বৃষ্টিতে খেলা না হলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন
ঠিক যে চিন্তা নিয়ে টসে জিতে ফাইনালে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সেই উদ্দেশ্যে পুরো হলো কই তার? মেঘলা আকাশ। ঝিরি ঝিরি বাতাস। উইকেটে খানিকটা বাড়তি ঘাস। পেস বোলারদের জন্য আদর্শ ক্ষেত্র। কিন্তু এমন পরিবেশে পুরোদুস্তর আদর্শ ব্যাটিং করে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার। এই রিপোর্ট লেখার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০.১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩১ রান তুলে নেয়। দুই ওপেনার হাফসেঞ্চুরি করে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছিলেন। ঠিক তখনই বৃষ্টি নামে ডাবলিনের মালাহাইডে দ্যা ভিলেজ ক্রিকেট মাঠে।
বৃষ্টির তোড়ে আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন। মাঠ কর্মীরা কাভার দিয়ে পিচ ঢেকে দেয়। ডাবলিনের আবহাওয়া বিভাগ আগে জানিয়েছিলো আইরিশ সময় বিকালে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে যে বৃষ্টি নামলো একটু আগেভাগেই!
বৃষ্টিতে যদি খেলা আর না হয়, তবে টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে। কারণ গ্রুপ পর্বে বেশি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এই তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ তাদের খেলা চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয়ী হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় দুবার। একবার হারায় আয়ারল্যান্ডকে। বৃষ্টির কারণে আইরিশদের সঙ্গে প্রথম ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়।
এই বৃষ্টি কিছুটা হলেও বাংলাদেশের বোলারদের স্বস্তি দিয়েছে! যেভাবে বোলিংয়ের উভয় প্রান্ত থেকে বোলাররা মার খাচ্ছিলেন তাতে অন্তত কিছুটা বিরতি দিলো ডাবলিনের বসন্তের এই বৃষ্টি।
ম্যাচের প্রথম ২০ ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা উইকেট নেয়ার মতো তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেননি। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোন ক্ষতি ছাড়াই পাক্কা ৫০ রান তুলে উইন্ডিজ। ওপেনার শেই হোপ তার দুর্দান্ত ফর্ম দেখান এই ম্যাচেও। টুর্নামেন্টে প্রথম দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো শেই হোপ বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও ৮৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন। আর ফাইনালে হোপ বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত খেলছিলেন ৫৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রান নিয়ে। তিন ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে সাজানো ছিলো তার এই হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। সঙ্গী ওপেনার সুনীল আমব্রিসও ৬৫ বলে খেলছিলেন ৫৯ রানের ইনিংস নিয়ে।
ফাইনালে প্রথম ২০ ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি তার ছয়জন বোলারকে ব্যবহার করেন। কিন্তু কোনো সাফল্য পাননি। এর মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩ ওভারে তিনি রান দেন ৩৬!