জুনায়েদের ‘ডিলিট করা’ প্রতিবাদ এবং কিছু তিতা সত্য



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতিবাদী টুইট করে জুনায়েদ পরে সেটি ডিলিট করে দেন- ছবি: টুইটার

প্রতিবাদী টুইট করে জুনায়েদ পরে সেটি ডিলিট করে দেন- ছবি: টুইটার

  • Font increase
  • Font Decrease

দল নির্বাচন করা এমন একটা কাজ, যে কাজে আপনি কখনোই সবাইকে খুশি বা সুখী করতে পারবেন না। শুধু ক্রিকেট নয়, ফুটবল এমন ঘটনার নিত্য সাক্ষ্য দিচ্ছে। নির্বাচকদের কাজটা আসলেই থ্যাঙ্কলেস জব; একেবারে তিতা সত্য!

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের দলের ব্রাজিলের সুপারস্টার রোমারিওকে রাখেননি কোচ মারিও জাগালো। পরদিন রোমারিও’র কান্না ভেজা চোখের ছবি পত্রিকার পাতায়! দল থেকে বাদ পড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিজের প্রতিবাদের মাত্রাটা আরো বাড়িয়েছিলেন রোমারিও। ব্রাজিলে রোমারিও’র একটা রেষ্টুরেন্ট ছিলো। দিনকয়েক পরে সেই রেষ্টুরেন্টে দেখা গেলো টয়লেটের দরজাটায় নতুন এক নামফলক!

জ্বি, আপনি ঠিক ধরেছেন; টয়লেটের নামফলকে লেখা-মারিও জাগালো!

দল থেকে বাদ পড়ে, কেউ রাগেন। কেউ চেঁচামেচি করেন। কেউ কাঁদেন। সর্বশেষ এমন অভিনব একটা প্রতিবাদ করেছেন পাকিস্তানের পেসার জুনায়েদ খান। বিশ্বকাপ দল থেকে তাকে বাদ দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক।

প্রতিবাদে জুনায়েদ খান ঠোঁটে কালো টেপ লাগিয়ে একটা ছবি তোলেন। সেই ছবি টুইটারে পোস্ট করেন। তাতে লেখেন-‘আমি কিছুই বলতে চাই না। সত্য সবসময় তিতা।’

 বেশ কড়াধাঁচের প্রতিবাদ, সন্দেহ নেই। কিন্তু এমন প্রতিবাদ স্থায়ী করার সাহস যে বেশিসময় ধরে রাখতে পারলেন না জুনায়েদ। ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার পরে তার সেই টুইট ডিলিট করেন। ততক্ষনে অবশ্য তার সেই টুইট নেটিজেনে ভাইরাল হয়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558423045772.png

প্রশ্ন হলো প্রতিবাদের টুইট কেন ডিলিট করে দিলেন জুনায়েদ খান? তবে কি তিনি নিজের প্রতিবাদের অবস্থান থেকে সরে এলেন? নাকি কোনো চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে এমন রক্ষনাত্মক হয়েছেন? নিজের টুইটে যে তিতা সত্য কথাটা বলতে চেয়েছিলেন জুনায়েদ সেটা আসলে কি?

এমনতর অনেক প্রশ্ন ও কৌতুহলের তৈরি হয়েছে জুনায়েদ খানের প্রতিবাদী টুইটকে ঘিরে।
 
মুলত সবচেয়ে বড় তিতা সত্য হলো-জুনায়েদ খানের ওপর পাকিস্তানের নির্বাচকরা আস্থা রাখতে পারেননি বলেই তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডে শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজের চার ম্যাচের মধ্যে জুনায়েদ খান দুটিতে খেলেছেন। উইকেট পেয়েছেন দুটি। তার বোলিং বিশ্লেষণ এক ম্যাচে ১০-০-৮৫-১। অন্য ম্যাচে ৮-০-৫৭-১। ইকোনোমি রেট ৮.৫০ ও ৭.১২! অথচ তিনি দলের স্ট্রাইক বোলার। এই দুই ম্যাচেই পাকিস্তান রান খরচ করে সাড়ে তিনশ’র ওপরে। ম্যাচের কোনো সময় জুনায়েদ খানের বোলিং দেখে মনে হয়নি তিনি প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। পারেনও নি। মুলত সেখানেই তিনি নির্বাচকদের আস্থা হারান।
 
বিশ্বকাপের উইকেট আরো ব্যাটিং বান্ধব হবে, সেই উইকেটে এমন বোলিং করলে দলকে আরো বেশি অসহায় দেখাবে। তাই এমন ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অভিজ্ঞতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই যুক্তিতে মোহাম্মদ আমির এবং ওয়াহাব রিয়াজকে দলে আনেন পাকিস্তানের নির্বাচকরা। বাদ পড়েন জুনায়েদ খান।

 ইংল্যান্ডের মাটিতে সম্প্রতি আরেকটি ম্যাচ খেলেন জুনায়েদ খান। সেই প্রস্তুতি ম্যাচেও বিপুল রান খরচ করেন তিনি। ১ উইকেট পান ৭৯ রান বিলিয়ে! পেছনের ছয়টি আর্ন্তজাতিক ম্যাচে জুনায়েদ খান পেয়েছেন মাত্র ৬টি উইকেট। প্রতিটি উইকেটের পেছনে তার ব্যয় হয়েছে ৬২’র বেশি রান।

এটা খরুচে হিসেবটা কিন্তু বেশ তিতা সত্যই, জুনায়েদ খান!

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে চার ম্যাচে পাকিস্তান ব্যয় করে ১৪০০’র বেশি রান! সাড়ে তিনশ’র ওপর রান তুলে পাকিস্তান কোনো ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। বোলারা ধুমসে পিটুনি খান। বোলারদের এই ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ দলে বদল আনতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।
এটাও নিরেট তিতা সত্য!

জুনায়েদের জায়গায় পাকিস্তানি নির্বাচকরা বিশ্বকাপের দলে নিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী ওয়াহাব রিয়াজকে। যিনি আবার সেই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে পাকিস্তানের হয়ে আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচেই খেলেননি। ইংল্যান্ডের মাটিতেও তার পারফরমেন্স ভীষণ বাজে। এখানে খেলা ৭ ম্যাচে উইকেট তার মাত্র ৪টি। উইকেট প্রতি রান খরচের গড় ৯৬.২৫!

এমন বোলারকে ডেকে আনা হয়েছে বিশ্বকাপে? কারণ আর কিছু নয়, গেলো বিশ্বকাপের দলে তিনি ছিলেন তাই!

আরে ভাই দেশটার নাম যে পাকিস্তান! এটা আরেকটা তিতা সত্য!

   

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

পিছিয়ে পড়েও আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;

‘অদ্ভুত’ কারণে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টাইন গোলকিপার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যখন টাইব্রেকার বীরত্বে প্রশংসিত হচ্ছেন, ঠিক তখনই তার স্বদেশী আরেক গোলকিপার পড়েছেন বড় নিষেধাজ্ঞার খড়গে। তার নাম নাহুয়েল গুজমান। খেলেন মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস অব নুভো লিওনে।

হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে গুজমানের। তাই দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু মাঠের বাইরে থেকেও বড় শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাকে। মেক্সিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে মন্টেরির বিপক্ষে তার দলের ম্যাচ চলাকালের স্ট্যান্ড থেকে বিপক্ষে দলের গোলরক্ষকের দিকে লেজার লাইট তাক করার দায়ে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী গুজমানকে।

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গুজমানের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে লিগা এমএক্স কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার সেই ম্যাচটির প্রথমার্ধে মন্টেরি গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য ফুটবলারের দিকেও লেজার লাইট মারেন গুজমান। পরে মন্টেরির স্পোর্টস প্রেসিডেন্ট এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তার কাছ কাছ থেকে লেজারটি কেড়ে নেন। পরে অবশ্য এমন কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন গুজমান।

ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল। এদিকে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও জরিমানার বিকল্প হিসেবে গুজমানকে কিছু অনির্দিষ্ট সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে।

;