ডাকসুর ছয় মাস

সফলতা গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিতকরণ: এজিএস



ইমরান হোসাইন, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসাইন, ছবি: সংগৃহীত

ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসাইন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেছেন, 'ছয় মাসে ডাকসুর সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করতে পারা'।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ছয়মাসে নির্বাচিত ডাকসু শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে এবং নির্বাচনের সময় দেওয়া ইশতেহার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে এসব নিয়ে কথা হয় এজিএস সাদ্দামের সঙ্গে।

ছয় মাসে ডাকসুর সবচেয়ে বড় সফলতা কী জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'ছয় মাসে ডাকসুর সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে এটির মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখানে সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান আছে। সবাই যে যার মতো করে কর্মসূচি পালন করতে পারছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, গত তিন দশকের মধ্যে (নব্বই পরবর্তী সময়ের পরে) সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক সময় আমরা গত ছয় মাসে কাটিয়েছি।'

অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, 'হয়তো কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি মনে করি, গণতন্ত্রের জয় সবচেয়ে বেশি ডাকসু নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই প্রতিফলিত হয়েছে।'

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ডাকসু তাদের মৌলিক সমস্যাগুলোর কোনো দৃশ্যমান সমাধান করতে পারেনি- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'এসব কিছুর স্থায়ী সমাধান সময়সাপেক্ষ বিষয়। তবে অনেক কাজের অগ্রগতি হয়েছে। জো বাইকের (চক্কর) কাজ এগিয়েছে। পরীক্ষামূলক চালানোর প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষার্থীদের ফি দেওয়ার পক্রিয়াটি আগামী মাসেই ডিজিটাইলাইজেশনের আওতায় আসবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে অটোমেশনের আওতায় আনতে আরও চার-পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। কারণ এটা অনেক ধরনের প্রক্রিয়ার বিষয়। লাইব্রেরি সমস্যা নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রীকে আমরা বলেছি, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন আগামী বাজেটে লাইব্রেরির জন্য আলাদা বিল উত্থাপন করবেন। এছাড়া পরিবহন সমস্যা নিয়ে আমরা যোগাযোগ মন্ত্রীকে বলেছি। আশা করি, এর একটা সুফল শিক্ষার্থীরা পাবেন। তবে পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজেদের মান অক্ষুণ্ণ রেখে দরকষাকষি করে উন্নয়ন বরাদ্দ আরও বাড়ানোর জন্য আমরা আহ্বান জানায়। তাহলেই পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব।'

ক্যান্টিনের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, 'ক্যান্টিনের খাবারের মান তুলনামূলক আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। খাবারের মধ্যে বৈচিত্রতা আসছে। খাবারের মূল্য অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মূল্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে ক্যান্টিন মালিকদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। স্বল্পমূল্যে কীভাবে খাবার নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে।'

হলগুলোতে ছাত্রলীগের চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এগুলো অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে প্রচারণা চালানো হয়। তারপরও যদি এমন কোনো কিছু ঘটে থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত আছে।'

গেস্টরুম গণরুম নিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা ইশতেহার দিয়েছি, পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলা। সেক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সেখানে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি, নতুন ভবন নির্মাণ করতে।'

সাদ্দাম বলেন, 'গণরুম আসলে একটা বাস্তবতা। এই মুহূর্তে এটি পুরোপুরি তুলে দেওয়া সম্ভব না। গণরুম তুলে দিলে প্রায় পনের হাজার শিক্ষার্থীর থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। সেজন্য আমরা আপাতকালীন সমাধান হিসেবে কীভাবে গণরুমের পরিবেশ উন্নত করা যায়, যেমন ফ্যান, ইন্টারনেট সুবিধাগুলো বৃদ্ধি করতে পেরেছি। ব্লাংক বেড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিন্তাভাবনা করছে সেটা কতটুকু তাদের মাস্টার প্লানের সঙ্গে যায়। টিনশেড নির্মাণ করা যায় কিনা সেটা নিয়েও কথা চলছে।'

ডাকসু অনেকটা সমন্বয়হীন এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'ডাকসু একটা পার্লামেন্টের মতোই কাজ করছে। সমন্বয়হীনতার যে অভিযোগটি আনা হচ্ছে, এটা আমার মনে হয় শুধুমাত্র ডাকসুকে অকার্যকর, ব্যর্থ বলে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা। সমন্বয়হীনতা থেকে থাকলে ভিপির দিক থেকে সমন্বয়হীনতা আছে। তিনি শিক্ষার্থীদের সমস্যার দিকে মনোযোগ না দিয়ে সাংগঠনিক বিস্তৃতির দিকে মনোযোগ দেন। শিক্ষার্থীদের সমস্যার জন্য কাজ না করে গণফোরামের প্রোগ্রামে যান।'

গত ১১ মার্চ দীর্ঘ ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডাকসু নির্বাচন। ১১ সেপ্টেম্বর ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের মিনি পার্লামেন্ট নামে খ্যাত এই ডাকসু বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;