শচীন নটআউট ৪৬



আপন তারিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন রমেশ টেন্ডুলকার

ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন রমেশ টেন্ডুলকার

  • Font increase
  • Font Decrease

শচীন টেন্ডুলকার! ক্রিকেটের সবচেয়ে নতুন ভক্তটির কাছেও ঠিক বর্ণমালার মতো পরিচিত এক নাম। ব্যাট-বলের এই খেলাটির ইতিহাস লিখতে গেলে বড় একটা অংশ জুড়েই থাকবেন তিনি। যার হাত ধরে ক্রিকেট পেয়েছে পূর্ণতা। হয়ে উঠেছে এই উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। সেই ক্রিকেট ইশ্বর খ্যাত শচীন টেন্ডুলকারের আজ ২৪ এপ্রিল, ৪৬তম জন্মদিন।

১৯৭৩ সালের এই দিনে মুম্বাইয়ের এক নার্সিং হোমে জন্ম চিৎকার দিয়েছিলেন শচীন। বাবা রমেশ টেন্ডুলকার অধ্যাপনার সঙ্গে লেখালেখিও করতেন। তিনিই তখনকার বিখ্যাত সুরকার “শচীন দেব বর্মণ” এর সঙ্গে মিলিয়ে ছেলের নাম রাখেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার।

কিন্তু শচীন কর্তার মতো গানের মায়াজাল নয়, ক্রিকেটেই গোটা বিশ্বকে মুগ্ধ করেছেন তিনি। সেই ছোট্ট বেলায় মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে রমাকান্ত আচরেকারের ক্লাসের মনোযোগী ছাত্র হয়ে উঠেন। আসলে শুধু প্রতিভা থাকলেই হয় না, সঙ্গে চাই কঠোর শৃংখলা। দুটোর যুথবদ্ধতাতেই এগিয়ে যেতে শুরু করেন শচীন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556097192874.jpg

মাত্র ১৪ বছর বয়সে বন্ধু বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে স্কুল ক্রিকেটে ৬৬৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন শচীন। যেখানে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৩২৬ রান। তারপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। তখন বয়স মাত্র ১৬। সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারটি এরপর সময়ের পথ ধরে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ব্যাটিংয়ের প্রায় সব বড় রেকর্ডই তার দখলে।

জন্মদিনে চলুন একজনের শচীনের সেই নিজস্ব ভূবনে চোখ রাখি-

যেখানে বেড়ে উঠা..

একেবারে ক্রিকেটপ্রেমী এক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন শচীন। মা রজনী দেবী চাকরি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চাকুরি। বাবা রমেশ টেন্ডুলকার প্রখ্যাত মারাঠি ঔপন্যাসিক। চার ভাইবোনের মধ্যে দুই নম্বর শচীন। দুই ভাই অজিত আর নিতিন। একমাত্র বোন-সবিতা। চার ভাইবোনের মধ্যে বাবা-মায়ের কাছে শচীন ছিলেন সবচেয়ে আদুরে। ছেলের কোন আবদারই ফেলতেন না তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556097221545.jpg

শারদাশ্রম বিদ্যামন্দির

শচীনের অনুপ্রেরণার আঁতুড় ঘর তার বড় ভাই অজিত টেন্ডুলকার। যিনি নিজেও কীনা হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। কিন্তু তার পথটা ফুলে ফুলে সাজানো ছিল না। শেষ অব্দি ছোট ভাইয়ের পথ তৈরি করে দিতে লড়ে গেছেন। মুম্বাইয়ের শারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরে ভর্তি হতেই হাতে ব্যাট পেয়ে যান শচীন।

তার ব্যাট ধরার স্টাইল দেখেই অজিত বুঝতে পারেন ওর ভাইয়ের প্রতিভা আছে। এখন দরকার যত্ন আত্তি। ১৯৮৮ সালে শারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের হয়েই স্কুল ক্রিকেটেই বিরল এক সাফল্য পান শচীন। সেই বছর কয়টি ইনিংস খেলেন তার সবটিতেই সেঞ্চুরি হাঁকান। বন্ধুত্বা হয়ে যায় ক্লাসমেট বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে। লর্ড হ্যারিস শিল্ড ইন্টার স্কুল ক্রিকেটে বন্ধু কাম্বলির সঙ্গে জুটি বেঁধে করেন ৬৬৪ রান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556097315942.jpg

রামাকান্ত আচরেকারের ক্লাসে..

শারদাশ্রম স্কুলের পড়ার সময়ই কোচ পেয়ে যান শচীন। বড় ভাই অজিত নিয়ে যান শিবাজি পার্কের বিখ্যাত কোচ রামাকান্ত আচরেকারের কাছে। তার অধীনেই পরিচর্যা হয়েছে লিটল মাস্টারের। যদিও ছোট বেলায় ব্যাটসম্যান নয়, বোলার হতেই চেয়েছিলেন তিনি। স্কুলে এমআরএফ ফাউন্ডেশনের প্রথম ট্রেনিংয়ে অংশ নেন ফাস্ট বোলিংয়ে।যে ক্যাম্পে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি পেস বোলার ডেনিস লিলি। তিনিই শচীনের উচ্চতা (৫ফুট ৫ ইঞ্চি) দেখে ফাস্ট বোলিং নয়, ব্যাটিংয়ে মনোযোগের পরামর্শ দেন।

তারপর থেকেই ব্যাট নিয়ে নেমে পড়েন নেটে। নেটে তিনি এতটাই ভালো করতে থাকেন যে, অবাক খোদ কোচ রামাকান্ত আচরেকার। স্টাম্পের ওপর এক রুপির কয়েন রাখতেন কোচ। বলে দিতেন শচীনের উইকেট যে নেবে সেই পাবে সেই কয়েন। কতো দিন যে বৃথা বল করে গেছেন বোলাররা!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556097334168.jpg

বাইশে বিয়ে

অনেকেই বলেন শচীনের এমন আকাশ ছোঁয়া সাফল্যের নৈপথ্যে আছেন তার স্ত্রী। ছোট্টবেলার সেই ডানপিটে শচীনকে শৃঙ্খলিত জীবনে অভ্যস্ত করেছিলেন অঞ্জলি। মাত্র বাইশ বছর বয়সে অঞ্জলিকে বিয়ে করেন এই তারকা ব্যাটসম্যান।

অঞ্জলিকে যখন বিয়ে করেন তখন শচীনের চেয়ে তার বয়স ছয় বছরেরও বেশি। শচীন সাড়ে ২২, অঞ্জলির ২৮! পেশায় ডাক্তার অঞ্জলি। তার বাবা আনন্দ মেহতা গুজরাটের মানুষ। মা ব্রিটিশ সমাজকর্মী আনাকেল মেহতা। সেই পরিবারের মেয়েটি তার পেশা বিসর্জন দিয়ে থেকেছেন শচীনের পাশে। তাদের সংসারে এক মেয়ে সারা আর এক ছেলে অর্জুন। ছেলেটি বাবার মতোই ক্রিকেটার হতে লড়ে যাচ্ছে!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556097436234.jpg

১৬ বছরে শুরু

সেই ১৯৮৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু তার। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক। তারপর সময়ের পথ ধরে গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। শচীনই একমাত্র ব্যাটসম্যান যার রয়েছে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি! জিতেছেন বিশ্বকাপও।

১৭ বছর বয়সে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা মেলে। এরপর ২০০ টেস্টে ৩২৯ ইনিংসে করেন রেকর্ড ১৫৯২১ রান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556097454099.jpg

২০১২ সালে বিদায় নেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। তার আগে প্রায় ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে ওয়ানডেতে ৪৬৩ ম্যাচ খেলে করেন ১৮৪২৬ রান। শতরান ৪৯টি। তার এমন অর্জনের তালিকা করতে গেলে ফুরোবে না।

ক্রিকেট খেলাটি যতোদিন থাকবে ঠিক ততোদিন তার নামটা নিতেই হবে!

   

২৪০ বলের ম্যাচ শেষ ২ বলেই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচটি নির্ধারিত থাকে ২০ ওভার করে ৪০ ওভারের। বলের হিসেবে ২৪০ বল। তবে এই ২৪০ বলের ম্যাচ এবার শেষ হলো স্রেফ ২ বলেই! তবে না, এই ২ বলে ম্যাচ নিস্পত্তি হয় নি। গত রাতের পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ২ বলের পরই ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে। 

রাওয়ালপিন্ডিতে এদিন ম্যাচ শুরুর আগ থেকেই নামে বৃষ্টি। অনেকটা সময় পেরিয়ে বৃষ্টি থামলে শুরু হলেও তা কমে আসে ইনিংস প্রতি ৫ ওভারে। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে কিউইরা। সেখানে প্রথম ওভার করতে যান শাহিন শাহ আফ্রিদি। দ্বিতীয় বলে ওপেনার টিম রবিনসনকে বোল্ডও করেন। তবে ঠিক এর পরেই ফের নামে বৃষ্টি এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এর আগে ২ বল খেলে কিউইদের স্কোরবোর্ডে ছিল ১ উইকেটে ২ রান। 

এদিকে ম্যাচটি দিয়ে প্রায় চার বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন মোহাম্মদ আমির। তবে ফেরার এই ম্যাচে একটি বলও করতে পারলেন না এই বাঁহাতি তারকা পেসার। আমির এর আগে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই বছরের ডিসেম্বরেই আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। তবে প্রায় চার বছর পর অবসর ভেঙে ফিরলেন দলে, সেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়েই।

ম্যাচটি দিয়ে অভিষেক হয়েছে পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটারের। আমিরের ফেরার মতো উসমান খান, আবরার আহমেদ ও মোহাম্মদ ইরফানের অভিষেক স্মৃতি হিসেবে থাকলো স্রেফ কয়েক মিনিটের ফিল্ডিং। 

চলতি বছরের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই মূলত পাঁচ ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে দল দুটি। যদিও আইপিএলে ব্যস্ত থাকায় পাকিস্তান সফরে আসেননি কিউইদের মূল সারির অনেক ক্রিকেটার। 

আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল এই রাওয়ালপিন্ডিতেই গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচটি। পরে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ যথাক্রমে ২৫ ও ২৭ এপ্রিল, লাহোরে। 

;

সমর্থকদের কারণে মোটা অঙ্কের জরিমানা বার্সার 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যাচটি পিএসজির মাঠে ৩-২ ব্যবধানে জেতার পর সেমির স্বপ্নে বেশ ভালোভাবেই দেখছিল বার্সেলোনা। তবে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে ৪-১ ব্যবধানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় কাতালানরা। সেই হতাশার দুদিন না পেরোতেই আরও এক দুঃসংবাদ পায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। গত সপ্তাহে পিএসজির মাঠের সেই ম্যাচটিতে বার্সা সমর্থকদের বর্ণবাদী আচরণসহ একাধিক শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা সূত্র ধরে স্প্যানিশ জায়ান্টদের গুণতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের জরিমানা। 

তিনটি কারণ দর্শীয়ে বার্সাকে ৩২ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা) জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। 

পিএসজির মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে বার্সা সমর্থকদের করা বর্ণবাদী আচরণেই মূলত এই জরিমানা। এই কারণে হয়েছে ২৫ হাজার ইউরো জরিমানা। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার সূত্রমতে, বাকি দুটি কারণ স্টেডিয়ামের আসন নষ্ট ও আতশবাজি পোড়ানো। এই দুই কারণে যথাক্রমে জরিমান ৫ হাজার ও ২ হাজার ইউরো। 

এদিকে কেবল জরিমানাই নয় পাশাপাশি শাস্তিও ভোগ করতে হচ্ছে বার্সাকে। উয়েফার যেকোনো প্রতিযোগিতায় তাদের পরের ম্যাচের অ্যাওয়ে টিকিট নিজেদের সমর্থকদের কাছে বিক্রি করতে পারবে না কাতালান ক্লাবটি। এছাড়া পিএসজির স্টেডিয়ামে ক্ষয়ক্ষতি বিষয়টি ফ্রেঞ্চ ক্লাবের সঙ্গে মীমাংসা করতে বার্সাকে এক মাসের সমক্য বেঁধে দিয়েছে উয়েফা।  

;

আইপিএলে চেন্নাইয়ের ম্যাচ ছাড়াও টিভিতে যা থাকছে আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে দিনের একমাত্র ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাঠে নামবে মুস্তাফিজুর রহমানের চেন্নাই সুপার কিংস। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।

 

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

মোহামেডান-ব্রাদার্স

সকাল ৯টা, বিসিবি ইউটিউব চ্যানেল

গাজী গ্রুপ-সিটি ক্লাব

সকাল ৯টা, বিসিবি ইউটিউব চ্যানেল

রূপগঞ্জ টাইগার্স-পারটেক্স

সকাল ৯টা, বিসিবি ইউটিউব চ্যানেল

 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল

আবাহনী-শেখ জামাল

বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট, টি স্পোর্টস

 

আইপিএল

লক্ষ্ণৌ-চেন্নাই

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

 

সৌদি প্রো লিগ

আল নাসর-আল ফাইহা

রাত ৯টা, সনি স্পোর্টস ২

;

মাইলফলকের ম্যাচে পাঞ্জাবকে হারিয়ে রোহিতকে উপহার মুম্বাইয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঞ্জাব কিংস আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দুই দলই এই ম্যাচে এসেছিল ৬ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে, অর্থাৎ ম্যাচটা যেই হারবে, সেই চলে যাবে পয়েন্ট তালিকার তলানির আরও একটু কাছে। ম্যাচটা রোহিত শর্মার জন্য বিশেষ কিছুই ছিল। আইপিএল ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিনি যে খেলছিলেন ২৫০তম ম্যাচ। সেই ম্যাচে তার দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে হতাশ করেনি। ১৯২ রান করে প্রতিপক্ষের ১৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েও খানিকটা বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। তবে শেষমেশ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটা জিতল তারাই। পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারিয়ে মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচে রোহিতকে জয় উপহার দিল মুম্বাই।
ঘরের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তৃতীয় ওভারে প্রথম ধাক্কা পায়। ৮ বলে ৮ রান করে আউট হন ঈশান কিষাণ। রোহিত শর্মাও বড় কিছু করতে পারেননি। ২৫ বলে ৩৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব। ৫৩ বলে ৭৮ রান করে দলকে দেন বড় রানের দিশা। সেটাকে পূর্ণতা দেন টিম ডেভিড আর তিলক ভার্মা। ডেভিড ১৪ আর তিলক অপরাজিত ৩৪ করে দলকে নিয়ে যান ১৯২ রানে।
জবাব দিতে নেমে পাঞ্জাব কিংস শুরুর ১৩ বলেই উইকেট খুইয়ে বসে ৪টি। যশপ্রীত বুমরাহ আর কাইল কোটজিয়া দুটি করে উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন স্বাগতিকদের টপ অর্ডার। এরপরে শশাঙ্ক সিং ইনিংসের হাল ধরেন। হরপ্রীত সিংকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। হরপ্রীত ১৩ রান করেন এবং এরপরে জিতেশ শর্মা ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
২৫ বলে ৪১ করে শশাঙ্ক যখন ফিরছেন, তখন লড়াইয়ের ব্যাটনটা যেন দিয়ে যান আশুতোষকে। যশপ্রীত বুমরাহকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করা আশুতোষ একে একে হাঁকান ৭টি ছক্কা। মাত্র ২৩ বলে করেন ফিফটি। এরপরও থামেননি। দল যে ১১১/৭ থেকে ১৬৮/৮ পর্যন্ত গেল, তা তার ২৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ভর করেই। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি পাঞ্জাবকে জয় এনে দিতে পারেননি। আশুতোষকে সাজঘরে ফেরান জেরাল্ড কোটজিয়া। এরপরে হরপ্রীত ব্রারও ২০ বলে ২১ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৯ রানে এই ম্যাচটি জেতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সাত ম্যাচে তৃতীয় জয় নিয়ে দলটা চলে এসেছে তালিকার ৭ম স্থানে।

;