রুটের সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব ইংল্যান্ডের



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জো রুটের ব্যাটে শতরানে স্বস্তি ইংল্যান্ডের

জো রুটের ব্যাটে শতরানে স্বস্তি ইংল্যান্ডের

  • Font increase
  • Font Decrease

লড়াইয়ের মঞ্চে রোমাঞ্চের স্পষ্ট আভাস! ক্যান্ডি টেস্ট জমে উঠেছে। তৃতীয় দিন শেষে স্পষ্ট করে বলার উপায় নেই কারা জিততে যাচ্ছে এই টেস্ট। কারণ শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড লড়াই সমানে সমান। শুক্রবার আকিলা দনাঞ্জয়া যেমন নিয়েছেন ৬ উইকেট, তেমনি জো রুট তুলে নিয়েছেন শতরান।

পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টেস্টের শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩২৪ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে পিছিয়ে থাকলেও এখন ২৭৮ রানের লিড নিয়েছে সফরকারীরা। মানে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়ে ফেলেছে ইংলিশরা।

জো রুটের ব্যাটেই প্রতিরোধ গড়েছে দল। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২৪ রান। এর আগে দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেকে প্রতিরোধ গড়া শুরু। ৭৩ রানের জুটি গড়ে পথ দেখান ররি বার্নস ও কিটন জেনিংস। বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়ে জেনিংস ফিরেন ২৬ রানে। আর বার্নস ৬৬ বলে ৫৯ করে ধরেন সাজঘরের পথ।

এরপরের সময়টুকু শুধুই জো রুটের গল্প। পঞ্চম উইকেটে জস বাটলারের তিনি গড়েন ৭৪ রানের জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে মঈন আলিকে নিয়ে ৩৬ ও সপ্তম উইকেটে বেন ফোকসের সঙ্গে ৮২ রানের জুটিতে দলকে এনে দেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর।

রুট তার ১৫তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ১২০ বলে। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ বলে ১২০ রান করে ধরেন সাজঘরের পথ। আর ফোকস অপরাজিত ৫১ রানে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/16/1542388653971.jpg

ক্যারিয়ার সেরা বোলিং উপহার দিয়ে দনাঞ্জয়া ১০৬ রানে নেন ৬ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৯০/১০

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩৩৬/১০

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৭৬ ওভারে ৩২৪/৯ (বার্নস ৫৯, জেনিংস ২৬, রুট ১২৪, বাটলার ৩৪, মঈন ১০, ফোকস ৫১*, রশিদ ২, অ্যান্ডারসন ৪*; দিলরুয়ান ২/৮৭, পুস্পকুমারা ১/৯৭, দনাঞ্জয়া ৬/১০৬)

   

‘অবিশ্বাস্য জয়ে’ কেইনের উচ্ছ্বাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিগ শিরোপা হাতছাড়া হয়ে গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে প্রথম লেগে ড্রয়ের পর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে আর্সেনালকে ১-০  গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চার নিশ্চিত হয়েছে তাদের। আর্সেনালকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত নিয়ে তৃপ্তি ঝরল বায়ার্ন ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনের কণ্ঠে।

অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে কেইন বলেন, ‘অবিশ্বাস্য জয়। কঠিন একটা মৌসুম কাটছে আমাদের। এর মাঝে কখনো কখনো আমাদের অনেক লড়তে হয়েছে, আজকের দিনটা যেমন।’

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আর্সেনাল। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যান সিটির চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও দৌড়ে এখন ভালোভাবেই টিকে আছে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল মিকে আরতেতার দল। ঘরের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-২ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র উপহার দেয় তারা।

তবে বায়ার্নের মাঠে আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি তারা। হেরে গেছে ১-০ গোলে। প্রতিপক্ষ হিসেবে যে আর্সেনাল মোটেই সহজ ছিল না, সেটা উঠে এসেছে আর্সেনালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহ্যামের সাবেক ফরোয়ার্ড কেইনের কথায়, ‘আমরা জানতাম ম্যাচটা কঠিন হবে। তবে এটাও জানতাম যে ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে আমরা ভালো কিছু করতে পারি।’

সেমিফাইনালে বায়ার্নের সামনে চ্যালেঞ্জ এখন আরও বড়। শেষ চারে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে মোকাবিলা করতে হবে কেইনদের।

;

ডাক পেয়েও কেন আইপিএলে খেলতে পারেননি শরিফুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে বাংলাদেশ দলের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ধোনির সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংস দলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই পালন করছেন টাইগার পেসার। প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দেখিয়েছেন নিজের ঝলক। এখন পর্যন্ত মোট ১০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ছাড়াও আরও এক ক্রিকেটারকে এবার আইপিএলে হয়ত দেখা গেলেও যেতে পারত। তিনি হলেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। আইপিএল থেকে ডাকও পেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর খেলা হলো না তার।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছিলেন শরিফুল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শরিফুলকে এবারের আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তাদের দলে ভেড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু যেতে পারেননি তিনি। কেন আইপিএলে যেতে পারেননি এবার তার কারণ নিজেই জানালেন শরিফুল।

আবাহনীর হয়ে ম্যাচ খেলার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে শরিফুল বলেন, ‘লক্ষ্ণৌ থেকে মেসেজ দিয়েছিল, তারা আমাকে চাচ্ছিল। কিন্তু এনওসির সময়টা খুবই কম ছিল তার জন্য তারা পরে আর রেসপন্স করেনি। যদি বিসিবি পুরো এনওসিটা দিত তাহলে হয়তো যেতে পারতাম। যেহেতু আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে সেক্ষেত্রে এনওসিটা ওইভাবে চিন্তা করেই দেওয়া হয়েছে।‘

তবে নিজের ছন্দ ধরে রেখে একদিন আইপিএলে খেলার সুযোগ ঠিকই পাবেন এমন প্রত্যাশাও আছে তার, ‘ইনশাআল্লাহ ইচ্ছা তো আছে একদিন সুস্থ থাকলে, যেভাবে সব যাচ্ছে এভাবে গেলে একদিন খেলব আইপিএলে। যদি তখন দেশের কোনো খেলা না থাকে। আশা থাকবে ইচ্ছাও আছে, হয়তো সুযোগ পেলে ভালো কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’

;

পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে চান রোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মহারণ? বেশিরভাগ উত্তরই আসবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পক্ষে। তবে গত ১৭ বছর ধরে এই দল দুটি মুখোমুখি হয়ে স্রেফ আইসিসি বা এসিসির কোনো ইভেন্টেই। অর্থাৎ, এই মহারণ দেখতে বেশ খানিকটা অপেক্ষাই করতে হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। সবশেষ ২০০৭ সালের নভেম্বরে ভারতের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। 

পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠেছে আরও আগেই। অন্যান্য দেশ সেখানে গিয়ে সিরিজ খেলা শুরু করলেও সেই পুরনো দ্বন্দ্বের জের ধরে নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের উদ্যোগ নেয়নি কেউই। তবে ভারতের অধিনায়ক চান পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে। বিশেষ করে টেস্ট ফরম্যাটের। 

সম্প্রতি ‘ক্লাব প্রেইরি ফায়ার’ নামক এক পডকাস্টে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন রোহিতকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার কি মনে হয় না যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত নিয়মিত খেললে তা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য দারুণ কিছু হবে?’ সেখানে রোহিতের হ্যাঁ সূচক উত্তর। ‘আমি পুরোপুরি সেই বিশ্বাস করি। ওরা (পাকিস্তান) ভালো দল।’

তর্ক সাপেক্ষে বিশ্বের অন্যতম পেস অ্যাটাকের দল পাকিস্তান। সেটিই মানছেন রোহিতও। এবং শুধু দেশের মাটিতে নয়, পাকিস্তানে গিয়ে খেলার আভাসও দিয়েছেন তিনি। ‘ তাদের দুর্দান্ত বোলিং লাইন-আপ আছে। আমার মতে, এটা খুব ভালো একটা প্রতিযোগিতা হবে। বিশেষ করে আপনি যদি বিদেশি কন্ডিশনে খেলেন।’ 

;

আবাহনীর সঙ্গে লড়তেই পারল না শেখ জামাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডেও দুরন্ত আবাহনী। সাকিববিহীন শেখ জামালকে ৮৮ রানে আটকে দিয়ে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে আকাশি-হলুদরা। লিগে সব প্রতিপক্ষকে হারের স্বাদ দেয়া আবাহনী ১১ ম্যাচ থেকে পেয়েছে পূর্ণ ২২ পয়েন্ট।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে শেখ জামালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আবাহনী। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সুবিধা করতে পারেনি নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামাল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নিজেদের বিপদ বাড়ায় তারা।

আবাহনীর পক্ষে শরিফুল ইসলাম ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শেখ জামালের ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দেন। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং তানভীর ইসলাম। তাতে ২২.৪ ওভারে ৮৮ রানেই সব উইকেট হারিয়ে বসে শেখ জামাল। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে ওপেনার সৈকত আলির ব্যাটে।

জবা দিতে নেমে সে রান ১০.২ ওভারেই তাড়া করে ফেলে আবাহনী। ৪০ বলে ৫৩ রান করেন নাঈম শেখ, ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন এনামুল হক বিজয়।

১০ উইকেটের বিশাল হারের পরও ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই থাকছে শেখ জামাল।

;