ভারতের হাতেই বিশ্বকাপ দেখছেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কোহলির দলটাকেই ফেভারিট বলছেন আজহারউদ্দিন

কোহলির দলটাকেই ফেভারিট বলছেন আজহারউদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তিন বিশ্বকাপে তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু কোনবারই সেমিফাইনালের বেশি সামনে বাড়তে পারেননি। বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা হয়ে উঠেনি ভারত অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের। ১৯৯২, ১৯৯৬ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। দারুন উজ্জ্বল তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে। ক্রিকেটে একসময় আজীবন নিষিদ্ধ হন। পরে আদালতে মামলা করে সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে তার মুক্তি মিলে। কিন্তু ততদিনে বয়স যে অনেক পেরিয়ে গেছে। মাঠের ক্রিকেটে আর ফিরতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে এলিগেন্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন।

নায়ক এবং খলনায়ক-ক্রিকেট জীবনের দুটো অংশই দেখেছেন আজহার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাকে ক্রিকেট থেকে তাড়িয়ে দিলেও এখনো সুযোগ পেলেই ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসেন টানা তিন সেঞ্চুরি দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট শুরু করা এই ব্যাটসম্যান। সাম্প্রতিক ক্রিকেটেরও বেশ ভালোই খোঁজখবর রাখেন আজহার। এবারের বিশ্বকাপের ফেভারিট তত্ত্বের বিশ্লেষণে ভারতকেই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাখছেন তিনি। বলেও দিয়েছেন-‘ভারত যদি এবার বিশ্বকাপ না জেতে তবে আমি ভীষণ হতাশ হবো। বিশ্বকাপ জেতার জন্য দারুণ একটা দল গড়েছে এবার অধিনায়ক বিরাট কোহলির ভারত। ব্যাটিং- বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে দারুণ চটপটে দল এবারের ভারত। বিশ্বকাপ জেতার খুবই চমৎকার একটা সুযোগ এবার কোহলির সামনে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/10/1557465367969.jpg

ঠিক কোন বিবেচনায় ভারতকে এবারের বিশ্বকাপে বাকি দলের চেয়ে এতো বেশি এগিয়ে রাখছেন আজহার? ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের সার্বিক রেকর্ড কিন্তু খুব একটা সুখকর কিছু নয়। আজহার তার ব্যাখায় বললেন-‘ক্রিকেটে দলের ভারসাম্যটা অনেক বড় ফ্যাক্টর। এবারের বিশ্বকাপে ভারতের এই দলটায় সবক্ষেত্রে শক্তির ভারসাম্যটা চমৎকার। দলে ভালো ব্যাটসম্যান আছে। যারা ব্যাট হাতে যে কোনো ম্যাচ জেতাতে সক্ষম। ভালো বোলার আছে। যারা যে কোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাছাড়া পেছনের এই সময়টায় ভারতীয় দলের ফিল্ডিংও দারুন উন্নত হয়েছে। আমি তো ভারতের হাতেই এবারের বিশ্বকাপ দেখছি। সেটা যদি না হয় তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি ভীষণ হতাশ হবো।’

এবারের আইপিএলে ভারত অধিনায়ক কোহলির দল রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের কেটেছে ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে। ব্যাট হাতেও কোহলি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১৪ ম্যাচে কোহলির রান ৪৬৪। রান গড় ৩৭.৮৪। ব্যাটসম্যানের নাম যখন বিরাট কোহলি তখন এই পারফরমেন্সকে মামুলি মনে হতে বাধ্য!

তবে কোহলি এই বাজে সময় নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন আজহার-‘জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই। কিন্তু বিরাট কোহলির পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে তাকালে আর আশঙ্কার কিছু নেই। আমার তো মনে হয়ে বিশ্বকাপের জন্য নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছে কোহলি।’

   

দুই হলুদ কার্ড দেখেও কেন মাঠ ছাড়তে হয়নি মার্তিনেজকে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনার ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর উদযাপনে ফ্রান্স এবং দলটির তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে ‘উপহাস’ করেছিলেন বলে আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমি মার্তিনেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ফরাসিদের। দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থকরাও তার ওপর ক্ষুদ্ধ। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে উয়েফা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে সে ফ্রান্সেই যেতে হয়েছিল মার্তিনেজকে। সেখানেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার।

ফরাসি ক্লাব লিলের বিপক্ষে ভিলার ম্যাচ চলাকালে নির্ধারিত সময়ে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মার্তিনেজ। দ্বিতীয় লেগের নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময় শেষে দুই লেগ মিলিয়ে লিল-ভিলা যখন ৩-৩ সমতা ভাঙতে পারেনি, তখন ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

পেনাল্টি শুটআউটে মার্তিনেজের পাগলাটে আচরণের কথা সবার জানা। সেই ২০২১ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল থেকে শুরু করে ২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস বা বিশ্বকাপে ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে মার্তিনেজ টাইব্রেকারে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন।

লিলের বিপক্ষেও সেই স্মৃতি ফিরল। নাবিল বেনতালেব নেয়া প্রথম স্পট কিক ঠেকিয়ে দিয়ে লিল সমর্থকদের চুপ থাকার ইশারা করেন মার্তিনেজ। তাতে ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে দুই হলুদ কার্ডের পরও মাঠে থেকে যান মার্তিনেজ, রেফারিকেও তাকে মাঠ ছাড়ার তাড়া দিতে দেখা যায়নি। ফুটবল অনুরাগী থেকে ধারাভাষ্যকাররাও তাতে বিস্মিত হন।

দুই হলুদ কার্ড দেখার পরও মার্তিনেজের মাঠ থেকে বিতাড়িত না হওয়ার কারণ পরে জানা যায়। ফুটবলের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) সম্প্রতি দুই হলুদ কার্ডের নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে ম্যাচের নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে দেখা হলুদ কার্ড পেনাল্টি শুটআউট পর্যন্ত আসবে না। যার মানে দাঁড়াচ্ছে, কোনো খেলোয়াড় বা ম্যানেজার ম্যাচের নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে হলুদ কার্ড দেখলেও তা টাইব্রেকারে তা ধর্তব্য হবে না। কোনো খেলোয়াড় যদি কেবল টাইব্রেকার চলাকালে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন, শুধু তাহলেই তাকে মাঠ ছাড়তে হবে।

এই নিয়মের কারণেই লাল কার্ড থেকে বেঁচে যান মার্তিনেজ। পরে আরও একটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে ভিলাকে কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপার।

;

জুভেন্টাস থেকে ১১৩ কোটি টাকা পেতে চলেছেন রোনালদো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিয়াল মাদ্রিদের ক্যারিয়ারের লম্বা সময় পার করে ২০১৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে পাড়ি জমান রোনালদো। সেখানে তিন মৌসুম খেলে ২০২১ সালে ফের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যান এই পর্তুগিজ। বর্তমানে তিনি খেলেন সৌদি আরবে আল নাসরে। ২০২৩ সালে ইউরোপের পাট চুকিয়ে যান সেখানে। তবে বর্তমান ক্লাবের বেত্ন বা নিজের ব্যক্তিগত খাতের অ্যায় ছাড়া দ্রুতই মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকতে চলেছে রোনালদোর অ্যাকাউন্টে। 

সাবেক ক্লাব জুভেন্টাস থেকে ৮৩ লাখ পাউন্ড বকেয়া বেতন পাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ইতালির এক আদালত রোনালদোর এই অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছে সেরি আর ক্লাবটিকে। 

এই বকেয়ার ঘটনা মূলত ২০২০-২১ মৌসুমে, করোনা মহামারীর সময়ে। সে সময় পুরো বিশ্ব গিয়েছিল থমকে। ব্যক্তিক্রম ঘটেনি ক্রীড়াঙ্গনেও। এতে জুভেন্টাসের থেকে দেরীতে বেতন নেওয়ার বিষয়ে রাজি হয়েছিলেন রোনালদো। তবে পরে সেটি পরিশোধ করেনি ইতালিয়ান ক্লাবটি। যদিও রোনালদো যেই অর্থ পেতে চলেছেন সেটি তার দাবি করা অর্থের প্রায় অর্ধেক। তার মতে, জুভেন্টাস থেকে তিনি পাওয়া ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডেরও বেশি। 

কর এবং অন্যান্য ফি বাদ দেওয়ার পরই এই অর্থ পাবেন রোনালদো। এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছে জুভেন্টাস ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আদালতের এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করছে।

;

হাবিবুরের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ বড় জয় পেয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। হাবিবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিটি ক্লাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী। তবে দলটির বেশিরভাগ ব্যাটার ক্রিজে থিতু হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসায় তাদের সংগ্রহ বড় হয়নি। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে ওপেনার হাসানের ব্যাটে। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। দুটি করে উইকেট পান হুসনা হাবিব মেহেদী, মঈন খান এবং আব্দুল গাফফার সাকলাইন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মেহেদী মারুফকে হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি গাজীকে। বরং তিনে নামা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সেঞ্চুরির সঙ্গে অন্য ওপেনার আনিসুল ইসলামের ফিফটিতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় তারা।

৮১ বলে ১০ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হাবিবুর। ১০ চার এবং ১ ছক্কায় ৬১ রান আসে আনিসুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগে নাম লিখিয়েছে গাজী। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে কেবল ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিটি ক্লাব রয়েছে ৯ নম্বরে।

;

বাংলাদেশ কেন এমন করছে, আকাশ চোপড়ার প্রশ্ন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা নিয়ে সরগরম দেশের ক্রিকেট। তাকে আইপিএলে নিরবচ্ছিন্নভাবে খেলতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মাঝপথে ফিরিয়ে আনা উচিৎ, তা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা। বাংলাদেশের বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা বিষয়টি নিয়ে মত দিলেও ভারতীয় কেউ এতদিন এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে সে ধারা ভেঙে এবার মুস্তাফিজ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথ থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট করেছেন আকাশ। সেখানে তার প্রশ্ন, ‘মুস্তাফিজুর রহমান চলে যাচ্ছে। সে চেন্নাইয়ের হয়ে (পুরো মৌসুম) খেলতে পারবে না। শুধু আর কয়েকদিনের জন্য আছে। বাংলাদেশ কেন এমন করছে?’

চেন্নাইয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করছেন মুস্তাফিজ। ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১০ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও এই বাংলাদেশি পেসার। এমন অবস্থায় চেন্নাই যদি পুরো মৌসুম তার সার্ভিস না পায়, সেক্ষেত্রে দলটি বিপদে পড়বে বলে মনে করেন আকাশ, ‘তাকে (মুস্তাফিজ) খেলতে দাও। সে চলে গেলে চেন্নাইয়ের ক্ষতি হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শুরুতে মুস্তাফিজকে আইপিএলে অংশ নেয়ার জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়। পরে ছুটির মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়।

;