বিরক্তিকর ব্যাটিং; কুমিল্লার দ্বিতীয় জয়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ঘূর্ণি বলে যাদু দেখালেন আফ্রিদি- ছবি: বিসিবি

ঘূর্ণি বলে যাদু দেখালেন আফ্রিদি- ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিংটাই ঠিক যুতসই হচ্ছে না রাজশাহী কিংসের। আর তাই নামে ‘রাজা’ হলেও মাঠের খেলায় ‘দারিদ্রের’ ছাপ স্পষ্ঠ! যার সর্বশেষ প্রমান রাজশাহীর ১২৪ রানের স্কোর। যে স্কোর ছাড়িয়ে যেতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও বিরক্তিকর ব্যাটিং করলো। সহজ ম্যাচটা জিতলো কঠিন করে। এতো কম স্কোরের টার্গেট টপকাতে নামতে হলো শহীদ আফ্রিদি ও লিয়াম ডাউসনকে। বল হাতে ম্যাচের সেরা পারফরমেন্স দেখানো আফ্রিদিই ব্যাট হাতেও ফিনিসারের দায়িত্ব পালন করলেন।

৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তিন ম্যাচে এটি কুমিল্লার দ্বিতীয় জয়। আর সমান সংখ্যাক ম্যাচে রাজশাহীর দ্বিতীয় হার।

নিয়মিত অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ চোট সারাতে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ায় এই ম্যাচে কুমিল্লার অধিনায়কত্ব করেন ইমরুল কায়েস। ব্যাটিং অর্ডারেও খানিকটা বদল আনে কুমিল্লা। জয়ের জন্য ১২৫ রানের মামুলি সংগ্রহের পেছনে ছুটতে নেমে কুমিল্লার ওপেনার হিসেবে এভিন লুইসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন এনামুল হক বিজয়। দুজনের ওপেনিং জুটিতে আসা ৬৫ রান ম্যাচ জয়ের অর্ধেক কাজটা সম্পন্ন করে দেয়।

তবে ম্যাচ জয়ের আসল কাজটা মুলত বোলিংয়ের সময়েই সেরে ফেলে কুমিল্লা। আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও লিয়াম ডাউসন প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। তবে উইকেট শিকারে বাকিদের ছাড়িয়ে যান শহীদ আফ্রিদি। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ১০ রানে ৩ উইকেট পান পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। তার ২৪ বলের মধ্যে ১৭টিই আবার ডটবল! ব্যাটে-বলে এখন পর্যন্ত পেছনের তিন ম্যাচে কুমিল্লার সেরা পারফর্মার শহীদ আফ্রিদি।

রাজশাহীর ১২৪ রানের স্কোরে সর্বোচ্চ রান অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের। আগের ম্যাচে ওয়ানডাউনে নেমে হাফসেঞ্চুরি করে দলকে জেতান তিনি। কুমিল্লার বিপক্ষে প্রমোশন নিয়ে ওপেনার হয়ে গেলেন। ১৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩০ রান তুলে নিয়ে মিরাজ জানিয়ে দিলেন টি-টুয়েন্টির ওপেনিংও তিনি পারেন। কিন্তু দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা যে টিকতেই পারলেন না। শেষের দিকে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কান ইসুরু উদানা ৩০ বলে ৩২ রান করলেন বলেই রাজশাহীর স্কোর তিন অংকে পৌছায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: রাজশাহী কিংস: ১২৪/১০ (১৮.৫ ওভারে, মিরাজ ৩০, জাকির হাসান ২৭, উদানা ৩২, আফ্রিদি ৩/১০, আবু হায়দার ২/৩৭, সাইফুদ্দিন ২/২৫, ডাউসন ২/১৭)। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৩০/৬ (১৮.৪ ওভারে এনামুল ৪০, লুইস ২৮, তামিম ২১, মিরাজ ১/৩৩)। ফল: কুমিল্লা ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: শহীদ আফ্রিদি।

   

নাহিদের ৫ উইকেটের দিনে মোহামেডানের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে শাইনপুকুরের কাছে ডিএলএস মেথডে ৬ উইকেটে হেরে গেছে মোহামেডান। ৫ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরকে জয় এনে দিয়েছেন তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। ওপেনার ইমরুল কায়েস ফিফটি পেলেও টপ এবং মিডল অর্ডারের অন্য ব্যাটাররা তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ৫৬ রান করে ইমরুল থেমেছেন হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়ে।

মোহামেডানের টপ এবং মিডল অর্ডার একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নাহিদ রানা। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৫ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার।

লোয়ার অর্ডারে আবু হায়দার রনির ৫৫ বলে ৫১ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে দুইশ ছাড়ায় মোহামেডানের সংগ্রহ। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে সাদাকালোরা।

রান তাড়ায় শাইনপুকুরকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং জিসান আলম। ৩৬ বলে সমান ৩৬ রান করেন তানজিদ, ১৫ বলে ১ চার এবং ৩ ছক্কায় ২৬ রান আসে জিসানের ব্যাটে।

শাইনপুকুরের ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি হানা দিলে তাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ৩০ ওভারে লক্ষ্য নেমে আসে ১৫৮ রানে।

অধিনায়ক আকবর আলির ২০ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদ।

ডিপিএলের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচ শেষে মোহামেডান এবং শাইনপুকুরের পয়েন্ট সমান ১৪। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে শাইনপুকুর, চার মোহামেডান।

;

ভারতের বিপক্ষে মেয়েদের দলে দুই পরিবর্তন



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। আগামী ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশে পা রাখবে তারা। এই সিরিজের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে ভারত। এবার বাংলাদেশও সিরিজকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল চূড়ান্ত করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফারজানা আক্তার লিসা এবং সুমাইয়া আক্তার দলে তাদের জায়গা হারিয়েছেন। তাদের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন রুবয়া হায়দার ঝিলিক ও ১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবা ইসলাম পিংকি।

২৮ এপ্রিল মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ এপ্রিল, ২ মে, ৬ মে ও ৯ মে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল

নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুশতারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, রাবেয়া, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, রুবয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি

স্ট্যান্ডবাই: সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি

;

হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান রঙ্গনা হেরাথের উত্তরসূরি পাকিস্তান থেকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল বড় রদবদল হয়েছে। হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সহকারী কোচ নিক পোথাস বাদে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যরা তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষের পর দায়িত্ব ছাড়েন। শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার হেরাথও তখন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

পরে অবশ্য হেরাথকে ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। বছরে ২০০ দিন কাজের অভিনব এক প্রস্তাবও দিয়েছিল। তবে হেরাথ তাতে সাড়া দেননি। যার ফলে নতুন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজতে হয় বিসিবিকে। মুশতাক আহমেদকে নিয়োগের মধ্যে সে খোঁজাখুঁজির কাজ শেষ হল।

মুশতাক আহমেদের খেলোয়াড়ি জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪০০’র বেশি উইকেট রয়েছে এই ঘূর্ণিবাজের।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী হন মুশতাক। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন, ২০১৪ পর্যন্ত সে পদে ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও কাজ করেছেন। আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

;

সহজ জয়ে ফেড কাপের সেমিতে বসুন্ধরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। যে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আগের ১২ সাক্ষাতে কোনো হার নেই, তাদের মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ কী! সহজ কাজটা সহজেই সেরেছে কিংস। দুই অর্ধের দুই গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই ছিল বসুন্ধরার দাপট। ২৪ মিনিটে সে দাপটের পুরস্কারও পেয়ে যায় তারা। ২৪ মিনিটে রবসনের লে অফে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন সোহেল রানা। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।

বিরতির পর টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে সে সুযোগ হেলায় হারান রহমতগঞ্জের এই ফুটবলার।

সুযোগ নষ্টের মূল্য দ্বিতীয় গোল হজম করে চুকাতে হয় রহমতগঞ্জকে। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপে বোকা বনেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট পায় বসুন্ধরা।

;