গোল উৎসবের ম্যাচে সিটির স্বপ্ন ভেঙে সেমিতে টটেনহ্যাম



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
অ্যাওয়ে গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে গোল টটেনহ্যাম

অ্যাওয়ে গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে গোল টটেনহ্যাম

  • Font increase
  • Font Decrease

রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ! যেখানে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলল দুই ক্লাবই। গোলের পর গোল। খেলা শুরু প্রথম ১১ মিনিট না যেতেই দেখা মিলল চার গোলের। এরপর একই ছন্দ দুই ক্লাবের। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে নান্দনিক ফুটবল। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেষ হাসি টটেনহ্যাম হটস্পারের।

জিতেও রক্ষা হলো না ম্যানচেস্টার সিটির। হেরেও অ্যাওয়ে গোল টটেনহ্যামকে নিয়ে গেল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে।

কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বুধবার রাতে ৪-৩ গোলে জয় পায় সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৪-৪। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করায় সেমিতে উঠে গেল টটেনহ্যাম। এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতে দলটি।

এরই পথ ধরে এবারই প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদা পূর্ণ লড়াইয়ে প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনালে উঠলো টটেনহ্যাম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/18/1555553338122.jpg

সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স। যারা রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের স্বপ্ন ভেঙে উঠে এসেছে শেষ চারে।

উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে টটেনহ্যামের সাফল্যের নায়ক এবারো সন হিউং-মিন। শেষ আটের প্রথম লেগের জয়সূচক গোল করেন তিনি। এরপর বুধবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফরোয়ার্ড প্রতিপক্ষের মাঠে করেন দুটি গোল।

যদিও রাহিম স্টার্লিংয়ের জোড়া গোলে সেমির স্বপ্ন দেখছিল ম্যানসিটি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তারকা কোচ পেপ গার্দিওলাকে হতাশ হয়েই ছাড়তে হলো মাঠ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/18/1555553430984.jpg

আট গোলের ম্যাচে প্রথম গোলটির দেখা মেলে ৪ মিনিটে। সতীর্থ কেভিন ডি ব্রুইনের পাস থেকে বল পেয়ে সিটিকে এগিয়ে দেন রাহিম স্টার্লিং। কিন্তু তিন মিনিট পরই হিউং-মিন ফেরান সমতা। তার শট প্রতিপক্ষের গোলকিপার এদেরসনের পায়ে লেগে চলে যায় জালে।

দশম মিনিটে আবারও ম্যাজিক হিউং-মিনের। ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের পাস থেকে বল পেয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান তিনি। যদিও মিনিট না ঘুরতেই খেলায় সমতা ফেরায় সিটি। অবশ্য ভাগ্যও সয়াহতা করে তাদের। বের্নার্দো সিলভার শট থেকে আসা বল আটকাতে চেষ্টা করেছিলেন উগো লরিস। এরপর বল ডিফেন্ডার ড্যানি রোজের পায়ে লেগে টটেনহ্যামের পোষ্টে চলে যায় (২-২)।

এরপর ২১তম মিনিটে স্টার্লিং ম্যাজিকে ফের এগিয়ে যায় সিটি। এরপর ৫৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন সার্জিও আগুয়েরো। মনে হচ্ছিল ম্যানসিটিই পা রাখভে সেমিতে। কারণ তখন দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৪-৩!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/18/1555553450865.jpg

কিন্তু কে জানতো এরপরই কপাল পুঁড়বে। খেলার ৭৩তম মিনিটে সমতা ফেরায় টটেনহ্যাম। কিরান ট্রিপিয়ারের ভাসানো কর্নার থেকে আসা বল ফার্নান্দো লরেন্তের পায়ে লেগে জালে চলে যায়। বলটি হাতে লেগেছে কীনা বুঝতে ভিএআর দেখে গোলের বাঁশি দেন রেফারি।

যদিও ইনজুরি সময়ে স্টার্লিং প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠালেও গোল পেলো না সিটি। কারণ আগুয়েরো ছিলেন অফসাইডে। ভিএআরে বাতিল হয় গোল। তারই পথ ধরে বিদায় নেয় সিটি। আর টটেনহ্যাম উঠে যায় সেমিতে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবারের আরেক ম্যাচে অনায়াসেই সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে লিভারপুল। শেষ আটের ফিরতি লেগে তারা পোর্তোকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে। দুই লেগ মিলে ৬-১ ব্যবধানে এগিয়ে অলরেডরা পেলো শেষ চারের টিকিট। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে লিওনেল মেসির বার্সেলোনার সঙ্গে লড়বে মোহাম্মদ সালাহর লিভারপুল।

   

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আবাসন খাতের প্রথম সিটি ব্র্যান্ড রূপায়ণ সিটি ও ক্রিকেটের ব্র্যান্ড সাকিব আল হাসান এবার হয়েছেন জুটিবদ্ধ। রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রূপায়ণ সিটি উত্তরার স্কাই ভিলা লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রূপায়ণ সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সাকিব। রূপায়ণ সিটির পক্ষে সিইও এম মাহবুবুর রহমান চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল ও উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন পি জে উল্লাহ (অব.), চিফ অপরেটিং অফিসার ব্রিগেডিয়ার সালাহউদ্দীন (অব.), সিবিও (আরসিইউ) রেজাউল হক লিমন, সিবিও (ম্যাক্সাস) গৌতম তরফদারসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে রূপায়ণ সিটি ঘুরে দেখেন সাকিব আল হাসান। এ সময় তিনি বলেন, একদমই ব্যতিক্রম এখানকার পরিবেশ। কারণ খেলাধুলার জায়গা আছে, বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ। বয়স্কদের জন্য আছে হাঁটা-চলার পৃথক রাস্তা। যা ঢাকার অন্যান্য জায়গায় বড়ই অভাব। এখানকার পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। আমি জানি না ক্রিকেটারদের কেউ রূপায়ণ সিটিতে থাকেন কিনা। যদি না থাকেন তাহলে তারা এদিকে আসতে পারে।

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে অংশ নেবেন বলেও জানান সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের গেটেড কমিউনিটির ধারণাতে ‘ব্রেক দ্য স্কয়ার ফিট স্টোরি’- এই দর্শনের মাধ্যমে নতুন মাত্রা দিয়েছে রূপায়ণ সিটি। যার মাধ্যমে এসেছে প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি- রূপায়ণ সিটি উত্তরা। যেখানে আছে রূপায়ণ স্কাই ভিলা, ম্যাক্সাস- দি মল অব বাংলাদেশ এবং নেক্সট জেনারেশন স্মার্ট সিটি ‘নর্থ সাউথ সিটি’।

;

স্বপ্ন সত্যি হলো, অবশ্যই এটা সৈকতের প্রাপ্য



মাসুদুর রহমান মুকুল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৈকতকে তো আসলে শুধু আম্পায়ার হিসেবে চিনি না, তারও বহু আগে থেকে প্লেয়ার হিসেবে তাকে দেখে আসছি '৯০-থেকে। তখন থেকেই দেখেছি ওর ভেতর উদ্যম আছে। ও মানসিকভাবে অনেক শক্ত ও ডেডিকেশন অনেক হাই। ও যখন আম্পায়ারিংয়ে এসেছে তখন কিন্তু অনেক পরিশ্রম করে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে ও যেই সংগ্রাম করে গেছে মাঠ ও মাঠের বাইরে তা অকল্পনীয়। সে যেটা অর্জন করেছে সেটা তার প্রাপ্য ছিল।

কোভিডের পর থেকে আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম, সৈকত আইসিসির এলিট প্যানেলে যাবে। কেননা, কোভিডের পর যেই সুযোগগুলো এসেছে সেসব সৈকত খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।

আর একটা বিষয়, এসব নিয়ে ভারতে যদি সিনেমা হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সৈকতকে নিয়েও এমন সিনেমা হতে পারে।

সৈকতের সবচেয়ে বড় গুণ যেটা সে তার ভুলকে সুন্দরভাবে স্বীকার করে। ও যদি কোনো ভুল করে থাকে, সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে বা সতীর্থদের সাথে কোনো বাজে ব্যবহারে করে থাকে; তাহলে সে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই সেটা মেনে নেই। এটা হলো সৈকতের সবচেয়ে বড় গুণ। এছাড়াও সৈকত অনেক সাহসী একটা ছেলে। সে যদি মনে করে এই পথে এগোলে সঠিক; যদিও এই পথে এগোলে অনেক বাধা আসবে তবুও সে ওই সঠিক পথেই এগোয়। ইতিবাচকভাবে ওর জেদটা খুব ভালো।

টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ তারপর বাকি অ্যাসাইনমেন্ট সামনে আসবে। পরে হয়তো টেস্ট ম্যাচগুলো আসবে। আর যখন নতুন কেউ এলিট প্যানেলে ঢুকে, এটা হলো একটা ঐতিহ্য- জানি না হবে কিনা। অ্যাশেজ মানে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দিয়ে এটা শুরু হয়।

সৈকত আমাদের জন্য বড় একটা পথ দেখিয়ে গেল যে, কষ্ট করলে ওখানে যাওয়া যায়। সৈকতের এই অর্জনটাকে আমরা যারা আম্পায়ারিং করছি বা যারা করবে আমাদের বোর্ডও এই অর্জনটাকে কাজে লাগাতে হবে। কাজে লাগানো বলতে আমি বুঝাচ্ছি, বিসিবি কিন্তু যারা অনেক ক্রিকেট খেলছে তাদের আম্পায়ারিংয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে। আর আমরাও যারা আম্পায়ারিং করছি তারা কিন্তু এলিট প্যানেলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারি। আইসিসির এলিট প্যানেলে যাওয়ার মাঝখানের যেই পথচলাটা সেই পথচলাটা বা ত্যাগের জায়গাটা বোর্ড বা আমাদের ডিপার্টমেন্ট আরেকটু সহজ করে দেবে।

দেশে আম্পায়ারিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের অর্থনৈতিক দিক যত উন্নত হবে, তত আমাদের যোগ্য ছেলেরা আম্পায়ারিংয়ে আগ্রহী হবে।

সৈকত-মুকুল-গাজী বা তানভীর এখন যারা আছে বা অন্য যারা আছে এই পর্যন্ত আসতে হলে কিন্তু অনেক ত্যাগ করতে হবে নতুনদের। আর এই রাস্তাটুকু আসার জন্য উদ্যোগটা বোর্ড এবং আম্পায়ারিং নিয়ে কাজ করে সেই ডিপার্টমেন্ট থেকে নিতে হবে।

(সৈকতের) স্বপ্ন সত্যি হলো। এবং অবশ্যই সে এটার প্রাপ্য। সৈকতের ১৩ বছরের যুদ্ধ এটা। আইসিসি প্যানেলে সে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আম্পায়ারিং করছে। আমার ৬ বছর রানিং। আমিও স্বপ্ন দেখছি।

লেখক: আন্তর্জাতিক আম্পায়ার

;

আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুকাল বাংলাদেশের আম্পায়াররা ছিলেন পাদপ্রদীপের আড়ালে। তবে সেই দিন গত হয়েছে। দিনকয়েক আগে বাংলাদেশের চারজন নারী আম্পায়ার এবং একজন নারী রেফারি আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। এবার আইসিসির এলিট প্যানেলের অংশ হলেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা।

আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন শরফুদ্দৌলা।

২০০৬ সাল থেকে আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে আম্পায়ার হিসেবে কাজ করছেন শরফুদ্দৌলা। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন শরফুদ্দৌলা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এই আম্পায়ার।

এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়ার খবর পেয়ে আইসিসিকে শরফুদ্দৌলা বলেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়া অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। বাংলাদেশ থেকে প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়ায় উপলক্ষটা আরও বিশেষ হয়েছে। আমি এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’

এদিকে আইসিসির এলিট রেফারি প্যানেলের কলেবর ছোট করে ৬ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাদ পড়েছেন ২০০৩ সাল থেকে এই প্যানেলের সদস্য হিসেবে থাকা ক্রিস ব্রড।

;