জাবিতে দুর্নীতি

রাব্বানী-জাবি ছাত্রলীগ নেতার ফোনালাপ ফাঁস



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রাব্বানী-জাবি ছাত্রলীগ নেতার ফোনালাপ ফাঁস, ছবি: সংগৃহীত

রাব্বানী-জাবি ছাত্রলীগ নেতার ফোনালাপ ফাঁস, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির ঘটনায় সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তরের ফোনালাপের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। যেখানে প্রকল্পের টাকা থেকে শাখা ছাত্রলীগের এক কোটি টাকা চাঁদা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সাথে এই দুর্নীতির সাথে উপাচার্যের পুত্র, স্বামী, ব্যক্তিগত সচিব ও প্রকল্প পরিচালকের সংশ্লিষ্টতা দেখানো হয়েছে। ৬ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই অডিওতে কীভাবে কারা কত টাকা পেয়েছে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

গণমাধ্যম ও শাখা ছাত্রলীগের সূত্র মতে, ৯ আগস্ট যে চারজন ভিসির বাসায় টাকা বাঁটোয়ারার জন্য গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেনও ছিলেন।

অডিওতে শুনে বোঝা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হামজা রহমান অন্তর রাব্বানীকে ফোন দেন। ফোন রিসিভ করে রাব্বানী বলেন, 'হ্যালো অন্তর! টাকা নেওয়ার সময় কে কে ছিল?' তখন অন্তর বলেন, 'জুয়েল (শাখা সভাপতি), চঞ্চল (সাধারণ সম্পাদক), সাদ্দাম (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)।' টাকাটা কোথায় বসে দিয়েছে রাব্বানীর এমন প্রশ্নে অন্তর বলেন, 'ভিসি ম্যামের বাসায়'। অন্তর তখন বলেন, 'সাদ্দাম ভাই আমার পাশে আছে কথা বলবে?' রাব্বানী সম্মতি দিলে কথা বলা শুরু করেন সাদ্দাম।

রাব্বানী ও সাদ্দামের কথোপকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

শুরুতে সাদ্দাম ও রাব্বানীর মাঝে কুশলাদি বিনিময় হয়।

 

রাব্বানী: কি খবর ভাই?

সাদ্দাম: ভাই খবর তো আমি জানাইছি, খবর তো ভাল না বেশি একটা। আমি তো আপনাকে জানাইছি ভাই আমি, তাজ (নিয়ামুল হাসান তাজ-সহসভাপতি), জুয়েল ও চঞ্চল এই চারজন ছিলাম ভাই ওই মিটিংয়ের সময় (টাকা ভাগ-বাটোয়ারার সময় ভিসির বাসায়)।

রাব্বানী: ম্যাম তো বলছে এ আন্দোলনও নাকি আমরা করাইছি! আন্দোলন কারা করছে সেটাও তো আমরা জানি না।

সাদ্দাম: বিষয়টা হচ্ছে উনি ছাত্রলীগের উপর সব কিছু দিয়া নিজের ফ্যামিলিরে সেভ করতে চাচ্ছে।

রাব্বানী: আচ্ছা যখন টাকাটা দিছে তখন তুই ছিলি না?

সাদ্দাম: হ্যাঁ ভাই আমি ছিলাম।

রাব্বানী: টাকাটা দিছে কিভাবে, ম্যাম নিজেই দিছে, অন্য কেউ ছিল না?

সাদ্দাম: ওখানে হচ্ছে ভাই আর কেউই ছিল না। ম্যাম এবং তার পরিবার হচ্ছে আমাদের সাথে ডিলিংসটা করছে। করে সে হচ্ছে টাকাটা আমাদের হলে পৌঁছে দিছে।

রাব্বানী: হলে পৌঁছে দিছে টাকা?

সাদ্দাম: হ্যাঁ হ্যাঁ একটা গাড়িতে করে এক লোক এসে দিয়ে গেছে।

রাব্বানী: কয় টাকা দিছে?

সাদ্দাম: আমাদের বলছে এক কোটি। আমরা বাকিটা জানি না, জুয়েল আর চঞ্চলের সাথে আলাদা সিটিং হইতে পারে।

রাব্বানী: আমি শুনলাম এক কোটি ৬০ (লাখ)।

সাদ্দাম: ওইটা ভাই ৬০ টা (লাখ) আমরা জানি না। উনি এক কোটি ভাগ করে দিছে। যে পঞ্চাশ (লাখ) হচ্ছে জুয়েলের, পঁচিশ (লাখ) আমাদের আর পঁচিশ (লাখ) চঞ্চলের।

রাব্বানী: ও ম্যাডাম এভাবে ভাগ করে দিছে? জুয়েল ভাল ছেলে এজন্য পঞ্চাশ (লাখ) আর চঞ্চল ক্যাম্পাসের বাইরে থাকে এজন্য পঁচিশ (লাখ)?

সাদ্দাম: হ্যাঁ। চঞ্চল আমাদের তো বাদ দিতে পারে নাই। ঝামেলা এড়ানোর জন্য বা...

রাব্বানী: ও চঞ্চলের ভাগেরটাই তোরা পাইছস?

সাদ্দাম: হ্যাঁ, চঞ্চলের ওখান থেকেই, আমরা বলছি যে ২৫% আমাদের দেয়া লাগবে। তারা হচ্ছে ভাই তাহলে আমাদেরকে না জানায়া তাদেরকে আলাদা ষাট লাখ টাকা দিছে, এটা হইতে পারে।

রাব্বানী: ও তাহলে তোদেরকে না জানায়া দিছে?

সাদ্দাম: হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা এটা জানি না আমরা এক কোটির হিসাব জানি।

রাব্বানী: তোমার ম্যাডাম যে আমাদের নাম জড়াইলো এখানে, টাকার ব্যাপারে আমার বা শোভনের কোন আইডিয়াই তো নাই।

সাদ্দাম: ভাই উনি খুব নোংরামি করতেছে।

রাব্বানী: আমিও বুঝতেছি নিজে সেভ হওয়ার জন্য ফ্যামিলি সেভ করার জন্য। এ ছয়টা কাজ বেসিক্যালি ঠিকাদারদের সাথে ডিল করছে কে?

সাদ্দাম: ভাই মূলত ডিলটিল করছে তার ছেলে, তার পিএস সানোয়ার ভাই, আর পিডি আর তার স্বামী -এ চারজন।

রাব্বানী: হাজবেন্ড, ছেলে, পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নাসির আর পিএস (ভিসির একান্ত সচিব) সানোয়ার? ও তারাই আগে থেকে ছয়টা কোম্পানি ঠিক করে রেখেছে?

সাদ্দাম: হ্যাঁ, শুরু থেকেই তারা সব কিছু করছে।

রাব্বানী: টেকনিক্যাল কমিটিতেও ভিসি ছিল? ভিসি তো থাকতে পারে না।

সাদ্দাম: হ্যাঁ সে ছিল। প্রথমত সে তো সবাইরে ফেরত-টেরত পাঠায়া দিলো না! শিডিউল ছিনায়া টিনায়া নিচ্ছিল। পরে হচ্ছে আমরা বলছি সবাইরে কিনতে দিতে হবে সবাইরেই ড্রপ করতে দিতে হবে। তখন হচ্ছে ড্রপ সবাইরেই করাইছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে নিজ হাতে সব বিষয়গুলো করছে।

পরে আবার কথা বলবেন বলে রাব্বানী ফোনালাপ শেষ করেন।

   

৬ বছর পর জাবির সিনেট-সিন্ডিকেটে অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে নতুন ৭ মুখ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেটে ৫ জন এবং সিন্ডিকেটে ২ জন সদস্যকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা সকলেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের' প্যানেল থেকে জয় লাভ করেছেন। অপরদিকে ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ পানেল থেকে এই দুই পদে জয় পাননি কেউই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৩৮ তম সভা শেষে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ভোট গণনা শেষে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান এর ফল প্রকাশ করেন। 

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষে আবু হাসান জানান, নির্বাচনে ৩৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৬ জন ভোট দেন। সিন্ডিকেটে ২টি পদের বিপরীতে ৪ জন এবং সিনেটে ৫টি পদের বিপরীতে ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ শিক্ষা পর্ষদের নিয়মিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯(১) (জি) ও ২২(১) (ডি) ধারা অনুযায়ী ২৪ ও ২৫ নাম্বার এজেন্ডায় অনুসারে ৫ জন অধ্যক্ষকে সিনেট সদস্য ও ২ জন অধ্যক্ষকে সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচনে আগামী ২ বছরের জন্য এই সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্ষদ থেকে সিনেট ও সিন্ডিকেটের কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' প্যানেল থেকে সিনেট প্রতিনিধি হিসেবে ৫ জন এবং আওয়ামীপন্থিদের আরেক অংশ ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সম্মিলিত জোট 'শিক্ষক ঐক্য পরিষদ' প্যানেল থেকে ৫ জন সহ এই 

প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ তবে সিনেট প্রতিনিধি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করেছেন বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মতিউর রহমান।

এছাড়া সিন্ডিকেট প্রতিনিধি হিসেবে উভয় প্যানেল থেকে ২ জন করে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ নির্বাচনে ৭টি পদেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' মনোনীত প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ  জয়লাভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯ (১) (জি) ধারা অনুযায়ী একাডেমি কাউন্সিল থেকে সিনেট সদস্য ক্যাটাগরিতে ১৬১ ভোট পেয়ে রশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, ১৫৮ ভোট পেয়ে সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, ১৫১ ভোট পেয়ে শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাহেজ উদ্দিন, ১৪৮ ভোট পেয়ে আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ এবং ১৩২ ভোট পেয়ে বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক চিন্ময় বাড়ৈ নির্বাচিত হয়েছেন ।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ২২ (১) (ডি) ধারা অনুযায়ী নির্বাচনে 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ প্যানেল থেকে সিন্ডিকেট প্রতিনিধি পদে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ ১৬৩ ভোট পেয়ে ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. হারুন অর রশিদ ১৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন৷ 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সর্বশেষ কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৬ বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ 

;

নিরাপত্তা ও আত্মসম্মান রক্ষায় কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপত্তা, আত্মসম্মান রক্ষার্থে ও বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করার স্বার্থে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডি থেকে এক সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস কমিটির সদস্য আবু ওবায়দা রাহিদ অনুমতি ছাড়াই আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নির্মিতব্য সংরক্ষিত কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসন বিন্যাস পরিকল্পনা করেন এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি ছাড়া ল্যাবে প্রবেশ ও আসন পরিকল্পনা করার কথা জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন। পরবর্তী সময়ে ঈদ ছুটি শেষে 'অনুমতি নেওয়ার' বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিনি ক্যাম্পাসে গোল চত্বরে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমানসূচক কথাবার্তা বলতে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে 'স্লেজিং' করতে থাকেন। ওই সময় উপস্থিত তিন শিক্ষক তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তখনও তিনি আমার দিকে বারবার তেড়ে আসতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে 'সমঝোতা বৈঠকে' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন অধ্যাপকের সামনে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং আমার পরিবার নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন।

পদত্যাগ পত্রে তিনি আরও বলেন, ওই সদস্য একজন সহকারী প্রক্টর। এ পদের ক্ষমতা এবং প্রভাবশালীর সঙ্গে তার সম্পর্কের জোর দেখিয়ে এ কাজ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় এবং তিনি আমাকে সুযোগ পেলে আক্রমণ করবেন বলে অব্যাহতভাবে হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পার হয়ে গেলেও ওই সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় বিচার না পাওয়া ও তার ধারাবাহিক হুমকির মুখে তার উপস্থিতিতে প্রক্টরিয়াল বডিতে আমি কাজ করতে তীব্রভাবে শঙ্কিতবোধ ও বিব্রতবোধ করছি। তাই, নিজের নিরাপত্তা, আত্মসম্মান রক্ষার্থে ও বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করার স্বার্থে আমি সহকারী প্রক্টর থেকে পদত্যাগ করছি।

পদত্যাগকারী শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এই দায়িত্বে পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি, আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি৷

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ইবি 



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত গুচ্ছ (জিএসটি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় প্রক্টর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

এসময় তিনি জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে র‍্যাবের সর্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা থাকবে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসের সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা বদ্ধপরিকর। ভর্তি পরীক্ষা যেন নকল মুক্ত এবং প্রক্সি মুক্ত হয় সেজন্য আমাদের সর্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেনো না ঘটে সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। 

সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিএনসিসি রোভার স্কাউটের ৬২ জন সদস্য বিভিন্ন ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন, পাশাপাশি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় ১৭৫ জন পুলিশ সদস্য এবং ২৩ জন পোশাকধারী আনসার সদস্য দায়িত্বে থাকবেন।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ১০০ জন ভ্যান চালকদের পোশাক ও আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনে তারা মেইন গেইট থেকে শিক্ষার্থীদের ভবনে পৌঁছে দেয়ার কাজ করবে। এছাড়াও পার্কিং করার ক্ষেত্রে কুষ্টিয়া হতে আগত শিক্ষার্থীদের ৩নং গেইটে (ডরমিটরি গেইট) নামিয়ে দিয়ে শান্তিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাড়ি অবস্থান করবে এবং ঝিনাইদহ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের শেখপাড়া বাজারে নামিয়ে দিয়ে ডিএম কলেজে গাড়িসমূহ অবস্থা করবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ মে (শুক্রবার) ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এর ভর্তি পরীক্ষা এবং ১০ মে (শুক্রবার) ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায়ী শিক্ষা) বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমদিন ৬ হাজার ৪৪২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় বসবে।

;

সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ে অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বৃষ্টি চেয়ে প্রার্থনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে ঢাবি প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এ আয়োজন বাতিল করতে হয়।

বুধবার (২৪এপ্রিল) এ সালাত আদায়ের কথা থাকলেও আগের দিন রাতেই আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ঢাবি প্রশাসন এ আয়োজনের অনুমতি দেননি।

ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এ ইস্তিস্কার নামাজ। ইমামতি ও মুনাজাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শাইখ অধ্যাপক মুখতার আহমদকে। তবে, আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি নিয়ে রাতেই জানানো হয়, এ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি আয়োজকদের পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আয়োজকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, সালাতুল ইস্তেস্কার আদায় সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকালের অনুষ্ঠিতব্য সালাতুল ইস্তেস্কারের ব্যাপারে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের ডেকেছে। তীব্র তাপবদাহ চলমান থাকায় এই মুহুর্তে প্রশাসন আমাদের খোলা মাঠে সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের অনুমতি দেয়নি। পরবর্তী সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ঢাবি প্রক্টর ড.মাকসুদুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস ঘোষণা করা হয়েছে। সে জায়গায় আমরা খোলা মাঠে নামাজের অনুমতি দিতে পারি না। নামাজের জন্য আমাদের কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে, হলে হলে মসজিদ রয়েছে, ইমাম-খতিবও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইস্তেস্কার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গরমের তীব্রতায় বৃষ্টির আশায় এ ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে।

;