সনাৎ জয়াসুরিয়াকে ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করলো আইসিসি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
সনাৎ জয়াসুরিয়া : দু’বছরের জন্য নিষিদ্ধ

সনাৎ জয়াসুরিয়া : দু’বছরের জন্য নিষিদ্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

বোঝাই যাচ্ছিলো সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন সনাৎ জয়াসুরিয়া। হলোও তাই। একেই বলে বিপদকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সেই গর্তে পা ফেলা! দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে সহযোগিতা না করায় আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অধিনায়ককে দু’বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট কর্মকান্ডে নিষিদ্ধ করেছে।

আইসিসি সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে তার এই শাস্তির প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

গত বছর আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) সনাৎ জয়াসুরিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন বিধিমালা ভঙ্গের জন্য দুটো অভিযোগ আনে। এই অভিযোগে বলা হয় শ্রীলঙ্কার এই সাবেক অধিনায়ক আকসুকে দুর্নীতি দমনের কাজে সহযোগিতা করছেন না। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত করা, তদন্ত কাজ দীর্ঘায়িত করা, প্রমান নষ্ট করা, মুছে ফেলা অথবা তথ্যাদি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

তদন্ত চলাকালে আকসু প্রমান উপাত্ত হিসেবে জয়াসুরিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও চেয়েছিলো। কিন্তু জয়াসুরিয়া এসব অনুরোধ পাত্তাই দেননি। আকসু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার একদিন পরে জয়াসুরিয়া সাংবাদিকদের জানান-তিনি সবসময় স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে অটল। ‘ম্যাচ ফিক্সি’ অথবা ‘পিচ ফিক্সি’ এর মতো কোন ‘দুর্নীতিমুলক কর্মকান্ডের’ সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

আকসু বেশ দীর্ঘসময় তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা করার পর সনাৎ জয়াসুরিয়ার বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ এবং ‘পিচ ফিক্সিং’ এর অভিযোগ এনেছিলো। অভিযোগ আনার পর এই তদন্তের বাকি প্রক্রিয়ায় জয়াসুরিয়াকে সহায়তা করার জন্য আকসুর অনুরোধ জানায়। কিন্তু আকসুর সেই অনুরোধ গনায় ধরেননি জয়াসুরিয়া। আকসুর জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল জানান-শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে চলে আসা দুর্নীতির চক্রকে ভেঙ্গে ফেলতে এবং দুর্নীতিবাজদের প্রকাশ্য আনতে আকসু ব্যাপক তদন্ত চালায়।

আকসুর এই তদন্ত দল বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জয়াসুরিয়াকে ডাকে। তার সহায়তা চায়। কিন্তু কখনোই জয়াসুরিয়া তাদের ডাকে সাড়া দেননি। বাধ্য হয়েই এখন আইসিসি তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নিলো।

১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলঙ্কার ওপেনার সনাৎ জয়াসুরিয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যান। বোর্ডে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন কিছুদিন। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন। মাতারা জেলা থেকে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিতও হন। মহেন্দ্র রাজাপাকশের শাসন আমলে সনাৎ জয়াসুরিয়া শ্রীলঙ্কা সরকারের উপমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

   

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ শাইনপুকুরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের। দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শাইনপুকুর। জিসান আলম ও অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৬৪ রান।

দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পোড়েন শাইনপুকুর ওপেনার জিসান আলম। তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তাকে থামতে হয় ৯৮ রানে। ৬৪ রান আসে আকবর আলির ব্যাটে।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইবুর।

২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।

;

বিশ্বকাপে ‘ভালো কিছুর সম্ভাবনা’ দেখছেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ কেমন করবে সেটার জবাব আপাতত সময়ের কাছে তোলা। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক মাস আগেই খুব বেশি প্রত্যাশা বা মাতামাতি করতে নিষেধ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে অবশ্য অন্য সুর শোনা গেল।

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলে বিশ্বাস সাকিবের। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন না দেখালেও অন্তত সমর্থকদের আনন্দ করার মতো কিছু উপলক্ষ্য এনে দিতে চান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে।’

সেজন্য সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখার বার্তা সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্রে  এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।’

গত বছর ভারতে বিশ্বকাপের পর চোখ ও আঙুলের চোট নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে সাকিবকে। দীর্ঘ বিরতি শেষ গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরেছিলেন সাকিব। এর মাঝে অবশ্য দেশের দুই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল এবং ডিপিএলে কিছু ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজেও খেলতে চান সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

;

শান্তর সেঞ্চুরিতে শিরোপার আরও কাছে আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেল আবাহনী লিমিটেড। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৭১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে আবাহনী। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস সমান ৩৩ রানে ফেরেন। তিনে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৪ বলে ৮ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০১ রান আসে তার ব্যাটে।

চার এবং পাঁচে নেমে ফিফটি করেন এনামুল হক বিজয় ও তাওহিদ হৃদয়। দ্রুতলয়ে ব্যাট চালিয়ে ৬৮ রান করেন এনামুল, হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। শেষদিকে ১৭ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান করে আবাহনী।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ পারভেজ জীবন।

জবাব দিতে গাজী গ্রুপ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটার সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আবাহনীর রানপাহাড় টপকানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না। অন্য ব্যাটারদের গড়পড়তা পারফরম্যান্স ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী।

আবাহনীর পক্ষে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। দুটি করে উইকেট যায় তানজিম হাসান সাকিব ও সৈকতের ঝুলিতে।

প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচের সবকটিতে জয় পায় আবাহনী, এখন সুপার লিগেও দুই ম্যাচ জিতে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা।

 

;