টপঅর্ডার যেন ডিসঅর্ডার!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
তামিমের মতো অন্য টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছেন না

তামিমের মতো অন্য টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছেন না

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার জ্যামের সঙ্গে দারুণ ভাবে মিলে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টপঅর্ডার ব্যাটিং!

দুই জায়গায় ‘শৃঙ্খলার’ বড় বেশি অভাব।

ঢাকার প্যাকেট হয়ে পড়া জ্যামের মধ্যে থেকেই অনেকেই আবার সাঁইসাই করে একেবেঁকে ঠিকই গন্তব্যে পৌছে যান; মোটর সাইকেল যাত্রীর সেই সাহসী সংখ্যা খুব বেশি নয়।

নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের টপঅর্ডারে আপাতত তেমন সাহসী একজনের দেখাই মিললো; ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন! টানা দুই ম্যাচেই মিঠুন পারলেন। কিন্তু বাকিদের কেউ কিভাবে ইনিংস লম্বা করতে হবে, সেটা বুঝতেই পারছেন না। এই বুঝতে না পারার মধ্যে শুধু বোঝার অভাব নয়, দক্ষতার অভাবটাই একটু বেশি স্পষ্ঠ এবং প্রতীয়মান।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই ক্রিকেটারদের প্রায় প্রতিটি বাক্যের মধ্যে একটা শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে-কন্ডিশন! ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ অক্সিজেন ছাড়া মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে যাত্রা করেছে! বাংলাদেশের এই দলের জন্য নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেট খুব অপরিচিত কিছু নয়। আগেও নিউজিল্যান্ড সফর করেছেন এই দলের সিংহভাগ ক্রিকেটার।

সেখানকার ক্রিকেটীয় কন্ডিশন, উইকেট কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে ভালই একটা পূর্ব ধারণা আছে তাদের। তবে অবাক করার বিষয় হলো সেই পূর্ব ধারণা থাকা সত্তে¡ও এই অভিজ্ঞদের সবাই ব্যাট হাতে ব্যর্থ। আর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এই প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের সঙ্গে খেলতে যাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনই আপাতত সবচেয়ে সফল। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে মিঠুনের ব্যাটিং দলের বাকি সবাইকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো-নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে কেমন করে ব্যাটিং করতে হয়?

কন্ডিশনের দোহাই। উইকেটের তেজ। প্রতিপক্ষ বোলারদের গতির ঝড়। সুইংয়ের ঝাঁঝ। শরীর ধেঁয়ে আসা বল। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আগের সাফল্যহীন সময়। ব্যাটিংয়ে নামার আগেই মুলত এই হাফডজন চিন্তার পোকা দলের ব্যাটসম্যানদের মগজে গেড়ে বসে। সমস্যা সমাধানের চেয়ে তখন সমস্যা থেকে পালিয়ে বাঁচার দিকেই পা বেশি দৌড়ায়!

আর তাতেই নিরাপদ ব্যাটিংয়ের বেসিকই ভুলে যান ব্যাটসম্যানরা। দুরন্ত গতির পেস বোলিংয়ে পা সামনে না বাড়িয়ে খেলা। জায়গায় দাড়িয়ে শরীর থেকে অনেক দুরের বলে ব্যাট চালানো। বলের লাইন থেকে মাথা ঘুরিয়ে চোখ সরিয়ে নেয়া। কিম্বা ইনিংসের ১৩ নম্বর বলেই ফাস্ট বোলারকে সামনে বেড়ে মারার মধ্যে ঠিক সাহসিকতার চিহ্ন মিলছে না। যা মিলছে তার নাম-দৌড়ে পালানো!

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের আউটের ধরণই এই অভিযোগ প্রমাণের পক্ষে যথেষ্ট!

নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুরুর চার ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত যোগাড় ৪১ রান। ক্রাইষ্টচার্চের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই চারের সংগ্রহ আরেকটু বাড়লো ৫২ রান। অথচ দুই ম্যাচেই তাদের চেয়ে বেশি রান একাই করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। টপঅর্ডারের সঙ্গে তুলনার বিচারে লেজের সারির ব্যাটসম্যানরাও এই দুই ম্যাচে বেশি সফল।

মজার তথ্য হলো এই দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা এতই স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করেছেন যে এখন পর্যন্ত সিরিজে তাদের উইকেট পড়েছে মাত্র ৪টি! পেসারদের সহায়ক উইকেটে কেমন করে ইনিংস সাজাতে হয়, শুরুতে কিভাবে নিরাপদ ভঙ্গিতে ব্যাটিং করতে হয়-সেই উত্তর জানার জন্য ব্যাটিং বই বা ম্যানুয়েলের পাতা উল্টানোর প্রয়োজন নেই। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের রিপ্লেটা দেখে নিলেই হতো। তাদের অনুসরণ করলেই চলতো।

আমাদের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের দুর্ভাগ্য নেপিয়ার বা ক্রাইষ্টচার্চ-দুই ভেন্যুতেই তারা লড়তেই যে চাইলেন না। যা চাইলেন তার নাম টিলো এক্সপ্রেস খেলার মতো লুকিয়ে থাকা! 

ডানেডিনে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ বাকি। ওখানে জিতলে বা হারলে সিরিজের কিছু আর আসে যায় না। তবুও সেই ম্যাচে আমাদের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা ‘টিলো’এই চিৎকার দিয়ে নিজেদের প্রকাশিত করতে পারেন কিনা-সেই অপেক্ষায় আছি!

   

বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়লেন রিজওয়ান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে বর্তমানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। যেখানে চোটের কারণে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ছিটকে যেতে হলো। চলিত সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এই চোটে পড়েন তিনি।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে বর্তমানে ১-১ সমতায় আছে দু’দল। সবশেষ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান রিজওয়ান। কিউইদের বিপক্ষে চলতি সিরিজটিটে আর খেলা হবে না তার।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেডিওলজি রিপোর্ট দেখে রিজওয়ানকে সিরিজ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চোটটি অতটা গুরুতর নয় বলেও জানিয়েছে বোর্ড। তাদের ভাষ্যমতে, এক সপ্তাহ থেকে দশ দিনের মতো মাঠের বাইরে থাকবেন তিনি।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর সামনে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর এবং জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর আছে। শুরুতে রিজওয়ানের সেখানে খেলা নিয়ে অনেকের মনে শঙ্কা তৈরি হলেও আসন্ন সফরগুলোতে তাকে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তাদের ক্রিকেট বোর্ড।

;

বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমটা খুব একটা ভালো কাটছে না বার্সার। জাভির অধীনে গত মৌসুমে লা লিগা শিরোপা জেতার পর এই মৌসুমে কোনো সাফল্যই আসেনি বার্সেলোনার ঝুলিতে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাতছাড়া হয়েছে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ে স্বপ্ন।

বছরের শুরুতে টানা ম্যাচ হারতে থাকার পর খানিকটা হতাশ হয়েই কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেছিলেন যে, চলতি মৌসুম শেষে বার্সার দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন তিনি। ঘোষণাটি শোনার পর বার্সা সমর্থকরা বেশ দুঃখই পেয়েছিলেন। কারণ দীর্ঘদিন পর এই জাভির অধীনেই আলোর মুখ দেখা শুরু করেছিল কাতালান ক্লাবটি।

তবে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন জাভি। জানিয়েছেন যে অন্তত আরও এক মৌসুম বার্সেলোনাতেই থাকবেন তিনি। অর্থাৎ ২০২৪-২৫ মৌসুমেও জাভিকেই কোচ হিসেবে পাবে বার্সা।

জাভির থেকে যাওয়ার বিষয়টি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ক্লাবেরই এক মুখপাত্র। আগামী সোমবার বার্সেলোনা নিজেদের পরের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে। এর আগে রবিবার জাভি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। তার আগে আজ (বৃহস্পতিবার) বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা কোচের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে তাকে সংবাদ সম্মেলন ডাকবেন।

বার্সেলোনার হয়ে ১৭ বছরের বর্ণাঢ্য কারিয়ার আছে জাভির। লাল-নীল জার্সিটা ৭৬৭ ম্যাচ গায়ে জড়ানোর পর তুলে রেখেছেন। মোট ২৫টি শিরোপা জিতেছেন, যার মাঝে আছে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আটটি লিগ শিরোপা। বিশ্বকাপজয়ী এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোচ হিসেবেও পেয়েছেন সফলতা, জিতেছেন স্প্যানিশ সুপার কাপ আর লা লিগা শিরোপা।

;

শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে গেল লিভারপুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার জন্য চলতি মৌসুমে চলছে ত্রিমুখী লড়াই। আর্সেনাল, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি একে অপরকে টপকে যাচ্ছে প্রতি ম্যাচ পরপরই। শিরোপা জিততে জয়ের দিকেই বর্তমানে নজর রাখছে এই তিন দল।

তবে গতরাতে এভারটনের মাঠে যেয়ে তাদের কাছে ২-০ গোলে হেরে এসেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। পয়েন্ট হারানোর ফলে লিগ শিরোপার দৌড়ে বাকি দুই দলের চেয়ে তাই কিছুটা পিছিয়ে গেল তারা। ৩৪ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের দুইয় অবস্থান করছে অল রেডরা। সমান ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল এবং দুই ম্যাচ কম খেলে ৭১ পয়েন্টে নিয়ে তিনে ম্যানচেস্টার সিটি।

এভারটনের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়াটা খুবই প্রয়োজন ছিল লিভারপুলের জন্য। এতে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট সমান করতে পারত তারা। তবে নিজেদের ভুলে তা আর সম্ভব হলো না।

ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বলের দখল এবং ২৩টি গোলের উদ্দেশ্যে শট নিয়েও একটি গোলের দেখা পেল না লিভারপুল। অপরদিকে দুই অর্ধে দুটি গোল আদায় করে খুব ঠান্ডা মাথায় ম্যাচটি নিজেদের নামে করে নিয়েছে এভারটন।

প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে হলে বাকি আর চারটি ম্যাচেই জয় ছাড়া বিকল্প নেই লিভারপুলের কাছে। তাই পরের ম্যাচগুলোতে নিজেদের সর্বোচ্চটা নিয়েই মাঠে নামার চেষ্টা থাকবে তাদের।

;

শেষ বলে এসে গুজরাটকে আটকালো দিল্লি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরের ৪০তম ম্যাচে গত রাতে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটান্স। যেখানে ঘরের মাঠে গুজরাটের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ বল পর্যন্ত গড়িয়েছিল খেলা, অবশেষে ৪ রানের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

এদিন টসে জিতে শুরুতে স্বাগতিক দিল্লিকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গুজরাট। ব্যাট হাতে দিল্লির দুই ওপেনার তেমন কিছু করে না দেখাতে পারলেও অক্ষর পাটেল ও অধিনায়ক রিশাভ পান্তের ব্যাট দারুণভাবে হেসেছে। অক্ষর ৪৩ বলে ৬৬ ও পান্ত ৪৩ বলে অপরাজিত ৮৮ রান করেছেন। শেষে ট্রিসান স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রানের ক্যামেও ইনিংসের মাধ্যমে দিল্লির দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৪ রান।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় গুজরাট। দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক শুবমান গিল সাজঘরে ফেরত যান মাত্র ৬ রানে। তবে সাই সুদর্শন ও ড্যাভিড মিলারের ব্যাটে ভর করে জয়ের বেশ সন্নিকটে পৌঁছায় সফরকারীরা। তবে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেও দলকে জয় তুলে এনে দিতে পারেননি আফগান ক্রিকেটার রশিদ খান। শেষে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে হারতে হয় তাদের।

এই ম্যাচের পর সমান ৯ ম্যাচে দিল্লির ও গুজরাটের পয়েন্ট ৮। তবে নেট রানরেটের হিসেবে তালিকার ছয়ে আছে দিল্লি এবং সাতে গুজরাট।

;