ফতুল্লায় আরাফাত সানির ৭ উইকেট
ফতুল্লায় বোলিং করতে সবসময় পছন্দ করেন আরাফাত সানি। এবার এই মাঠকে তিনি আরো বেশি ভালবাসবেন। চলতি ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগে এক ইনিংসে সেরা বোলিংয়ের পারফরমেন্স করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ৫৭ রানে শিকার করেছেন ৭ উইকেট। মুলত আরাফাত সানির স্পিন ঝলকের সামনেই ঢাকা বিভাগের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ২০৬ রানে। ব্যাট হাতে মিডলঅর্ডারে তাইবুর রহমানের ৮৮ এবং শেষের দিকে মোশাররফ হোসেনের ২৭ রান ঢাকার সঞ্চয়ে যা একটু সমৃদ্ধি। ২৪ ওভারে ৫৭ রানে ৭ উইকেট শিকার করা আরাফাত সানির দিনে বোলার হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুলও ফতুল্লায় খানিকটা তৃপ্তির হাসি হেসেছেন। ১২ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট শিকার করেছেন এদিন আশরাফুলও। প্রথমদিন শেষে ঢাকা মেট্রোপলিশ কোন উইকেট না হারিয়ে ২৬ রান তুলেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (১ম দিন শেষে) ঢাকা বিভাগ ১ম ইনি: ২০৬/১০ (৭৫ ওভারে, তাইবুর ৮৮, মোশাররফ ২৭, সানি ৭/৫৭, আশরাফুল ২/১৯)। ঢাকা মেট্রো ১ম ইনি: ২৬/০)
কক্সবাজারে সাদিকুরের সেঞ্চুরি
চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ উইকেটে ২৮২ রানের মধ্যে রান যা করার তার করলেন শুরুর চারজনের তিনজন। ওপেনার সাদিকুর রহমানের ব্যাট হাসল ১০৬ রানের সেঞ্চুরিতে। ওয়ানডাউনে মমিনুল খেললেন ৫২ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। টু-ডাউনে ইয়াসির আলী করলেন ৮৪ রান। তবে দিন শেষে এদের কেউ নন, আলোচনার পুরোটা জুড়েই থাকল চট্টগ্রাম বিভাগের ‘চার শূণ্যের ইনিংস’! ৯ ব্যাটসম্যানের মধ্যে চারজনই শূণ্য রানে আউট। আট-নয় ও দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা নাঈম হাসান, ইয়েসিন আরাফাত ও ইরফান হোসেন-তিনজনই শূণ্য রানে আউটের সিরিয়ালটা ঠিক রাখলেন যেন! মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন শেষবেলায় কোন মতো দিনটা পার করলেন বলেই অলআউট হয়নি চট্টগ্রাম বিভাগ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (১ম দিন শেষে) চট্টগ্রাম বিভাগ ১ম ইনি: ২৮২/৯ (৮৭ ওভারে, সাদিকুর ১০৬, ইয়াসির আলী ৮৪, মমিনুল ৪৩, সাইফুদ্দিন ২০*, শাহনুর ৩/৫৮)।