গাঁজাখোর এক বাস্কেটবল অলিম্পিয়ান!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আত্মজীবনীতে অকপটে সত্য স্বীকার করলেন ল্যামার ওডম

আত্মজীবনীতে অকপটে সত্য স্বীকার করলেন ল্যামার ওডম

  • Font increase
  • Font Decrease

এতদিন পরে এসে সত্যতা স্বীকার করলেন ল্যামার ওডম। আমেরিকার বাস্কেটবলের বেশ নামীদামী তারকাই তিনি। ২০০৪ সালের যে অপকর্ম করেছিলেন সেটা স্বীকার করলেন ২০১৯ এ এসে। ৩৯ বছর বয়সী আমেরিকার এই বাস্কেটবল তারকার আত্মজীবনী বের হয়েছে। নামটা বেশ-‘ডার্কনেস টু লাইট।’ বাংলা করলে- অন্ধকার থেকে আলোয়।

নিজের ক্যারিয়ারের অন্ধকার দিক এই আত্মজীবনীতে অকপটে তুলে ধরেছেন ল্যামার। সেই সত্যতায় আছে একেবারে চমকে দেয়ার মতো তথ্য। ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে যুক্তরাস্ট্রের ১২ জনের বাস্কেটবল দলের সদস্য ছিলেন। তবে সেই অলিম্পিকে যাওয়ার আগে যে ড্রাগ টেস্ট দিয়েছিলেন সেটা ছিলো পুরোপুরি ভুয়া। কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে সেই দফা ড্রাগ টেস্টে পাস করেছিলেন ল্যামার।

শুনি অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা ল্যামারের সেই জীবনী তার আত্মকথনে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558413516377.jpg

‘‘যখন শুনলাম আমি এথেন্স অলিম্পিকে বাস্কেটবলের দলে আমি সুযোগ পেয়েছি, প্রথমেই তখন আমার আনন্দ হওয়ার চেয়ে টেনশনই বেশি হলো। আরে আমি ড্রাগ টেস্টে উতরাবো কিভাবে? আমি নিশ্চিত ড্রাগ টেস্টে ধরা খাবো। সবাই দলে সুযোগ পেয়ে আনন্দ করছে। আর আমার আনন্দ শেষ ড্রাগ টেস্টের দুঃশ্চিন্তায়! অলিম্পকের এক কর্মকর্তা আমাকে জানালো ড্রাগ টেস্টের সামনে সবাইকে দাড়াতে হবে। আমার তো গালে হাত! আমার ড্রাগ টেস্টে পাস করার সম্ভাবনা শতকরা শূন্য ভাগ। আমি তো তখন প্রতিদিনই গাঁজা খাই, চরস খাই! কি করবো, ঠিক ভেবে উঠতে পারছিলাম না।

উপায় খুঁজতে গিয়ে গুগুল ঘাঁটলাম। সেখানেই সমাধান পেলাম। ড্রাগ টেস্ট কিভাবে এড়াতে হয় সেই উপায় খোঁজার চেষ্টায় নামলাম। এই বিষয়ে বেশ কিছু সময় পড়াশোনার পেছনেও ব্যয় করলাম। সমাধান একটা পেয়েও গেলাম। অনলাইন থেকে কৃত্রিম লিঙ্গের অর্ডার দিলাম। তারপর তাতে অন্য আরেকজনের মাদকমুক্ত মূত্র ভরে শরীরের সঙ্গে লাগিয়ে রাখলাম। ড্রাগ টেস্টের জন্য যে লোকটি এসেছিলো সে আমার কয়েক ফুট দাড়িয়েছিলো। আমি একটু আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে তাকে সেই মুত্রের নমুনা দিলাম। কর্মকর্তা গোছের লোকটি বিন্দুমাত্র সন্দেহ না করে একটা কাপের মধ্যে সেই নমুনা রেখে তাতে থার্মোমিটার চুবিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করে। সন্তুষ্ঠচিত্তে সেই কর্মকর্তা জানালো-হ্যাঁ এটা আমার শরীরের মুত্রেরই নমুনা। আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে সে বললো- যুক্তরাস্ট্রের বাস্কেটবল দলে তোমাকে স্বাগত।’’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558413537446.jpg

এভাবেই ড্রাগ টেস্টকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এথেন্স অলিম্পিকে যান ল্যামার ওডম। সেই অলিম্পিকে বাস্কেটবলে খুব ভালো কোন ফল করতে পারেনি আমেরিকা। ব্রোঞ্জ পদক পায় তারা। এখন প্রশ্ন হলো এতদিন পরে ল্যামার ওডম যখন স্বেচ্ছায় নিজের দুনম্বরী স্বীকার করে নিচ্ছেন তাহলে কি আর্ন্তজাতিক অলিম্পিক কমিটি আমেরিকার সেই ব্রোঞ্জ পদক কেড়ে নেবে?

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত লেকার্স দলের হয়ে ২০১০ ও ২০১১ সালে বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতেন ল্যামার ওডম। অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপনের জন্য পরে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় পড়েন। কিডনি জটিলতায় ভুগেন। বারকয়েক হার্ট অ্যাটাকও হয় তার। একসময় তো কোমায়ও চলে গিয়েছিলেন অনেকদিনের জন্য। তবে ভাগ্য ভালো সেই যাত্রা বেঁচে ফিরে আসেন শেষমেশ।

আত্মজীবনী গ্রন্থে নিজের মাদক গ্রহন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের সব কাহিনী তুলে ধরেছেন ল্যামার। সেই বইয়ে সরল স্বীকারোক্তি তার-‘আমি এখনো নেশার ঘোরে আছি। এখনো ঠিক হওয়ার জন্য সংগ্রাম করছি। তবে আর অন্ধকারে যাবো না, কখনো না।’

   

হাল ছেড়ে দেয়ার আক্ষেপ পচেত্তিনোর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের তথাকথিত ‘বিগ সিক্স’-এর দুই দলের খেলা। যদিও ফর্ম আর ক্লাবের বর্তমান পারিপার্শ্বিকতার দিক দিয়ে আর্সেনাল-চেলসি এখন দুই মেরুতে। আর্সেনাল যেখানে লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যানচেস্টার সিটি আর লিভারপুলকে টক্কর করে দিচ্ছে, সেখানে চেলসি কোনো মতে লিগ টেবিলের প্রথমভাগে থাকার চেষ্টা করছে। গত রাতে লিগে এই দুই দলের খেলায় চেলসিকে ৫-০ গোল ধসিয়ে দিয়েছে আর্সেনাল।

খেলোয়াড়রা দ্বিতীয়ার্ধে হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে ম্যাচশেষে আক্ষেপ করেছেন চেলসি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো, ‘আমরা মাঝবিরতিতে কথা বলেছিলাম যে, এমন ম্যাচ আমরা এভাবে শুরু করতে পারি না। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আবার বাজেভাবে শুরু করি। দুই গোল হজম করার পর দলের সবাই হাল ছেড়ে দেয়। এরপর তো আমরা ম্যাচেই ছিলাম না।’

আর্সেনালের সামনে এমন অসহায় আত্মসমর্পণে খেলোয়াড়দের চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে তার মনে প্রশ্ন জেগেছে কিনা এমন কথা নাকচ করে দিয়ে পচেত্তিনো বলেন, ‘না, এটা আসলে চারিত্রিক দৃঢ়তার বিষয় না। আমি ফুটবল খেলেছি, অনেক বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সময় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ম্যারাডোনা, বাতিস্তুতা, রোনালদিনহোদের সঙ্গে খেলেছি। মৌসুমের কোনো এক সময় যখন এমন কিছু হয়, তখন এই বড় মাপের খেলোয়াড়রাও হাল ছেড়ে দেয়।’

তবে মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে চেলসির জন্য এমন হাল ছেড়ে দেয়ার মানে সমূহ বিপর্যয়। আর্সেনালের কাছে বড় হারের পর চেলসির পয়েন্ট এখন ৩২ ম্যাচে ৪৭, পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান নবম। আগামী মৌসুমে অন্তত ইউরোপা কনফারেন্স লিগে খেলতে হলেও তাদের পেছনে ফেলতে হবে সাতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং আটে থাকা ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে। ৩৪ ম্যাচ খেলা ওয়েস্ট হ্যামের পয়েন্ট এখন ৪৮ আর চেলসির সমান ৩২ ম্যাচ খেলে ম্যান ইউনাইটেডের প্রাপ্তি ৫০ পয়েন্ট।

;

শুভ জন্মদিন ‘লিটল মাস্টার ব্লাস্টার’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শচীন রমেশ টেন্ডুলকার, যিনি শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটারই নন, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য একজন অনুপ্রেরণা। বিশ্বজুড়ে কত খেলোয়াড় যে শচীনের খেলা দেখে এবং শচীনের খেলার ধরণকে অনুসরণ করেই ক্রিকেটকে ভালোবেসেছেন তার হিসেব বের করা দুষ্কর।

ক্রিকেট খেলাটাকে যারা পছন্দ করেন তারা শচীনকেও পছন্দ করেন বা ভালোবাসেন। বিশ্বের বেশিরভাগ খেলোয়াড়েরই ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীর পাশাপাশি ‘হেটার’ থাকলেও শচীনকে অপছন্দ করে এমন কাউকে আপনি খুঁজে পাবেন না।

ভারতীয়দের কাছে শচীন টেন্ডুলকার একজন দেবতা সমতুল্য। ভারতীয়রা ক্রিকেট খেলাটাকে যেভাবে মনেপ্রাণের সঙ্গে মিশিয়ে রেখেছেন, ঠিক তার পাশাপাশি শচীনের জন্যও তাদের হৃদয়ে একটি বিশেষ জায়গা আছে। তাই তো ভারতীয় ক্রিকেট দলের কথা শুনলে বা ভাবলেই তাদের মাথায় সর্বপ্রথমেই ভেসে ওঠে শচীনের ছবি।

বর্ণিল ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে কতশত রেকর্ড যে শচীন নিজের নামে করেছেন তার সঠিক হিসেব হয়ত তিনি নিজেও জানেন না। ২০১১ সালে নিজ দেশ ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের শিরোপাটি হাতে তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারকে দিয়েছেন পূর্ণতা, নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।

আজ ২৪শে এপ্রিল শচীনের জন্মদিন। হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ৫১তে পা রাখলেন সাবেক ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার। সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের মধ্যে একজনের জন্মদিন আজ, খুব স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া যেন ভেসে যাচ্ছে শচীনময় পোস্টে। জন্মদিনের উইশ করে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশি-বিদেশি একাধিক ক্রিকেটার এবং ক্রীড়া জগতের মানুষেরা।

চলমান আইপিএলের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজির অফিশিয়াল পেজ ও প্রোফাইল থেকেই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পোস্ট। এছাড়াও ভারত জাতীয় দলের পেজ ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পেজেও তার ছবি শেয়ার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তাকে।

শুভেচ্ছা জানানোর এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি শচীনের সতীর্থরাও। তার সঙ্গে একই স্কোয়াডে বিশ্বকাপ খেলা যুবরাজ সিং লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন ক্রিকেট ঈশ্বর! মাঠে বোলারদের নাস্তানাবুদ করা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপের সকল অর্জন, আপনার থেকেই শিখেছি জীবনের লক্ষ্য কিভাবে আরও উচ্চতায় নিতে হয়। অনেক অনেক ভালোবাসা!’

আরেক সাবেক ভারতীয় ব্যাটার সুরেশ রাইনা বলেছেন, ‘আপনার বর্ণিল ক্যারিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, মাঠে এবং মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আপনি আদর্শ। আপনার স্বাস্থ্য, জীবন যেন সুন্দর-সুখের হয় এবং আপনার কভার ড্রাইভের মতোই যেন দুর্দান্ত একটি বছর আপনার কাটুক এই কামনা করছি!’

তার সঙ্গে খেলার সুযোগ না হলেও তাকে আদর্শ মানেন বর্তমান প্রজন্মের ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। যার যার সোশ্যাল মিডিয়ায় শচীনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন শুবমান গিল, বিরাট কোহলি সহ আরও অনেক ভারতীয় ক্রিকেটার। এছাড়াও তাকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উইশ করেছেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা।

;

আর্সেনালের গোলবন্যায় ভাসলো চেলসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘লন্ডন ডার্বি’-তে গতরাতে নিজেদের মাঠে যেন সেরা ফর্মেই ছিল আর্সেনাল। চেলসির সঙ্গে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে তারা। ব্লুজদের জাল বরাবর মোট ২৭টি শট চালিয়েছে গানাররা। বিপরীতে চেলসি নিয়েছে মাত্র একটি শট। এই পরিসংখ্যানেই বোঝা যায় যে ঘরের মাঠে গতরাতের ম্যাচে কেমন দাপুটে ছিল আর্সেনাল।

এমিরেটসে দলীয় নৈপুণ্যে মরিসিও পচেত্তিনোর দলকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। আর এই জয়ের মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে নিজেদের আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল আর্সেনাল।

এদিন ম্যাচে শুরু থেকেই চেলসিকে চেপে ধরে আর্সেনাল। ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইসের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। পরপর আরও কিছু আক্রমণ করে স্বাগতিকরা ব্যস্ত রাখে নীল জার্সিধারী ডিফেন্ডারদের। তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি তারা।

আক্রমণ কিংবা রক্ষণ, কোনো ক্ষেত্রেই একটুও নিয়ন্ত্রণ ছিল না চেলসির। বিরতির পর চেলসির ডিফেন্স লাইন যেন তাদের ঘরের মতো পুরোটাই ভেঙে পড়ে। কারণ মাত্র ১৮ মিনিটের ব্যবধানে চেলসি হজম করে পুরো এক হালি গোল। ৫২তম মিনিটে হোয়াইট, ৫৭ ও ৬৫তম মিনিটে হাভার্টজ এবং ৭০তম মিনিটে আবারও হোয়াইটের গোলে যেন পুরোপুরি উড়ে যায় চেলসি।

৩৪ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৭৭। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুলের পয়েন্ট ৭৪ এবং দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৭৩। সিটি নিজেদের পরের দুই ম্যাচের কোনটিতে হোঁচট খেলে শিরোপার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে আর্সেনাল। তাই আপাতত টাইটেল রেসে আর্সেনাল এগিয়ে আছে তা বলাই যায়।

;

মৌসুমের চারটি শিরোপাই জিততে চান পিএসজি কোচ এনরিকে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরুতে তুলুজকে হারিয়ে ফরাসি সুপার কাপ জেতে পিএসজি। এই শিরোপা ছাড়াও মৌসুমে আরও তিনটি শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। চারটি শিরোপার তাই প্রত্যেকটি জিতে 'কোয়াড্রপল' তকমা নিজেদের নামের সঙ্গে জুড়তে চান পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে।

লিগ ওয়ানেও দারুণ ছন্দে আছে পিএসজি। ২৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬৬। সমান ম্যাচ খেলে দুইয়ে থাকা মোনাকোর চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে। এতে আজকের ম্যাচেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে লুইস এনরিকের দলের। এতে লরিয়ঁর বিপক্ষে জিততে হবে পিএসজিকে এবং রাতে আরেক ম্যাচে লিলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারাতে হবে মোনাকোকে।

এদিকে ইউরোপ সেরার লড়াই চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিতে পৌঁছেছে পিএসজি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারা খেলবে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। এছাড়া আগামী ২৫ মে ফরাসি কাপের ফাইনালে লিওনের বিপক্ষেও লড়বে এমবাপে-মার্কিনিয়োসরা। সব মিলিয়ে তাই চারটি শিরোপা বা কোয়াড্রপলের হাতছানি। এটিকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে ধরে সামনে এগোতে চান এনরিকে।

গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শিরোপার প্রসঙ্গে এনরিকে বলেন, 'কোয়াড্রপল? অবশ্যই এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করি। এটি অনুপ্রেরণার। ক্লাব এবং এই শহরের ইতিহাস গড়ার সুযোগ এটি। তবে, আমরা কী জিতব সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের জয়ের ধরন, খেলার ধরন।'

আসরে এখনো অন্তত আটটি ম্যাচ বাকি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠবে যোগ হবে আরও একটি। সম্ভাব্য এই নয় ম্যাচে নিজেদের জয়ের নিবেদনটা একটি রাখার কথাও জানান পিএসজির এই স্প্যানিশ কোচ।

;