এই নিউজিল্যান্ডেও ম্যাককালামের সেই মন্ত্র!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
বিশ্বকাপের নিউজিল্যান্ড দল

বিশ্বকাপের নিউজিল্যান্ড দল

  • Font increase
  • Font Decrease

চার বছর আগের পুরানো বিশ্বকাপের সেই মন্ত্র নিয়েই এবারো নামছে নিউজিল্যান্ড। যে মন্ত্রের নাম-আক্রমণ আর আক্রমণ! বোলিং তোপে প্রতিপক্ষকে তেঁড়েফুড়ে একাকার করে দেয়া। সঙ্গে ব্যাটিংয়েও ঝড় তোলা! সেবারের বিশ্বকাপের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সফল সেই মন্ত্রে এবারো উজ্জ্বীবিত নিউজিল্যান্ড।

কিউই কোচ গ্যারি স্টিড তাই জানালেন। এবারের বিশ্বকাপে সবার আগে পনের জনের চুড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে দলের কৌশল ও পরিকল্পনা প্রসঙ্গে নিউজিল্যান্ড কোচ বলছিলেন-রান আটকানোর চেয়ে প্রতিপক্ষকে অলআউটের কৌশলের ওপরই আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। বিশ্বকাপে আমাদের সাফল্যও নির্ভর করছে এই কৌশলের ওপরই।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড নিজেদের মাটিতে খেলা ৮ ম্যাচের সবগুলোকেই জয় পায়! এই আট ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে প্রায় উড়িয়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুর সাত ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে তারা। ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বোলাররাই বেশি দাপট দেখান। ইংল্যান্ডকে মাত্র ১২৩ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর গ্রপ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়াকেও মাত্র ১৫১ রানে অলআউট করে নিউজিল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির ফাস্ট বোলিং জুটি সেই বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের কাছে ছিলো মহাত্রাসের এক নাম!

ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ডকে ১২৩ রানে গুঁড়িয়ে দেয়া ম্যাচে টিম সাউদি ৩৩ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন। শুরুর পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই নিউজিল্যান্ডের বোলাররা ম্যাচ সেরা হন।

বোলারদের এই কৃতিত্বের ভিড়ে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরাও কম যাননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ৩৯৩ রান তুলে। ওপেনার মারটিন গাপটিল ১৬৩ বলে করেন ২৩৭ রান!

শুরুর আট ম্যাচেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা নিউজিল্যান্ড মেলবোর্নের ফাইনালে গিয়েই নেতিয়ে যায়। থেমে যায় তারা মাত্র ১৮৩ রানে। প্রায় হেসে খেলেই ফাইনাল জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিং-বোলিংয়ের আক্রমণের সেই মুলমন্ত্র শুধু ফাইনালেই দেখাতে পারেনি। এবং পুরো টুর্নামেন্টে ঐ একটা ম্যাচই হারে তারা!

এবারের বিশ্বকাপে কি ধরনের ক্রিকেট খেলতে চায় নিউজিল্যান্ড সেই প্রসঙ্গ ব্যাখায় কিউই কোচ গ্যারি স্টিড বলছিলেন-‘বিশ্বকাপের নয়টি দলের খেলার ধরনে কিছুটা পার্থক্য তো অবশ্যই আছে। বলাবলি হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপও হবে রান উৎসবের ম্যাচ। তবে আমি মনে করি সেরা সুযোগটা আমাদের   তৈরি করে দিতে পারে বোলিংই। আগ্রাসী-আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েই প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে গুটিয়ে দিতে হবে। বোলিংয়ের এই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণটাই হবে এবারের বিশ্বকাপের মুল্য ফ্যাক্টর।’

বোঝাই যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপেও নিউজিল্যান্ড নামছে ফাস্ট বোলিংয়ের ঝাঁঝ নিয়েই!

   

হাবিবুরের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ বড় জয় পেয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। হাবিবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিটি ক্লাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী। তবে দলটির বেশিরভাগ ব্যাটার ক্রিজে থিতু হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসায় তাদের সংগ্রহ বড় হয়নি। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে ওপেনার হাসানের ব্যাটে। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। দুটি করে উইকেট পান হুসনা হাবিব মেহেদী, মঈন খান এবং আব্দুল গাফফার সাকলাইন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মেহেদী মারুফকে হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি গাজীকে। বরং তিনে নামা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সেঞ্চুরির সঙ্গে অন্য ওপেনার আনিসুল ইসলামের ফিফটিতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় তারা।

৮১ বলে ১০ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হাবিবুর। ১০ চার এবং ১ ছক্কায় ৬১ রান আসে আনিসুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগে নাম লিখিয়েছে গাজী। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে কেবল ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিটি ক্লাব রয়েছে ৯ নম্বরে।

;

বাংলাদেশ কেন এমন করছে, আকাশ চোপড়ার প্রশ্ন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা নিয়ে সরগরম দেশের ক্রিকেট। তাকে আইপিএলে নিরবচ্ছিন্নভাবে খেলতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মাঝপথে ফিরিয়ে আনা উচিৎ, তা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা। বাংলাদেশের বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা বিষয়টি নিয়ে মত দিলেও ভারতীয় কেউ এতদিন এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে সে ধারা ভেঙে এবার মুস্তাফিজ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথ থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট করেছেন আকাশ। সেখানে তার প্রশ্ন, ‘মুস্তাফিজুর রহমান চলে যাচ্ছে। সে চেন্নাইয়ের হয়ে (পুরো মৌসুম) খেলতে পারবে না। শুধু আর কয়েকদিনের জন্য আছে। বাংলাদেশ কেন এমন করছে?’

চেন্নাইয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করছেন মুস্তাফিজ। ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১০ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও এই বাংলাদেশি পেসার। এমন অবস্থায় চেন্নাই যদি পুরো মৌসুম তার সার্ভিস না পায়, সেক্ষেত্রে দলটি বিপদে পড়বে বলে মনে করেন আকাশ, ‘তাকে (মুস্তাফিজ) খেলতে দাও। সে চলে গেলে চেন্নাইয়ের ক্ষতি হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শুরুতে মুস্তাফিজকে আইপিএলে অংশ নেয়ার জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়। পরে ছুটির মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়।

;

নাসুমের ফাইফার, মোহামেডানের সহজ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারতে হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। আর তাতে পয়েন্ট টেবিলেও হোঁচট খেয়েছে দলটি। সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে এদিন ডিপিএলে মিরপুরের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোহামেডান। নাসুম আহমেদের ফাইফারে মাত্র ১৩৫ রানেই আলআউট ব্রাদার্স। যা ব্যাট হাতে ৫ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ২৩.২ ওভারে টপকে গেছে মোহামেডান।

এদিন বল হাতে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন নাসুম। নিজের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরান রহমাতুল্লাহ আলিকে। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ইমতিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, রাহাতুল ও ব্রাদার্স অধিনায়ক মনির হোসাইনকে। তার বোলিং তোপের সামনে সুবিধা করতে পারেননি ব্রাদার্সের তেমন কেউই।

বল হাতে নাসুম দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজের থেকেও। তার শিকার ৩ উইকেট। মোহামেডানের স্পিনারদের দাপুটে দিনে মাঝে মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল ফেরদৌসের ৪৫ রানে ভর করে কোনো রকমে ৩৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স।

জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলে মোহামেডান। দলীয় ৬৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় মোহামেডান। সাজঘরে ফেরেন ১০ রানে থাকা রনি তালুকদার। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়েছে মোহামেডানের। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন দলটির অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ৭১ বলে ৯২ রানে।

লিগে এটি মোহামেডানের ৮ম জয়। আর এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা আবাহনী ১১ ম্যাচের সবকটিতেই জয় নিয়ে পয়েন্ট ২২।

;

আতালান্তাকে হারিয়েও ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় লিভারপুলের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচে আতালান্তার মাঠে ম্যাচের একদম শুরুতেই গোলের দেখা পায় লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের ব্যবধান নিয়েই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা। তবে জয়েও টুর্নামেন্টের সেমিতে ওঠা হলো না তাদের। কেননা আগের লেগের ঘরের মাঠে ইতালিয়ান ক্লাবটির কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সেমিতে পৌঁছায় আতালান্তা। 

এদিকে চলতি আসর শেষেই লিভারপুলকে বিদায় বলবেন ক্লপ। এতে ইউরোপা লিগে এই হারে বিদায়বেলায় খালি হাতেই শেষ হলো এই জার্মান কোচের ইউরোপ অধ্যায়। চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করতে না পারায় লিভারপুলের সামনে এই ইউরোপা লিগই ছিল একমাত্র ইউরোপ প্রতিযোগিতার লড়াই। সেখানে শিরোপা উপহার দিয়েই ক্লপকে বিদায় বলতে চেয়েছিল সবাই। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠল না। 

প্রিমিয়ার লিগেও সবশেষ রাউন্ডের ম্যাচে ধাক্কা খেয়েছে লিভারপুল। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে শীর্ষে ছিল তারা। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে তাদের। 

আতালান্তার মাঠে ম্যাচটিতে সেমি নিশ্চিত করতে অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো লিভারপুলকে। ম্যাচটা অল রেডরা শুরুও করেছিল সেভাবেই। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে সফল স্পট কিক থেক গোল পান মোহাম্মদ সালাহ। সেই শুরু, সেই শুরুর গোলেই শেষ। মাঝে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল। সমতাতেও ফেরেনি আতালান্তা। তবে আগের লেগে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় সেমির পর এর হারে কোনো ফারাকই পড়েনি ইতালিয়ান ক্লাবটির। 

এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে বেনফিকাকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছেছে মার্শেই। এই ফ্রেঞ্চ ক্লাবের সঙ্গেই সেমিতে লড়বে আতালান্তা। 

;