শহিদুলের পেসে জয়ে শুরু শেখ জামালের



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ম্যাচসেরা শেখ জামালের পেসার শহিদুল ইসলাম

ম্যাচসেরা শেখ জামালের পেসার শহিদুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসল লড়াইয়ের আগে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ওয়ানডে ম্যাচের আগে ২০ ওভারের ক্রিকেট যুদ্ধে ১২ ক্লাব। সোমবার প্রথম দিনই জয় তুলে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ১১ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেখ জামাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তুলে ১৬৯ রান। জবাব দিতে নেমে শহিদুল ইসলামের পেস আক্রমণে ১৫৮ রানে আটকে যায় খেলাঘর।

বৃষ্টির পর রোদ ফিরতেই ব্যাট হাতে মাঠে নামে শেখ জামাল। ইমতিয়াজ হোসেন ও ফারদিন হোসেন উদ্বোধনী জুটিতে করেন ৩৮ রান। ১৯ বলে ২১ রান তুলে সাজঘরের পথ ধরেন ফারদিন। তবে বল হাতে নিয়েই স্পিনার মইনুল ইসলাম তুলে নেন দুটি উইকেট। ১৩ বলে ২৬ রান করেন হাসানুজজ্জামান। ইমতিয়াজ ফেরেন ২৬ বলে ৩১ রানে।

তারপরই হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নাসির হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। উইকেটে মানিয়ে নিয়ে দু'জনই খেলতে থাকেন আক্রমনাত্মক ক্রিকেট। এরমধ্যে ২৭ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন নাসির। ভাঙে ৬৫ রানের জুটি। সোহান করেন ২৮ বলে ৪৩।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা বেশ ভালই ছিল খেলাঘরের। উদ্বোধনী জুটিতে রবি ও সাদিকুর রহমান তুলেন ৪১ রান। ১৬ বলে ২১ রানে আউট সাদিকুর। তাকে ফেরান শহিদুল। তারপর অবশ্য ৫৯ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন রবি ও অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম।

এরমধ্যে ৫১ বলে ৬৯ রান করে ফেরেন রবি। ৩৪ বলে ৩৪ রান করে আউট মাহিদুল। রান তোলার এই ধীর গতিতেই শেষ হয়ে যায় খেলাঘর। এরমধ্যে ৪ উইকেট শিকার করে প্রতিপক্ষে আটকে রাখেন শহিদুল। ম্যাচসেরা তিনিই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

শেখ জামাল: ২০ ওভারে ১৬৯/৫ (ইমতিয়াজ ৩১, ফারদিন ২১, হাসানুজ্জামান ২৬, নাসির ৩৪, সোহান ৪৩, জিয়াউর ৯*; রবিউল ১/৩৫, ইফরান ১/১৪, তানভির ১/৩০, মাসুম ১/৩১, মইনুল ২/২৬)।
খেলাঘর: ২০ ওভারে ১৫৮/৫ (রবি ৬৯, সাদিকুর ২১, অঙ্কন ৩৪, মইনুল ৮, মাসুম ১৯*, রবিউল ১, রাফসান ২*; শহিদুল ৪/৬, সানি ১/১৮)
ফল: শেখ জামাল ১১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: শহিদুল ইসলাম

   

ব্রাদার্সকে ধসিয়ে মোহামেডানের রেকর্ডগড়া জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিশ্বাস্য মোহামেডান, উড়ন্ত সুলেমান দিয়াবাতে! ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গোপীবাগের ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে সাদাকালোরা। একাই পাঁচ গোল করেছেন মোহামেডান অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে।

ময়মনসিংহে নিজেদের হোম ভেন্যুতে প্রথম বাঁশি থেকেই চলে মোহামেডানের দাপট। প্রথমার্ধেই তিন গোলের লিড পেয়ে যায় তারা। ৩৪ মিনিটে মুজাফফরভের অ্যাসিস্টে প্রথম ব্রাদার্সের জাল উন্মুক্ত করেন শাহরিয়ার ইমন।

প্রথমার্ধের শেষদিকে আরও দুই গোল যোগ করে ম্যাচের অর্ধেকটা বাকি থাকতেই মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন দিয়াবাতে।

৪৩ মিনিটে সানডে ইমানুয়েলের বানিয়ে দেয়া বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পান দিয়াবাতে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে প্রথম গোলের কারিগর মুজাফফরভের অ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন মোহামেডান অধিনায়ক।

বিরতির পর কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে চায় ব্রাদার্স। মোহামেডানকে গোল শোধ করার তাড়ায় তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে উল্টো তাদের নিজেদের রক্ষণই অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সে সুযোগে ৬৮ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন দিয়াবাতে। এর মিনিট চারেক পর পেয়ে যান নিজের চতুর্থ ও দলের পঞ্চম গোলের দেখা।

পাঁচ গোল হজমের পর অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলেকে মাঠে নামায় ব্রাদার্স। তবে তাতেও কাজ হয়নি। উল্টো মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যেই জাল খুঁজে পান মোহামেডানের বদলি ফুটবলার জুয়েল মিয়া।

শেষ বাঁশির আগে ৮৭ মিনিটে টনি আগবাজি এবং ৮৯ মিনিটে দিয়াবাতে পঞ্চমবারের মতো ব্রাদার্সের গোলমুখ উন্মুক্ত করলে বিশাল এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।

নিজেদের ইতিহাসে এর আগে কেবল দুইবার ৮ গোলের ব্যবধানে জয় পায় মোহামেডান। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে নিউ রেডিয়েন্ট ও ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে একই টুর্নামেন্টে ইলেক্ট্রিসিটি দু লাওসকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। সেই স্মৃতি মনে করিয়ে আবারও প্রতিপক্ষকে ৮-০ গোলে হারানোর উৎসব করল তারা। ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, ঘরোয়া ফুটবলে এখন পর্যন্ত এটাই তাদের রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের কীর্তি।

এই জয়ে ১২ ম্যাচ থেকে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মোহামেডান। আর ৩ পয়েন্ট নিয়ে  টেবিলের তলানিতে ধুঁকছে ব্রাদার্স।

;

কানসেলোর মেয়ের মৃত্যু কামনা করলো ক্ষুব্ধ সমর্থকরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে পিএসজির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসর থেকে বাদ পড়েছে বার্সেলোনা। এইরকম হতাশাজনক বিদায় মেনে নিতে পারছে না কাতালান ক্লাবটির সমর্থক ও ভক্তরা। বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।

তবে সমর্থকদের তোপের মুখে বেশ বাজেভাবেই পড়তে হয়েছে বার্সার পর্তুগিজ ডিফেন্ডার কানসেলোকে। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলে পড়েছে বার্সা সমর্থকরা। তাকে আলাদাভাবে এরকম আক্রমণ করার মূল কারণ তিনি আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে করেছেন কিছু ভুলও। তার করা ফাউলের দরুণ পেনাল্টি পায় পিএসজি, যার ফল পেতে হয়েছে পুরো দলকেই।

ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কানসেলো বলেছেন, ‘লোকেরা যাচ্ছেতাই লিখেছে। ইনস্টাগ্রামে এমনও মন্তব্য দেখেছি যেখানে আমার মেয়ের মৃত্যু কামনা করা হয়েছে। অথচ ওর এখনো জন্মই হয়নি।‘

কানসেলোর প্রেমিকা দানিয়েলা মাসাদো নিজেও একজন অনলাইন ব্লগার। বর্তমানে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার অপেক্ষায় আছেন কানসেলো দম্পতি। তার প্রোফাইলের কমেন্টেও বেশ আক্রমণাত্মকভাবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বার্সেলোনার ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। এ প্রসঙ্গে কানসেলো জানান, ‘তারা আমার সঙ্গী, মেয়ে ও অনাগত সন্তানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। পৃথিবীটা বড়ই নিষ্ঠুর। আপনাকে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে বসবাস করতে জানতে হবে। আমি জানি কীভাবে চলতে হয়। কিন্তু তাদের নিয়ে কী বলব, সেটা জানা নেই।‘

পিএসজির সঙ্গে হতাশাজনক হারের রাতে নিজেও অনুতপ্ত এবং দুঃখিত ছিলেন কানসেলো, ‘সেই রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। যে দিন আমরা জিততে পারি না, সে রাতে আমার সহজে ঘুম আসে না। বারবার মনে হয়, আমি আমার কাজটা ঠিকভাবে করতে পারিনি, ভালো খেলতে পারিনি।’

;

৪২ বছর বয়সেও যেন রান ক্ষুধা কমেনি ধোনির 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৪ বলের ২০, স্ট্রাইক রেট ৫০০। এবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৯ বলে ২৮, স্ট্রাইক রেট ৩০০-এর ওপরে। ৪২ বছর বয়সে এসেও চলতি আইপিএলে একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে চলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বর্তমানে আইপিএল ছাড়া আর অন্য কোন ধরণের টুর্নামেন্টে খেলেন না চেন্নাইয়ের সাবেক এই অধিনায়ক। আইপিএলও আসে পুরো বছর ঘুরে। তবুও ধোনির দৃঢ়তা, ফর্ম, রানের ক্ষুধা সবেই অবাক বনে নিয়ে গেছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টম মুডিকে। 

আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের (তৎকালের কিংস এলেভেন পাঞ্জাব) পর দীর্ঘদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ ছিলেন মুডি। এতে আইপিএলে সরাসরি ধোনির খেলা দেখার সুযোগও হয়েছে তার। গত রাতের লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ওভারে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে ইনিংসের শেষ ওভারে ৬৫টি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েন তিনি। বয়সটা বুড়ো কাতারের দিকে গেলেও এখনো ব্যাট হাতে রানে কুঁড়ে বেড়ানোর ক্ষুধা যেন কমেনি আর। ম্যাচের পর ইএসপিএনের সঙ্গে আলাপকালে তাই ধোনির বন্দনায় মাতেন মুডি। 

সেখানে মুডি বলেন, ‘৪২ বছর বয়স। তবে এখনো কতটা ফিট, কতটা মনযোগী, কতটা ক্ষুধার্ত। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, আইপিএল ছাড়া এখন তিনি কোনো ধরণের ক্রিকেটই খেলেন না। হঠাৎ করে এসে এমন অভিজাত স্তরের টুর্নামেন্টে প্রত্যাশামাফিক পারফর্ম করা প্রায় অসম্ভব।’

ম্যাচটিতে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে চেন্নাই। তবে ওই চেন্নাইয়ের সমর্থকদের মতো লক্ষ্ণৌয়ের বড় ব্যবধানের এই জয় ছাপিয়ে লাইমলাইটে ধোনির সেই ‘মাস্টার ক্যামিও’ ইনিংসটি। 

;

এফএ কাপ সেমিফাইনালে হালান্ডকে নিয়ে শঙ্কায় সিটি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির। তবে ডাবল জয়ের সম্ভাবনা এখনো টিকে আছে। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দৌড়ে ভালোভাবে টিকে আছেই পেপ গার্দিওলার দল। আজ (শনিবার) রাতে এফএ কাপের সেমিফাইনালে মাঠে নামছে সিটিজেনরা, প্রতিপক্ষ চেলসি।

কিন্তু সে ম্যাচের আগে বড়সড় একটা দুঃসংবাদ পাচ্ছেন সিটি সমর্থকরা। চেলসির বিপক্ষে ম্যাচটিতে দলটির তারকা স্ট্রাইকার আরলিং হালান্ডের মাঠে নামা নিশ্চিত নয়। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগের পর গার্দিওলা জানিয়েছিলেন, ‘কঠিন ম্যাচ ছিল। হালান্ডের পেশিতে সমস্যা অনুভব করেছিল। তাই আমাকে বলেছিল তাকে উঠিয়ে নিতে।’

তাই এফেএ কাপের সেমিফাইনালে হালান্ডের খেলা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে। রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচে কিছু সময় খেলার পর উঠে গিয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনাও। তবে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে তাকে নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিবিসি স্পোর্ট।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালের বিপক্ষে ১২০ মিনিট খেলতে হয়েছে ম্যান সিটিকে। যার ফলে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের আগে সিটিজেনদের ফিটনেস নিয়ে বড়সড় একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন থেকে যাচ্ছে।

সেমিফাইনালে সিটির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন চেলসি কোচ পচেত্তিনো। তবে এর ফলে নিজেদের মোটেই এগিয়ে রাখছেন না এই আর্জেন্টাইন কোচ, ‘তাদের জন্য এটা কঠিন হবে, আমাদের জন্যও। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, তাদের একটা অবিশ্বাস্য স্কোয়াড রয়েছে।’

বাংলাদেশ সময় আজ রাত সোয়া ১০টায় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে ম্যান সিটি ও চেলসি।

;