ভর্তিযুদ্ধ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আদ্যোপান্ত



রাশেদ রহমান,ইবি করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠে ভর্তির জন্য প্রতিবছর প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে। দেশীয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষার্থীদেরও ভর্তির সুযোগ রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অনলাইনে ভর্তি আবেদন করা যাবে আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত। আটটি অনুষদের অধীন মোট ৩৪টি বিভাগে ২৩০৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষা ৪ থেকে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তিচ্ছুদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিন-

ভর্তি আবেদনের যোগ্যতা
যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ২০১৮ বা ২০১৯ সনের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের এবং ২০১৪ সন বা তৎপরবর্তীতে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কেবলমাত্র তারাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি নির্দেশিকার শর্তসাপেক্ষে বিভিন্ন কোটায়ও আবেদন করা যাবে।

ইউনিট ভিত্তিক ভর্তি আবেদনের ক্ষেত্রে- ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ ইউনিটে আবেদনের জন্য বিজ্ঞান শাখা থেকে এইচএসসি/সমমান ও এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ নূন্যতম জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। মানবিক শাখা থেকে নূন্যতম জিপিএ ৬.৫০ এবং বাণিজ্য শাখা থেকে হলে নূন্যতম জিপিএ ৬.৭৫ থাকতে হবে।

এছাড়া ‘ডি’ ইউনিটে ভর্তি আবেদনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই ভর্তি আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাদের এইচএসসি/সমমান ও এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ নূন্যতম জিপিএ ৭.৭৫ থাকতে হবে।

আবেদনের নিয়ম
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের www.iu.ac.bd/admission অথবা http://iu.bigmsoft.com মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে ভর্তি আবেদন চলবে ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। অনলাইনে আবেদন শেষে ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (রকেট) মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘এ’ ইউনিটে ৫০০ টাকা, ‘বি’ ইউনিটে ১৬০০ টাকা, ‘সি’ ইউনিটে ৮০০ টাকা এবং ‘ডি’ ইউনিটের জন্য ১৩০০ টাকা জমা দিতে হবে। এছাড়া আনুষাঙ্গিক খরচ হবে ২৫ টাকা।

ভর্তি পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ থেকে ৮ নভেম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি অনুষদের অধীন মোট ৩৪টি বিভাগে ২৩০৫টি আসনের বিপরীতে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ন্যায় এবারও ৪টি ইউনিটে এমসিকিউ’র পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচী পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ভর্তি পরীক্ষার নম্বর নির্ধারণ
ভর্তি পরীক্ষার মান হবে মোট ১২০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষার মান হবে ৮০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সাথে পরীক্ষার্থীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জিপিএ (সর্বোচ্চ ৫+৫=১০ নম্বর) কে ৪ দিয়ে গুন করে প্রাপ্ত নম্বর সর্বাধিক (২০+২০=৪০) নম্বর যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এবং ওএমআর পদ্ধতিতে উত্তর মূল্যায়ন করা হবে। ভূল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। একজন পরীক্ষার্থী ৮০ নম্বরের মধ্যে ৩২ পেলে কৃতকার্য বলে বিবেচিত হবে।

ইউনিট ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন
‘এ’ ইউনিটের অধীনে ধর্মতত্ব অনুষদের ৩টি বিভাগ, ‘বি’ ইউনিটের অধীনে কলা ও সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ১১টি এবং আইন ও শরীয়াহ অনুষদের ৩টি বিভাগসহ মোট ১৪টি বিভাগ। ‘সি’ ইউনিটের অধীনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৬টি বিভাগ এবং ‘ডি’ ইউনিটে অধীনে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং জীব বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত ১১টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

‘এ’ ইউনিট: ধর্মতত্ত্ব অনুষদ ভূক্ত ৩টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় আরবীতে ১০, আল কুরআনে ১৫, আল হাদীসে ১৫, দাওয়ায় ১০, ইসলামী শিক্ষায় ৫, আল-ফিক্হে ৫, ইসলামের ইতিহাসে ৫, বাংলায় ৫, ইংরেজিতে ৫ এবং সাধারন জ্ঞানে ৫ নম্বর থাকবে।

‘বি’ ইউনিট: কলা ও সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ১১টি বিভাগে ভর্তির জন্য বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০, এবং সাধারণ জ্ঞানে ২০ নম্বর থাকবে। এর মধ্যে বাংলা বিভাগে ভর্তির জন্য বাংলা বিষয়ে নূন্যতম ১৮ নম্বর পেতে হবে।

ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজি বিষয়ে নূন্যতম ১৮ নম্বর পেতে হবে এবং মাধ্যমিক/ সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক/ সমমান পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজি বিষয়ে নূন্যতম ১৩ নম্বর পেতে হবে। এছাড়া আরবী বিভাগে ভর্তির জন্য আরবী ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।

অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ডেভোলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজিতে ৩০, সাধারন জ্ঞানে ৩০ এবং বাংলায় ২০ নম্বর থাকবে। এর মধ্যে অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ডেভোলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজিতে নূন্যতম ১২ নম্বর পেতে হবে। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজিতে নূন্যতম ১৫ নম্বর পেতে হবে।

এছাড়া আইন ও শরীয়াহ অনুষদের ৩টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং সাধারন জ্ঞান ২০ নম্বর থাকবে। আইন ও ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তির জন্য ইংরেজিতে নূন্যতম ১৫ নম্বর পেতে হবে। আল ফিক্হ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির জন্য অবশ্যই আরবী ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।

‘সি’ ইউনিট: ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভূক্ত ৬ টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি ৪০ বাধ্যতামূলক সকল শাখার জন্য। বাণিজ্য শাখা থেকে আগতদের জন্য ব্যবসায় শিক্ষায় ২০ এবং হিসাব বিজ্ঞানে ২০ নম্বর থাকবে। অন্যান্য শাখা থেকে আগতদের জন্য সাধারণ গণিতে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তায় ২০ নম্বর থাকবে। কৃতকার্য হওয়ার জন্য প্রত্যেক শাখার জন্য ইংরেজি বিষয়ে নূন্যতম ১৬ নম্বর পেতে হবে।

‘ডি’ ইউনিট: বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং জীব বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত ৫টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় রসায়নে ৩০, জীব বিজ্ঞান/গনিতে ৩০, পদার্থ বিজ্ঞানে ১০ এবং ইংরেজিতে ১০ নম্বর থাকবে। ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে ভর্তির জন্য এইচএসসি পর্যায়ে গনিতে জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে এবং রয়াসনে নূন্যতম ১২ নম্বর পেতে হবে।

ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পর্যায়ে অবশ্যই জীব বিজ্ঞান পঠিত বিষয় হিসেবে থাকতে হবে এবং এমসিকিউ এর জীব বিজ্ঞানে নূন্যতম ১০ পেতে হবে। ফার্মেসি বিভাগে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় রসায়ন, জীব ও গণিতে জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে এবং এমসিকিউ এর রয়াসন, জীব বিজ্ঞান/গণিতের প্রতিটিতে নূন্যতম ১২ নম্বর পেতে হবে।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান ৪০ এবং গণিতে ৪০ নম্বর থাকবে এবং কৃতকার্য হওয়ার জন্য প্রত্যেক বিষয়ে নূন্যতম ১৪ নম্বর পেতে হবে।

বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কৃতকার্য হওয়ার জন্য প্রত্যেক বিষয়ে নূন্যতম ১৪ নম্বর পেতে হবে এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় রসায়ন, জীব বিজ্ঞান ও গণিতে জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে। এছাড়া বাকি ২টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় গনিতে ৬০ এবং ইংরেজিতে ২০ নম্বর থাকবে। কৃতকার্য হওয়ার জন্য গনিত বিষয়ে নূন্যতম ২৪ নম্বর এবং ইংরেজিতে ৫ নম্বর পেতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যাদি:
ভর্তি পরীক্ষার স্থান, আসন বিন্যাস ও ভর্তি সক্রান্ত তথ্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.iu.ac.bd অথবা সংশ্লিষ্ট ইউনিটের অফিস থেকে জানা যাবে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভর্তি পরীক্ষার সময় এক ঘন্টা। ভর্তি পরীক্ষা শেষের কমপক্ষে তিন দিনের মধ্যে সকল ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের পর ১৬ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর ভর্তি কার্যক্রম চলবে। এরপর ভর্তি শেষে ১১ জানুয়ারী থেকে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু হবে।

বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির নীতিমাল (Foreign Students Admission Ordinance) অনুযায়ী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি অনুষদের অধীন ৩৪টি বিভাগেই বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হতে পারবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অথবা ইন্টারন্যাশনাল ফরেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স সেলের মাধ্যমে জানা যাবে।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;