লিগ পর্বে সেরা রূপগঞ্জ
এই ম্যাচে সব নজর ছিলো তাসকিন আহমেদের ওপর। ৬৫ দিন পরে কোন ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন এই পেসার। কিন্তু ফিরে আসার ম্যাচে আলোচনায় থাকার মতো কিছুই করতে পারেননি তিনি। ৫ ওভারে ৩৬ রান খরচে উইকেট শূন্য। তবে তার দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পুরোদুস্তর দাপট দেখিয়ে এই ম্যাচে জিতেছে ৯ উইকেটে।
মিরপুরের এই ম্যাচ জিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ লিগ পর্ব শেষ করলো পয়েন্টের শীর্ষে থেকে। সুপার লিগ শুরু করবে রূপগঞ্জ ২০ পয়েন্ট নিয়ে। ১১ ম্যাচে মাত্র একটি এবং ১০টি জয়। দাপুটে পারফরমেন্স! সমান সংখ্যক ম্যাচে ৩ হার ও ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আবাহনী।
উত্তরার ব্যাটসম্যানরা মিরপুরের স্লো এবং স্পিন সহায়ক উইকেটে লড়াই জমিয়ে তোলার মতো স্কোরই গড়তে পারেনি। পুরো ৫০ ওভার পর্যন্ত খেলেও দুশোর ঘরে যেতে পারেনি তারা। থেমে যায় ৮ উইকেটে ১৮০ রানে। ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ৭৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। মাঝে মিনহাজুল আবেদিন ৩৭ ও সাকির হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ বলে ৩৩ রান।
নাবিল সামাদ ম্যাচের সেরা বোলার। ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ২৯ রানে ৩ উইকেট পান তিনি। পেসার ঋষি ধাওয়ান ৪৫ রানে শিকার করেন ২ উইকেট। দলের বোলারদের দাপুটে এই ম্যাচে তাসকিন আহমেদের ব্যর্থতা বড় বেশি চোখে লাগে!
মামুলি টার্গেট রূপগঞ্জের জন্য আরো সহজ হয়ে যায় টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায়। ওপেনিং জুটিতেই যোগ হয় ৯৬ রান। মেহেদি মারুফ ১১৪ বলে অপরাজিত ৬২ রান করেন। মোহাম্মদ নাঈম ৭৭ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। ৯ উইকেটে দলের জয়ে মুমিনুল হকের যোগাড় ৫৩ বলে হার না মানা ৪৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: উত্তরা স্পোর্টিং: ১৮০/৯ (৫০ ওভারে, আনিসুল ৫৫, মিনহাজুল ৩৭, সাকির ৩৩, নাবিল সামাদ ৩/২৯, ধাওয়ান ২/৪৫)। রূপগঞ্জ: ১৮১/১ (৪০.৪ ওভারে, মেহেদি ৬২*, নাঈম ৬৩, মুমিনুল ৪৭*)। ফল: রূপগঞ্জ ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: নাবিল সামাদ।