বিস্ময়কর! বার্সাকে উড়িয়ে ফাইনালে লিভারপুল!!



আপন তারিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
স্বপ্নের ফুটবল খেলে ফাইনালে পা রাখল লিভারপুল। এমন উৎসবই তাদের মানায়

স্বপ্নের ফুটবল খেলে ফাইনালে পা রাখল লিভারপুল। এমন উৎসবই তাদের মানায়

  • Font increase
  • Font Decrease

কোন বিশেষণই যেন যথেষ্ট নয়। এনফিল্ডে রাতের আলোয় যেন অলৌকিক ফুটবলের পসরা সাজাল লিভারপুল! আসলেই মিরাকল! প্রথম লেগে ০-৩ গোলে হার! কিন্তু কে জানতো এই দলটাই কীনা দুই সেরা তারকাকে ছাড়াই পেয়ে যাবে ৪-০ গোলের ঐতিহাসিক জয়। নতুন ইতিহাস লিখে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে ইংলিশ জায়ান্টরা।

বার্সেলোনাকে উড়িয়ে জন্ম দিয়েছে নতুন এক রূপকথার! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন লিওনেল মেসিদের স্বপ্ন ভেঙে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুল!

মঙ্গলবার বার্সাকে দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়ে ঠিক ৪-০ গোলেরই জয় তুলে নিয়েছে অলরেডরা! তারই পথ ধরে দুই লেগ মিলে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। বার্সাকে বিদায় করে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের ফাইনালে লিভারপুল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557268728719.jpg

সমীকরণ এভাবে মিলে যাবে কে জানতো? নিজেদের পোষ্টে কোন বল যাবে না। প্রতিপক্ষকে দিতে হবে চার গোলের তিক্ত স্বাদ! ঠিক তাই করলো লিভারপুল। দুটি করে গোল করলেন দিভোক ওরিগি ও জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম!

নু ক্যাম্পে প্রথম লেগে ০-৩ গোলে হারের পর এমনই অবিশ্বাস্য জয়ের স্বপ্নে বিভোর ছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। কিন্তু ইনজুরিতে একাদশ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন দুই সেরা তারকা মোহাম্মদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনো। তাদের ছাড়াই মঙ্গলবার রাতে মিশন ইমপসিবল-কে পসিবল করে মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল!

প্রতিপক্ষের মাঠে ০-২ গোলে হারলেও যেখানে চলতো সেখানে বার্সাকে একেবারেই অচেনা মনে হয়েছে। ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছে পুরোটা সময়। অবশ্য স্কোরলাইনই বলে দেয় লিওনেল মেসিদের জন্য রাতটা ছিল না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557268753638.JPG

অবশ্য পরিসংখ্যানবিদরা বলবেন, প্রতিপক্ষের মাঠে এমনই তো বার্সা। এবার নিয়ে শেষ ছয় মৌসুমে নকআউট পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে হার দেখল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। রোমা, পিএসজি, জুভেন্টাস, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের পর এবার লিভারপুল।

রীতিমতো ইতিহাস গড়েই ফাইনালের টিকিট পেয়েছে অলরেডরা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এবারই প্রথম সেমির প্রথম লেগে তিন গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয় লেগে বাজিমাত করলো কোন ক্লাব! এমন চমক ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসরে এর আগে কোন ক্লাবই করে দেখাতে পারেনি! আর সাইডলাইনে বসে সতীর্থদের বীরত্ব গাঁথা দেখলেন সালাহ-ফিরমিনো!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557268781687.jpg

দুঃস্বপ্নের এই ম্যাচে কাতালান ক্লাবটি প্রথম গোল হজম করে ম্যাচের ৭ মিনিটে। প্রতিপক্ষের ফুটবলার জর্ডান হেন্ডারসনের শট ঠিকমতো সামাল দিতে পারেন নি মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। এ সুযোগে ফাঁকায় পেয়ে সুযোগটা কাজে লাগান দিভোক ওরিগি (১-০)।

অবশ্য ১৪ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরাতে পারতো বার্সা। কিন্তু মেসির শট কোনরকমে আটকে দেন লিভারপুলের গোলকিপার অ্যালিসন। ১৭তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ মিস হয়ে যায় এই মহাতারকার!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557268806890.jpg

তারপরও দ্বিতীয়ার্ধে কাতালানদের জন্য এমন দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে কেউ ভাবেনি! চোট নিয়ে অ্যান্ড্রু রবার্টসন মাঠ ছাড়তেই নামেন জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম। নেদারল্যান্ডসের এই ফুটবলারই পাল্টে দেন দৃশ্যপট। ৫৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। দুই মিনিট না যেতেই জারদান শাকিরির ভাসানো ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড সেই ভেইনালডামের। আবারো বল আশ্রয় নেয় বার্সার জালে (৩-০)।

দুই লেগ মিলিয়ে তখন স্কোর ৩-৩। মানে তখনও লম্বা বাঁশি বেজে উঠলে খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে।

এরপরও অবশ্য খেলায় ফিরতে পারেনি বার্সা। তাদের একটি গোলই চাপে ফেলে দিতে পারতো লিভারপুলকে। এমন পরিস্থিতিতে উল্টো আরেকটি গোল হজম করে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
৭৯তম মিনিটে প্রতিপক্ষকে বিস্ময়ের ঘোরে রেখে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় অলরেডরা। গোলদাতা সেই ওরিগি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/08/1557268829921.jpeg

তারপরের সময়টুকুতে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে বার্সা। কিন্তু লিভারপুলের রক্ষণভাগে ফাটল ধরানো যায়নি। অসম্ভবকে সম্ভব করেই আনন্দে উদ্বেল হয়ে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।

১ জুন মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেট্রোপলিটনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। যেখানে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ  টটেনহ্যাম হটস্পার কিংবা আয়াক্স! গতবার একটুর জন্য শিরোপা ফস্কে গেছে, এবার বার্সা বধের পর সাফল্যের সপ্তম আকাশে উড়তে থাকা দলটি বুঝি শিরোপা জিতেই থামবে!

   

চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলে খেলা নিয়ে কম কথা হয়নি। বিশেষ করে আইপিএলের মাঝপথে তাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যেও মতদ্বৈধতা দেখা গেছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস এও বলেছিলেন, আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তবে মুস্তাফিজ নিজে কিন্তু সেভাবে ভাবছেন না। বরং আইপিএলে খেলার কিছু উপকারী দিক খুঁজে পেয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার।

চেন্নাই সুপার কিংসের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে নিজের ব্যক্তিজীবন এবং ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বেশকিছু বিষয় খোলাসা করেছেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে তার ভাবনা বর্ণনা করতে গিয়ে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আইপিএলে সব দেশের তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে সাফল্য পেলে অন্যত্র সফল হওয়া সহজ হয়ে যায়।’

২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। প্রথম আসরে খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। সেবার অরেঞ্জ আর্মির হয়ে শিরোপাও জিতেছিলেন, হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতেও দেখা গেছে তাকে।

তবে সবসময়ই তার ভেতর সুপ্ত বাসনা ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার। মুস্তাফিজের ভাষায়, ‘চেন্নাইয়ের হয়ে এবারই প্রথম খেলছি। ২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল। যেদিন চেন্নাইয়ের তরফ থেকে ডাক পাই, আমি ওই রাতে ঘুমাতে পারিনি।’

চেন্নাই সুপার কিংস তারকায় ঠাঁসা এক দল। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। এছাড়া কোচিং প্যানেলেও রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং, মাইক হাসি, ডোয়াইন ব্রাভোর মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। তাদের সান্নিধ্যে থেকে, দিকনির্দেশনায় খেলে কী শিখতে পেরেছেন সেটাও অকপটেই জানালেন মুস্তাফিজ, ‘মাহি ভাই, ডিজে ব্রাভোরা ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, এই বিষয়গুলো কাজে লেগেছে। (ধোনির সঙ্গে) বোলিং নিয়ে মূলত কথা হয়। মাঠেই বেশি কথা হয়। মাহি ভাই নিজে এসেই আমাকে বলেন কোনটা কীভাবে করলে ভালো হয়।’

আইপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন তিনিই। যদিও শেষ কয়েক ম্যাচে বেশ খরুচে বোলিং করেছেন। তবে বাংলাদেশে ফেরার আগে আরও দুইটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেতে পারেন মুস্তাফিজ। সে দুটি ম্যাচে নিশ্চয়ই নিজের সেরাটা মেলে ধরতে চাইবেন ‘কাটার মাস্টার’খ্যাত এই গতিতারকা।

;

আচমকা অবসরে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকানোর ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের তারকা নারী ক্রিকেটার বিসমাহ মারুফ। দীর্ঘ ১৭ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তানের জার্সিতে রেকর্ড ১৩৬ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও লিগে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

দীর্ঘসময় পাকিস্তানের নারী দলের নেতৃত্ব দেয়া বিসমাহর অধীনে মোট ৯৬টি ম্যাচ খেলেছে দল। ৬২ টি-টোয়েন্টি ও ৩৪টি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি।

ব্যাট-বল তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার মুহূর্তে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি-দুই ফরম্যাটেই পাকিস্তানের জার্সিতে সর্বোচ্চ রান বিসমাহর। ১৩৬ ওয়ানডেতে ২৯.৫৫ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৩৬৯। এই ফরম্যাটে ২১ বার ফিফটি করলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ ম্যাচে মারুফের রান ২৮৯৩, ফিফটি ১২টি।

আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রসঙ্গে মারুফ জানান, ‘আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা, চ্যালেঞ্জ, জয় এবং অবিস্মরণীয় স্মৃতিতে ভরা। আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে।’

;

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ শাইনপুকুরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের। দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শাইনপুকুর। জিসান আলম ও অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৬৪ রান।

দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পোড়েন শাইনপুকুর ওপেনার জিসান আলম। তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তাকে থামতে হয় ৯৮ রানে। ৬৪ রান আসে আকবর আলির ব্যাটে।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইবুর।

২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।

;