমানের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে লিগা এমএক্স কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার সেই ম্যাচটির প্রথমার্ধে মন্টেরি গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য ফুটবলারের দিকেও লেজার লাইট মারেন গুজমান। পরে মন্টেরির স্পোর্টস প্রেসিডেন্ট এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তার কাছ কাছ থেকে লেজারটি কেড়ে নেন। পরে অবশ্য এমন কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন গুজমান।

ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল। এদিকে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও জরিমানার বিকল্প হিসেবে গুজমানকে কিছু অনির্দিষ্ট সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে।

;