কাঁধে চড়েই শেষবার আবাহনীতে মুন্না!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
এভাবেই কফিনে করে শেষবারের মতো আবাহনী ক্লাবে এসেছিলেন মুন্না -ফাইল ছবি

এভাবেই কফিনে করে শেষবারের মতো আবাহনী ক্লাবে এসেছিলেন মুন্না -ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

[২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাংলাদেশ ফুটবল কিংবদন্তী মোনেম মুন্না মারা যান। দীর্ঘসময় কিডনি রোগে ভুগে মৃত্যুর কাছে হার মানেন মুন্না। মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন এই ফুটবল গ্রেট। মুন্নার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রিপোর্টারের পুরানো ডায়েরি থেকে খুঁজে বের করে সেদিনের এই লেখা ]

সেই সর্মথক-ভক্তদের কাঁধে চড়েই আরেকবার প্রিয় আবাহনী ক্লাব চত্বরে এলেন মুন্না। আগে আসতেন বিজয়ের আনন্দে, দু’হাত উঁচিয়ে। এবার এলেন বুকে হাত বেঁধে, কফিনে শুয়ে। আগেও ফুলের মালা পরতেন, গলায়। এই যাত্রায়ও ফুল পেলেন। এবার গলায় নয়; কফিনের ডালায়!

ফেব্রুয়ারির এই সময়টায় বাতাসে বসন্তের আগমনী গান। ফাগুনকে স্বাগত জানাতে চারধারের সবকিছুতেই বদলে যাওয়ার আনন্দ ধ্বনির মূহূর্তকাল এটি। কিন্তু কি অদ্ভুত এক নীরবতায় আছন্ন চারধার! এই যে এখানে শত শত মানুষের হাঁটাচলা। একে অন্যের দিকে মুখ তুলে চাওয়া। সেই দৃষ্টিতে অসহায়ত্বের নোনা জলের বিন্দু! মানুষ যার নাম দিয়েছে বেদনা! খুব প্রিয় কিছুকে আকস্মিক হারিয়ে ফেলার কষ্টের মোচড় এখানকার আগন্তকদের চোখে-মুখে অলিন্দের রক্তনালি, স্নায়ুতে!

আগে মুন্নার বিজয়ের সঙ্গী হয়ে ক্লাব প্রাঙ্গনে আবাহনীর গর্বের আকাশি পতাকা পতপত করে উড়ত। এদিন চারধারে এত বাতাস অথচ স্ট্যান্ডের পতাকা লেপ্টে রইলো অর্ধনমিত হয়ে কুর্নিশের ভঙিতে, বিষন্নতায় আছন্ন থেকে; ওরও বুঝি মন খারাপ!

ক্লাবের প্রবেশপথের সামনে বটগাছের পাতা আগেও ঝরতো। ১২ ফেব্রুয়ারি সকালেও ঝরলো, কিন্তুু সেই ঝরে পড়ায় স্পষ্টত শোনা গেল কান্নার সুর! বিদায়ের রাগিনী। এখানে আজ কাঁদছে, সবকিছুই!

প্রিয় কিছু হারানোর বেদনায় সকাল-দুপুরের পুরো সময় জুড়ে রৌদ্রোজ্জ্বল নীল আকাশকে আবাহনী প্রাঙ্গন থেকে আরো নীলাভ দেখাল! ইট-পাথর- এমনকি দেয়ালের সঙ্গে লেপ্টে থাকা উদ্ভিদ মূল; সবকিছু, চারপাশের উপস্থিতির সবকিছুর সবটুকু জুড়েই ব্যথার কষ্ট। কান্নার দমক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/12/1549939805003.jpg

ক্লাব প্রাঙ্গনের গাঁ ঘেষে থাকা কাঠালি চাঁপার প্রায় পাতা শূন্য গাছের পাশ থেকে আগে হেঁটে গেলে সুতীব্র একটা ঘ্রাণ কাছে টানতো। এদিন সেখানে মিলল লোবানের গন্ধ। শ্বাসনালী ধাক্কা খেলে আগরবাতির ধোঁয়ায়। নিবিষ্ট মনে একজন মাইকে কুরআন তিলাওয়াত করে যাচ্ছেন।

সবকিছুই জানিয়ে দিল আজ এখানে প্রিয় কিছুকে চিরবিদায়ের আয়োজন চলছে। আজ এখানে মৃত্যু এসেছিল!

মৃত্যুর সঙ্গে মুন্নার যন্ত্রনার লড়াই মুখোমুখি কায়দায় শুরু হয়েছিল মুলত পাঁচ বছর আগে থেকেই। শরীরের দুটো কিডনিই তার অকেজো হয়ে যায় ২০০০ সালে। বোনের কাছ থেকে ধার করা কিডনি নিয়ে সেই সময়টায় মৃত্যুকে হারিয়ে দিয়েছিলেন মুন্না সেসময়। ট্রান্সপ্লান্ট করা কিডনি রোগীকে মানতে হয় প্রতি পদক্ষেপে অহরহ নিয়ম-কানুন। নিয়মিত পথ্যের ওপরেই টিকে থাকে সে জীবন। এমনকি একরত্তি ধুলোও দৈত্যকার শত্রু তখন। ভেতরের শরীর বাইরে থেকে পাওয়া কাউকে স্বস্তির জায়গা দিতে নারাজ। আর চিরজীবন আপষহীন মুন্না কেন মানবেন এই সমঝোতার সূত্র?

মানেনও নি!

লড়ে গেছেন পাঁচবছর। সেই সুযোগে ওত পেঁতে থাকা শত্রু ধীর লয়ে চড়ে বসে। ভাইরাস জ্বর নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি হাসপাতালে বিছানা নেন। আর উঠতে পারেননি। এই আঠারদিন কেটেছে তার জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। ১২ ফেব্রুয়ারির সকালে হাসপাতাল ছাড়লেন কফিনে শুয়ে।

সকালে ঘুম ভাঙ্গলে সবার আগে মুন্না চলে আসতেন আবাহনী ক্লাবে। কি আশ্চর্য, এদিনও তাই এলেন। তবে ঘুম যে আর ভাঙ্গল না! ক্লাবের নিচতলায় পাঁচনম্বর রুমে জীবনে অনেক সময় কেটেছে তার। সেই রুমের পশ্চিম কর্নারের বিছানা পরিপাটি। কিন্তু মুন্নার বিছানা যে এখন অন্য কোথাও!

যে মাঠে ফুটবলার মুন্না নিয়মিত অনুশীলন করতেন, যে মাঠে ম্যানেজার মুন্না কৌশল নিয়ে আলাপ করতেন, আড্ডা দিতেন-সেই মাঠে এদিন সবাই ছিল, ফুটবলার, কর্মকর্তা, কোচ, ভক্ত-সমর্থক সবাই দাঁড়িয়ে-বসে, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আর মুন্না কফিনে শুয়ে! নাকে তুলো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/13/1550058770912.jpg

মাঠের যে কোনায় মুন্নার অনুশীলনের সময় আশপাশের দেয়ালে ভক্তরা ভিড় করত, ঠিক সেই জায়গায় তার জানাজা হল। মাঠের একদম পূর্বপ্রান্তে ক্রিকেট ম্যাচ থামিয়ে আম্পায়ার ও ক্রিকেটাররা গোল হয়ে মুন্নার জন্য প্রার্থনায় হাত তুললেন। যখন ফুটবল খেলতেন, তখন আনন্দে মন্থিত রাখতেন সবাইকে। যখন ফুটবল কর্তা হলেন, তখন আপোষহীন দৃঢ়তায় বাধঁলেন সবাইকে। আর যেদিন যখন বিদায় নিলেন-কাউকে ডাকলেনও না! ভোরে পাখি ডাকা বেলায় বিদায়। কার ওপর যেন অভিমান ছিল মুন্নার?

ক্লাব ঘরের দোতলার ছাদে খড় ঘেরা চাতাল দেখিয়ে আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বললেন-‘ওখানে আড্ডায় আর কখনোই পাবো না মুন্নাকে।’ ববি আবাহনীর ক্রিকেট কর্মকর্তা। মুন্নার লড়াকু প্রভাবী ব্যক্তিত্বের মুগ্ধতা ঝরল তার কণ্ঠেও। ফুটবলে তারকা খ্যাতির স্টিকার মুলত গোলকিপার, মিডফিল্ডার এবং স্ট্রাইকারদের গায়েই বেশি দেখা যায়। কিন্তু ডিফেন্ডার মুন্না অনেক ট্রফি জয়ের সঙ্গে ফুটবলের গ্ল্যামারটাকেও ঠিকই জিতে নেন।

অনেক ম্যাচ জিতেছেন। চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। কিন্তুু মাত্র ৩৮ এ এসে জীবনের ম্যাচে হার! ফাগুন হাওয়ার দিনে মৃত্যু কেন আসবে? বিয়ে বার্ষিকীর দিনেই কেনো সুরভী ভাবীকে কাঁদতে হবে?

ছায়াঘেরা আবাহনী ক্লাবের আমগাছে এবারো অনেক মুকুল ধরেছে। তখনিই আরেকবার জানলাম-মৃত্যু কোনকিছুর শেষ নয়, শুরু মাত্র!

   

ফের খরুচে মুস্তাফিজ, স্টয়নিসের বীরত্বে লক্ষ্ণৌয়ের জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্দান্ত ছন্দে আইপিএল শুরু করলেও ক্রমেই মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ের হাড়গোড় বেরিয়ে পড়ছে। আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলারের তকমা জুটল মুস্তাফিজের। ৩.৩ ওভারে খরচ করলেন ৫১ রান, শেষ ওভারে ১৭ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। মুস্তাফিজের এমন দুঃস্বপ্নের দিনে তার দল চেন্নাই কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের হেরেছে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে। ৬ উইকেটের জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের ‘বীর’ মার্কাস স্টয়নিস।

চেপকে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অসাধারণ সেঞ্চুরি আর শিবম দুবের চিরচেনা মারকাটারি ব্যাটিংয়ে চলতি আসরে প্রথমবারের মতো দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।

৫০ বলে এক ডজন চার আর ৩ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন রুতুরাজ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চেন্নাইকে দুইশ পেরোনো স্কোর পেতে সাহায্য করেন দুবে। ২৭ বলে ৩ চার আর ৭ ছয়ে ৬৬ রান আসে তার ব্যাটে। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৪৬ বলে ১০৪ রানের অবিশ্বাস্য জুটিতেই কুড়ি ওভারে ৪ উইকেটে ২১০ রানে পৌঁছায় চেন্নাই।

তবে ব্যাট হাতে অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে রুতুরাজ-দুবের দুর্দান্ত ব্যাটিং ভুলিয়ে দেন স্টয়নিস। ৬৩ বলে ১৩ চার এবং আধডজন ছক্কায় ১২৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন এই অজি অলরাউন্ডার। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

অথচ লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংসের শুরুতেই দীপক চাহার রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান কুইন্টন ডি কককে। মুস্তাফিজের বলে ধরাশায়ী হন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল (১৬)। তবে স্টয়নিসের দিনে যে তিনি একাই যথেষ্ট, সেটারই এক প্রদর্শনী দেখিয়ে চেপককে স্তব্ধ করে দেন এই অজি।

এই জয়ে চেন্নাইকে টপকে লক্ষ্ণৌ উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের চারে। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। সমান ম্যাচ খেলেও ২ পয়েন্ট কম নিয়ে পাঁচে চেন্নাই।

;

বিসিবিকে লেগ স্পিনার ও চায়নাম্যান বোলার খুঁজে দেবেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন লেগ স্পিনার কিংবা চায়নাম্যান বোলার না থাকার আক্ষেপটা বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের। জাতীয় দলে নানা সময় লেগ স্পিনারদের সুযোগ দেওয়া হলেও সেই অর্থে কেউই নিজেদের প্রমাণ করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠতে পারেননি। তবে এবার সেই আক্ষেপ দূর করতে চায় বিসিবি। আর সে কারণেই প্রথমবারের মতো স্পিন বোলার কোচ হিসেবে পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।

সোমবার সেই দায়িত্ব বুঝে নিতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন এই কোচ। পরিচিত হয়েছেন সকলের সঙ্গে। সেই সঙ্গে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকেও। তাকে নিয়ে মঙ্গলবার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে বিসিবি। যাতে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের হয়ে ৫২টি টেস্ট ও ১৪৪টি ওয়ানডে খেলে ৩৪৬ উইকেট নেওয়া মুশতাক।

বাংলাদেশের স্পিন বিভাগে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে মুশতাক বলেন, ‘তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে চাই আমি। আশা করি, আমরা একটা পার্থক্য তৈরি করতে পারব। এখানকার ক্রিকেটাররা অত্যন্ত প্রতিভাবান। তারা যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’

বাংলাদেশ দল ও পাইপলাইনে যথেষ্ট লেগ স্পিনারের ঘাটতি আছে, যা জানা আছে মুশতাকেরও। আর সে কারণেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর দিয়ে সেখান থেকে নতুন লেগ স্পিনার ও চায়নাম্যান বোলার খুঁজে বের করতে চান তিনি। বলেন, ‘আমরা লেগ স্পিনার এবং চায়নাম্যান বোলার খুঁজতে পারি। সাদা বলের ক্রিকেটে মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট এনে দেওয়ার মতো বোলার প্রয়োজন আমাদের। আর সেটাই আমি করার চেষ্টা করব।’

;

‘আইপিএলের মতো রানবন্যা দেখা যাবে না বিশ্বকাপে’



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রান তোলার বিচারে চলমান আইপিএল ছাড়িয়ে গেছে অন্যসব আসরগুলোকেও। দলীয় ২০০ রানের সংগ্রহ এখনও যেন অতি সহজ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তো পারলে টি-টোয়েন্টিতে তিনশ রানও ছুঁয়ে ফেলে। এবারের আইপিএলে ২৮৮ রানের রেকর্ড গড়েছে দলটি। রেকর্ড গড়ছে পাওয়ার প্লেতে ১২৫ রান তুলেও। আর এই আইপিএলে বিশ্বের সব বড় বড় তারকা ক্রিকেটাররা খেলায় ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছুটবে রানের ফুলকি।

এবারের আইপিএল শেষ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানেও কি এমন রানবন্যা দেখা যাবে; ডেভিড ওয়ার্নারের কাছে প্রশ্ন ছিল এমন; তিনি অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট আইপিএলের মতো হবে না। সেখানে রানবন্যা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কম। আর এমন উইকেটে যে একজনকে ধরে খেলতে হয়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ওয়ার্নার।

ওয়ার্নার বলেন, ‘সেখানে উইকেট ধীরগতির হতে পারে, কিছুটা টার্ন করতে পারে। সেখানকার উইকেট সাধারণত কিছুটা নিচু ও ধীরগতির হয়। ২০১০ বিশ্বকাপে যখন খেলেছি তখনও, হাই স্কোরিং উইকেট ছিল না। আর এমন উইকেটে অ্যাঙ্করের প্রয়োজন হয়। আমাদের দলে মাইক হাসির মতো একজন ছিল। সে উইকেটে আসত, তার নিজের মতো একটা ইনিংস খেলত। আর তাছাড়া সেখানে ম্যাচগুলোও হবে মূলত দিনের বেলাতে। তাই এটা একটা বড় ভূমিকা রাখবে।’

এবারের আইপিএলটা অবশ্য খুব একটা ভালো কাটছে না ওয়ার্নারের। ৭ ম্যাচে তার রান মোটে ১৬৭। তবে নিজে তেমন একটা পারফর্ম করতে না পারলেও উইকেট নিয়ে খুশি তিনি। বলেন, ‘উইকেট খুবই ভালো। ফ্ল্যাট, কমপ্যাক্ট আর খুব বেশি হাই স্কোরিং। এবং যখন আপনি ছোট বাউন্ডারি পাবেন, আপনি বড় স্কোর দেখতেই পাবেন।’

;

সাকিব-মুস্তাফিজকে ক্যাম্পে না রাখার কারণ জানালেন লিপু



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ৩ মে শুরু হতে যাওয়া সেই সিরিজ সামনে রেখে চট্টগ্রামে তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। আর সেই দলের জন্য ১৭ জনের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেই দলে নেই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। যা নিয়ে আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন তাদের এই ক্যাম্পে রাখা হয়নি।

সাকিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজ হিসেবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে থাকার কথা ছিল তার। আর সেই সিরিজের আগে প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন না তিনি। তবে ক্যাম্পে না থাকলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই দেশে ফিরবেন তিনি। তবে দেশে ফিরলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিব খেলবেন কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

লিপু বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার আউটকামটা হচ্ছে, এই মাসের শেষ নাগাদ তিনি বাংলাদেশে আসবেন। আসলে ডিপিএলে একটা দুটো ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে। তারপর আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ঢুকে যাবেন তিনি। সেখানে কিছু ক্রিকেটিং স্কিল প্র্যাকটিসের সুযোগ থাকবে, ম্যানেজমেন্ট যেভাবে চায়, তিনি যেভাবে চান… তারপরও আমরা চাইব ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, শেষ দিকে হলেও যেন তিনি খেলার সুযোগ পান।’

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাইয়ের হয়ে নিয়মিত থাকছেন একাদশে। তবে মুস্তাফিজকে দেশে ফিরতে হচ্ছে এবার। ক্যাম্পে না থাকলেও তিনি যে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তা নিশ্চিত করেছেন লিপু।

বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজের না খেলার সম্ভাবনা বেশি। দেশে ফেরার পর মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে তার কিছু কাজ রয়েছে। এরপর আমরা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব, কথা বলে দেখব তার সঙ্গে। তবে আমার বিশ্বাস তিনি প্রথম ম্যাচে এভেইলেবল থাকবেন না।’

;