ফাইনালে তামিমের ব্যাটে ঝড়ো সেঞ্চুরি



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
বিপিএলে প্রথম ফাইনাল খেলতে নেমেই তামিমের শতরান

বিপিএলে প্রথম ফাইনাল খেলতে নেমেই তামিমের শতরান

  • Font increase
  • Font Decrease

এটা তার প্রথম ফাইনাল। এবং সেই ফাইনালেই ‘প্রথম’ তামিম ইকবাল!

বিপিএলের সব আসরে খেলেছেন তামিম। কিন্তু এই প্রথম ফাইনালে খেললেন। তাতেই রেকর্ড। বিপিএলের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ফাইনালে তার আগে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাত্র একজন-ক্রিস গেইল। গেলোবারের টুর্নামেন্টের ফাইনালে গেইল ১৪৬ রানের অপরাজিত সেঞ্চুরির ঝড় তুলেছিলেন। এবার ঝড় উঠলো তামিম ইকবালের ব্যাটে। মিরপুরে ছক্কা-চারের ঝড় তুলে ১৪১ রানের যে অপরাজিত ইনিংস খেললেন তামিম, বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের সেরা সেটাই।

ফাইনালে সেঞ্চুরির এলিট তালিকায় নাম লেখানো প্রথম বাংলাদেশি তামিম ইকবাল। শুধু তাই নয়, বিপিএলের একম্যাচে সর্বোচ্চ রান তোলা সাব্বির রহমানের ১২২ রানের ইনিংসকেও পেছনে ফেললেন তামিম এই দুর্দান্ত ইনিংসে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/08/1549637540452.jpg

ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ফাইনালের শুরুটা কিছুটা ধীরে সুস্থেই করেছিলেন। পাওয়ার প্লে’ শেষ ওভারে ব্যাট হাতে খানিকটা তেজ দেখান। ফিল্ডিং ছড়িয়ে পড়তেই তামিম ইকবালের ব্যাটেও রান ছড়িয়ে পড়ে। ৩১ বলে আসে হাফসেঞ্চুরি করেন। যেখানে বাউন্ডারি ৫টি, ছক্কা দুটি।

তবে ব্যাট হাতে তামিম সত্যিকার অর্থেই ঢাকার বোলিংকে ‘তামা’ করে দিলেন হাফসেঞ্চুরির পরে। উইকেটের দুই প্রান্ত থেকেই ছক্কার ঝড় তুললেন। সামনে যাকেই পাচ্ছিলেন তার বলই হয় বাউন্ডারি নয়তো ছক্কা! মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি পুরো হয় তার। নব্বইয়ের ঘরে পৌছে সাধারণত অনেকে একটু নার্ভাস হয়ে যান। ফাইনালে তামিমকে দেখা গেলো অন্য মেজাজে। দাপটের সঙ্গেই নব্বইয়ের ঘর থেকে তিন অঙ্কের ঘরে পৌছালেন। আন্দ্রে রাসেলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৯৯ রানে গেলেন। পরের বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির উল্লাসে মেতে উঠলেন। পুরো গ্যালারি জুড়ে তখন একটাই আওয়াজ-তামিম, তামিম! কুমিল্লা, কুমিল্লা!!

৮ বাউন্ডারি ও ৭টি বিশাল ছক্কায় তামিম তার ইনিংসের শুরুর ৫০ বলে ১০৩ রান করেন। সেঞ্চুরির দ্বিতীয় ফিফটি আসে মাত্র ১৯ বলে!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/08/1549637560162.jpg

শুরুর ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৭৩ রান তুলে কুমিল্লা। ২০ ওভার শেষে স্কোরকার্ডে কুমিল্লার ১৯৯ রানের পেটমোটা সঞ্চয়ের মুল কারিগর আর কেউ নন; তামিম ইকবাল! দলের ১৯৯ রানের মধ্যে তামিমের একার রানই ১৪১। অর্থাৎ ফাইনালে দলের সংগ্রহের শতকরা ৭০ ভাগের বেশি রানই তামিমের!

পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে এর আগে দুটি হাফসেঞ্চুরি ছিল তার। ১৪টি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে আবার শূন্য রানেও আউট হয়েছিলেন। তবে নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন অলইর্ম্পোটেন্ট ফাইনালের জন্য।
৬১ বলে অপরাজিত ১৪১ রান। ১০টি বাউন্ডারি। ১১ ছক্কা। বিপিএলের ষষ্ঠ ফাইনালকে আপনি নতুন নাম দিতেই পারেন-‘তামিমের ফাইনাল!’

   

মুস্তাফিজ ইস্যুতে জালালের ঢাল হলেন সুজন



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে নিয়মিত খেলছেন, পারফর্মও করছেন। রয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার দৌড়ে। তবে আইপিএলের পাঠ এবার চুকাতে হচ্ছে মুস্তাফিজকে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ সামনে রেখে আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাকে। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে নানা মতভেদ।

মুস্তাফিজের আইপিএল ছেড়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বুধবার জালাল ইউনুস বলেন, ‘মুস্তাফিজের আইপিএল খেলে এখন শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রক্রিয়া শেষ। বরং তাঁর থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক ক্রিকেটার। এতে বাংলাদেশেরও কোনো লাভ হবে না। মুস্তাফিজের কাছাকাছি থেকে অন্যদের লাভ হবে।’

জালালের এমন মন্তব্য অনেকেই সহজভাবে নেননি। যা নিয়ে সংবাদ হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমেও। দেশের খ্যাতনামা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছেও বিষয়টি ঠেকেছে হাস্যকর হিসেবে। এ নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাবনা কি; বৃহস্পতিবার জানতে চাওয়া হয়েছিল আবাহনীর এই কোচের কাছে। তিনি অবশ্য জালালের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন উনি হয়তো বিষয়টি সেভাবে বোঝায়নি।

আইপিএলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই, জালালের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সুজন বলেন, ‘শেখার সবখানেই আছে। প্রিমিয়ার লিগেও শেখার আছে। আজকের একটা দৃশ্য শেখার হতে পারে। সেটা নিয়ে সংশয় নেই। হয়তোবা উনি (জালাল ইউনুস) এটা সেভাবে বোঝাননি। উনি বলেছেন, মুস্তাফিজ এত বছর ধরে ওখানে খেলছে। আর সে তো এখন আর তানজিম সাকিবের মতো তরুণ না। ও এখন মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজ এখন অনেক বড় নাম বিশ্ব ক্রিকেটে। হয়তোবা জালাল ভাই ওই অ্যাঙ্গেল থেকেই বলেছেন যে, মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা যেটা আছে, ভারতের তরুণ পেসাররা ওর থেকে কাটার বা এ রকম জিনিস শিখতে পারে। উনি কথাটা এটাই বলেছেন।’

আইপিএল না খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেন মুস্তাফিজ; সেই প্রশ্নের উত্তরে সুজন বলেন, ‘দিন শেষে, সবার আগে দেশ। এটা মাথায় রাখতে হবে। মুস্তাফিজ যদি আইপিএল খেলতে পারত, আমিও খুশি হতাম। দেশের খেলা না থাকলে হয়তো সমস্যা হতো না। অনেকে হয়তো বলবে, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলছে। কিন্তু আমাদের তো ১০টা মুস্তাফিজ নেই। এটাও চিন্তা করতে হবে।’

;

‘অবিশ্বাস্য জয়ে’ কেইনের উচ্ছ্বাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিগ শিরোপা হাতছাড়া হয়ে গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে প্রথম লেগে ড্রয়ের পর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে আর্সেনালকে ১-০  গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চার নিশ্চিত হয়েছে তাদের। আর্সেনালকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত নিয়ে তৃপ্তি ঝরল বায়ার্ন ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনের কণ্ঠে।

অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে কেইন বলেন, ‘অবিশ্বাস্য জয়। কঠিন একটা মৌসুম কাটছে আমাদের। এর মাঝে কখনো কখনো আমাদের অনেক লড়তে হয়েছে, আজকের দিনটা যেমন।’

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আর্সেনাল। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যান সিটির চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও দৌড়ে এখন ভালোভাবেই টিকে আছে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল মিকে আরতেতার দল। ঘরের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-২ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র উপহার দেয় তারা।

তবে বায়ার্নের মাঠে আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি তারা। হেরে গেছে ১-০ গোলে। প্রতিপক্ষ হিসেবে যে আর্সেনাল মোটেই সহজ ছিল না, সেটা উঠে এসেছে আর্সেনালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহ্যামের সাবেক ফরোয়ার্ড কেইনের কথায়, ‘আমরা জানতাম ম্যাচটা কঠিন হবে। তবে এটাও জানতাম যে ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে আমরা ভালো কিছু করতে পারি।’

সেমিফাইনালে বায়ার্নের সামনে চ্যালেঞ্জ এখন আরও বড়। শেষ চারে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে মোকাবিলা করতে হবে কেইনদের।

;

ডাক পেয়েও কেন আইপিএলে খেলতে পারেননি শরিফুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে বাংলাদেশ দলের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ধোনির সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংস দলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই পালন করছেন টাইগার পেসার। প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দেখিয়েছেন নিজের ঝলক। এখন পর্যন্ত মোট ১০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ছাড়াও আরও এক ক্রিকেটারকে এবার আইপিএলে হয়ত দেখা গেলেও যেতে পারত। তিনি হলেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। আইপিএল থেকে ডাকও পেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর খেলা হলো না তার।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছিলেন শরিফুল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শরিফুলকে এবারের আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তাদের দলে ভেড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু যেতে পারেননি তিনি। কেন আইপিএলে যেতে পারেননি এবার তার কারণ নিজেই জানালেন শরিফুল।

আবাহনীর হয়ে ম্যাচ খেলার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে শরিফুল বলেন, ‘লক্ষ্ণৌ থেকে মেসেজ দিয়েছিল, তারা আমাকে চাচ্ছিল। কিন্তু এনওসির সময়টা খুবই কম ছিল তার জন্য তারা পরে আর রেসপন্স করেনি। যদি বিসিবি পুরো এনওসিটা দিত তাহলে হয়তো যেতে পারতাম। যেহেতু আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে সেক্ষেত্রে এনওসিটা ওইভাবে চিন্তা করেই দেওয়া হয়েছে।‘

তবে নিজের ছন্দ ধরে রেখে একদিন আইপিএলে খেলার সুযোগ ঠিকই পাবেন এমন প্রত্যাশাও আছে তার, ‘ইনশাআল্লাহ ইচ্ছা তো আছে একদিন সুস্থ থাকলে, যেভাবে সব যাচ্ছে এভাবে গেলে একদিন খেলব আইপিএলে। যদি তখন দেশের কোনো খেলা না থাকে। আশা থাকবে ইচ্ছাও আছে, হয়তো সুযোগ পেলে ভালো কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’

;

পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে চান রোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মহারণ? বেশিরভাগ উত্তরই আসবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পক্ষে। তবে গত ১৭ বছর ধরে এই দল দুটি মুখোমুখি হয়ে স্রেফ আইসিসি বা এসিসির কোনো ইভেন্টেই। অর্থাৎ, এই মহারণ দেখতে বেশ খানিকটা অপেক্ষাই করতে হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। সবশেষ ২০০৭ সালের নভেম্বরে ভারতের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। 

পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠেছে আরও আগেই। অন্যান্য দেশ সেখানে গিয়ে সিরিজ খেলা শুরু করলেও সেই পুরনো দ্বন্দ্বের জের ধরে নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের উদ্যোগ নেয়নি কেউই। তবে ভারতের অধিনায়ক চান পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে। বিশেষ করে টেস্ট ফরম্যাটের। 

সম্প্রতি ‘ক্লাব প্রেইরি ফায়ার’ নামক এক পডকাস্টে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন রোহিতকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার কি মনে হয় না যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত নিয়মিত খেললে তা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য দারুণ কিছু হবে?’ সেখানে রোহিতের হ্যাঁ সূচক উত্তর। ‘আমি পুরোপুরি সেই বিশ্বাস করি। ওরা (পাকিস্তান) ভালো দল।’

তর্ক সাপেক্ষে বিশ্বের অন্যতম পেস অ্যাটাকের দল পাকিস্তান। সেটিই মানছেন রোহিতও। এবং শুধু দেশের মাটিতে নয়, পাকিস্তানে গিয়ে খেলার আভাসও দিয়েছেন তিনি। ‘ তাদের দুর্দান্ত বোলিং লাইন-আপ আছে। আমার মতে, এটা খুব ভালো একটা প্রতিযোগিতা হবে। বিশেষ করে আপনি যদি বিদেশি কন্ডিশনে খেলেন।’ 

;