জয়ে শুরু বাংলাদেশের সাফ মিশন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জয়ে শুরু বাংলাদেশের সাফ মিশন

জয়ে শুরু বাংলাদেশের সাফ মিশন

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই অর্ধের শুরুতেই একটা করে গোল। আর এই দুই গোলেই এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা। হট ফেভারিটের ট্যাগ নিয়েই এই ম্যাচে নেমেছিল বাংলাদেশ। ২-০ গোলের জয়ে সেই মেজাজ নিয়েই মাঠ ছাড়ল। তিন মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে ম্যাচের প্রথম গোল করেন তপু বর্মন। বিরতির পর খেলার শুরুর প্রথম মিনিটেই প্রায় একক কৃতিত্বে গোল করে মাহবুবুর রহমান লিড ২-০ করেন।

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে কোচ জেমি ডে দলের তরুণ খেলোয়াড়দের ওপরই আস্থা রাখেন। ম্যাচের পুরোটা সময়জুড়ে খেলোয়াড়দের পরিশ্রম করে খেলার চেষ্টা প্রশংসা পাওয়ার মতোই। দলের খেলার ধারাও কিছুটা বদলে দিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ। ওয়ান টাচ ফুটবলের একটা দ্যুতি দেখা গেল বাংলাদেশের খেলায়। রক্ষণ জমাট করে মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ এবং দুই উইং দিয়ে আক্রমণে উঠে আসার বাংলাদেশের পরিকল্পিত ফুটবলের সামনে ভুটান ঠিক পেরে উঠতে পারেনি। যদিও বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে গোলের সুযোগ এসেছিল ভুটানের সামনে। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

কিক অফের বাঁশি বাজতেই যেভাবে ভুটানের সীমান্তে বাংলাদেশ ঝাঁপাল, তাতেই স্বাগতিকদের গোল ক্ষিধের প্রমাণ মিলল। আর সেই ‘খাদ্যও’ জুটে গেল খেলার শুরুতেই! একেবারে তিন মিনিটের মধ্যেই। পেনাল্টিতে। ম্যাচের প্রথম কর্নার থেকে বল উড়ে এল ভুটানের বক্সে। সেখানে সামনে থাকা সাদউদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন ভুটানি এক ফুটবলার। সামনে দাঁড়ানো রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৩ মিনিট।

ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ খেলার নিয়ন্ত্রণটা নিজের কাছে রাখার পরিকল্পনায় নামে। মাঝমাঠের খেলোয়াড়রা একটু নিচের দিকে নেমে রক্ষণভাগকে বাড়তি সহায়তা দেন। ফলে ভুটানের আক্রমণগুলো বাংলাদেশের ফাইনাল থার্ডের বাঁধা পার করতেই পারেনি। ম্যাচের ৮ মিনিটের সময় পাল্টা আক্রমণ থেকে গোলের সহজ একটা সুযোগ নষ্ট করেন স্ট্রাইকার মাহবুবুর রহমান। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে ডানপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে উঠে আসেন তিনি। বল নিয়ে সামনে বাড়েন। সঙ্গে থাকা মার্কারকে গতিতে হারিয়েও দেন। সামনে শুধু ভুটানি গোলরক্ষক। কিন্তু ওয়ান টু ওয়ান সেই লড়াইয়েও জিততে পারেননি মাহবুবুর। শট নিলেন। সেই শট সোজা ভুটানি গোলকিপার শেরিং ডেনডুপের গায়ে লাগে।

ম্যাচে সমতা আনার সবচেয়ে ভাল সুযোগটা পায় ভুটান ২৫ মিনিটের সময়। দুই ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশাহ ও বিশ্বনাথের ভুল বোঝাবুঝিতে ফাঁকায় বল পেয়ে যান ভুটানি স্ট্রাইকার চেনচো গেলেতসেন। কিন্তু সামনে থাকা গোলকিপারকে একা পেয়েও তিন শট নিলেন পোস্টের বাইরে!

বিরতির পর প্রথম আক্রমণ থেকেই ম্যাচের দ্বিতীয় গোল পেল বাংলাদেশ। মাহবুবুর রহমান ডানদিক থেকে বল নিয়ে ভুটানি ডি বক্সে ঢুকে পড়েন। কোনাকুনি সেই পজিশন থেকে জোরে ভলি শট নিলেন। বল সোজা জালে, গো..ও...ল!

দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ রক্ষণভাগ সামাল দিতে একটু বেশি মনোযোগী হয়। ভুটান এই সময় আক্রমণ বাড়ানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণ দেয়াল ভাঙ্গতে পারেনি।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের মিশন সাফল্যের সঙ্গেই শুরু হল।

   

নাহিদের ৫ উইকেটের দিনে মোহামেডানের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে শাইনপুকুরের কাছে ডিএলএস মেথডে ৬ উইকেটে হেরে গেছে মোহামেডান। ৫ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরকে জয় এনে দিয়েছেন তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। ওপেনার ইমরুল কায়েস ফিফটি পেলেও টপ এবং মিডল অর্ডারের অন্য ব্যাটাররা তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ৫৬ রান করে ইমরুল থেমেছেন হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়ে।

মোহামেডানের টপ এবং মিডল অর্ডার একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নাহিদ রানা। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৫ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার।

লোয়ার অর্ডারে আবু হায়দার রনির ৫৫ বলে ৫১ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে দুইশ ছাড়ায় মোহামেডানের সংগ্রহ। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে সাদাকালোরা।

রান তাড়ায় শাইনপুকুরকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং জিসান আলম। ৩৬ বলে সমান ৩৬ রান করেন তানজিদ, ১৫ বলে ১ চার এবং ৩ ছক্কায় ২৬ রান আসে জিসানের ব্যাটে।

শাইনপুকুরের ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি হানা দিলে তাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ৩০ ওভারে লক্ষ্য নেমে আসে ১৫৮ রানে।

অধিনায়ক আকবর আলির ২০ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদ।

ডিপিএলের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচ শেষে মোহামেডান এবং শাইনপুকুরের পয়েন্ট সমান ১৪। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে শাইনপুকুর, চার মোহামেডান।

;

ভারতের বিপক্ষে মেয়েদের দলে দুই পরিবর্তন



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। আগামী ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশে পা রাখবে তারা। এই সিরিজের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে ভারত। এবার বাংলাদেশও সিরিজকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল চূড়ান্ত করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফারজানা আক্তার লিসা এবং সুমাইয়া আক্তার দলে তাদের জায়গা হারিয়েছেন। তাদের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন রুবয়া হায়দার ঝিলিক ও ১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবা ইসলাম পিংকি।

২৮ এপ্রিল মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ এপ্রিল, ২ মে, ৬ মে ও ৯ মে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল

নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুশতারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, রাবেয়া, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, রুবয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি

স্ট্যান্ডবাই: সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি

;

হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান রঙ্গনা হেরাথের উত্তরসূরি পাকিস্তান থেকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল বড় রদবদল হয়েছে। হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সহকারী কোচ নিক পোথাস বাদে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যরা তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষের পর দায়িত্ব ছাড়েন। শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার হেরাথও তখন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

পরে অবশ্য হেরাথকে ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। বছরে ২০০ দিন কাজের অভিনব এক প্রস্তাবও দিয়েছিল। তবে হেরাথ তাতে সাড়া দেননি। যার ফলে নতুন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজতে হয় বিসিবিকে। মুশতাক আহমেদকে নিয়োগের মধ্যে সে খোঁজাখুঁজির কাজ শেষ হল।

মুশতাক আহমেদের খেলোয়াড়ি জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪০০’র বেশি উইকেট রয়েছে এই ঘূর্ণিবাজের।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী হন মুশতাক। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন, ২০১৪ পর্যন্ত সে পদে ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও কাজ করেছেন। আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

;

সহজ জয়ে ফেড কাপের সেমিতে বসুন্ধরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। যে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আগের ১২ সাক্ষাতে কোনো হার নেই, তাদের মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ কী! সহজ কাজটা সহজেই সেরেছে কিংস। দুই অর্ধের দুই গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই ছিল বসুন্ধরার দাপট। ২৪ মিনিটে সে দাপটের পুরস্কারও পেয়ে যায় তারা। ২৪ মিনিটে রবসনের লে অফে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন সোহেল রানা। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।

বিরতির পর টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে সে সুযোগ হেলায় হারান রহমতগঞ্জের এই ফুটবলার।

সুযোগ নষ্টের মূল্য দ্বিতীয় গোল হজম করে চুকাতে হয় রহমতগঞ্জকে। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপে বোকা বনেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট পায় বসুন্ধরা।

;