ভর্তিযুদ্ধ

শাবিপ্রবি’র ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি



আরাফ আহমদ, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায়। আবেদন করা যাবে ৬ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত।

পরীক্ষার তারিখ ও সময়
ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় ‘এ’ ইউনিট এবং বিকেল আড়াইটায় ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা নেয়া হবে।

ইউনিট ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার ফি
‘এ’ ও ‘বি’ দুই ইউনিটে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বি ইউনিটকে বি১ ও বি২ সাব-ইউনিটে ভাগ করা হয়েছে। বি১ সাব ইউনিটে বিজ্ঞানের সকল বিভাগ এবং বি২ সাব ইউনিটে আর্কিটেকচারসহ বিজ্ঞানের সকল বিভাগের বিষয় থাকবে। ‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা এবং ‘বি’ ইউনিটে শুধু মাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। এ ও বি১ ইউনিটে আবেদন ফরম মূল্য ৮৫০ টাকা এবং বি২ সাব-ইউনিটের আবেদন ফরম মূল্য ৯৫০ টাকা। এই বছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইউনিট পরিবর্তন করা যাবে। ইউনিট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা অতিরিক্ত প্রদান করতে হবে।

আবেদনের যোগ্যতা
২০১৮ বা ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এইচ.এস.সি (সাধারণ ও কারিগরি)/ আলিম/ ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স/ সমমান এবং ২০১৬ বা ২০১৭ সালে অননুষ্ঠিত এসএসসি (সাধারণ ও কারিগরি)/ দাখিল বা সমমান পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করার জন্য এইচএসসি/ সমমান ও এসএসসি/ সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ সহ মোট ৬.৫ থাকতে হবে। ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করার জন্য এইচএসসি/ সমমান ও এসএসসি/ সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ সহ মোট ৭.০ থাকতে হবে এবং এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় গণিতে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ (এ লেভেলের ক্ষেত্রে বি গ্রেড) থাকতে হবে। জিসিই এর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (ও লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ৩টি বিষয়ে বি গ্রেডসহ ৫টি বিষয়ে পাশ এবং আইএএল (এ লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ২টি বিষয়ে বি গ্রেডসহ ৩টি বিষয়ে পাশ থাকতে হবে।

ইউনিট ও বিষয় ভিত্তিক আসন
‘এ’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ৬১৩টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে ২২০, মানবিক থেকে ৩১০ ও বাণিজ্য শাখা থেকে ৮৩ জনকে ভর্তি করানো হবে। ‘এ’ ইউনিটের অন্তর্ভূক্ত অর্থনীতি (৬৬), সমাজকর্ম (৬৬), সমাজবিজ্ঞান (৬৬), ব্যবসায় প্রশাসন (৭৫), পলিটিক্যাল স্টাডিজ (৬৬), ইংরেজি (৭১), লোক প্রশাসন (৬৬), বাংলা (৭১) এবং নৃবিজ্ঞান (৬৬) এই ৯টি বিভাগে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হবে।

এদিকে ‘বি’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ৯৯০টি। এর মধ্যে ‘বি১’ এ ৯৬০টি এবং’ বি২’ তে ৩০টি আসন রয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভূক্ত পদার্থবিজ্ঞান (৬৫), রসায়ন (৬৫), গণিত (৮০), পরিসংখ্যান (৮০), কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (১০০), কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স (৫০), ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (৫০), সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (৫০), ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (৫০), ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি (৪০), পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (৩৫), ভূগোল ও পরিবেশ (৫০), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (৩৫), সমুদ্রবিজ্ঞান (৩০), সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং (৫০), জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (৩৫), বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (৪০), ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স (৫৫) এবং আর্কিটেকচার (৩০) এই বিভাগগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।

সংরক্ষিত ও কোটায় আসন
উল্লিখিত আসন ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ২৮ জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/জাতিসত্তা/ হরিজন-দলিত ২৮ জন, প্রতিবন্ধী ১৪ জন, চা শ্রমিক ৪ জন, পোষ্য কোটায় ২০ জন এবং বিকেএসপি কোটায় ৬ জনসহ সর্বমোট ১০০ টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।

আর্ন্তজাতিক অলিম্পিয়াডে পুরস্কারপ্রাপ্তদের ভর্তির সুযোগ
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড, আন্তর্জাতিক পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এবং অন্যান্য স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে স্বর্ণ, রৌপ্য অথবা ব্রোঞ্জ মেডেল প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। তবে ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়’ সম্পর্কে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

আবেদনের নিয়ম
আবেদন করার জন্য admission.sust.edu সাইটে গিয়ে এইচএসসি’র পাশের সন, বোর্ড, রোল নম্বর এবং মোবাইল নম্বর (নিজের বা অভিভাবকের) দিয়ে সাইন আপ করলে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠানো হবে। অতঃপর প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে উল্লিখিত সাইটে সাইন ইন করে এসএসসি’র রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড, রোল নম্বর, পাশের সন, ৩০০/৪০০ পিক্সেলের অনুর্ধ ১০০ কেবি সাইজের স্ক্যান করা ছবি এবং ইউনিট ও কোটা সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন সম্পন্ন হলে প্রার্থীকে একটি বিল নাম্বার এবং প্রদেয় টাকার পরিমাণ জানিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে বিকাশ ও রকেট নাম্বারে টাকা প্রদান করা যাবে।

বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ম
আবেদনে ইচ্ছুক বিদেশী নাগরিক কিংবা বিদেশে অধ্যয়ন করা দেশী নাগরিকদের ৫ অক্টোবরের মধ্যে admission.sust.edu ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রের কপি মূল্যায়নের জন্য আপলোড করতে হবে। মূল্যায়নের পর তাদের সার্টিফিকেট ভর্তির যোগ্যতার মানদন্ডে সঠিক আছে কি-না তা জানানো হবে। যোগ্যতা অর্জনকারী বিদেশে অধ্যয়ন করা দেশী ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিদেশী নাগরিকদের ভর্তির আবেদনের জন্য SAT Score ন্যূনতম ৮০০ থাকতে হবে। আবেদনকৃতদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি
ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২০ নম্বর কাটা যাবে। কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে উত্তর করতে হবে। পরীক্ষার হলে নির্দিষ্ট মডেলের ক্যালকুলেটর ব্যতীত মোবাইল ফোনসহ যাবতীয় ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সাথে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ক্যালকুলেটরের মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এছাড়া পরীক্ষার হলে দুই কপি রঙ্গিন প্রবেশপত্র নিয়ে আসতে হবে।

মাদকাসক্তদের ভর্তি নেবে না
ভর্তির সময় কোন ছাত্র-ছাত্রী মাদকাসক্ত প্রমাণিত হলে তাকে ভর্তির সুযোগ প্রদান করা হবেনা। এছাড়া ভর্তিকৃত সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার আবেদনের বিস্তারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.sust.edu ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে ০১৫৫৫৫৫৫০০২-৪ হটলাইনে (সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত) অথবা www.sust.edu ওয়েবসাইটের এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে।

   

আসন বণ্টন নিয়ে সিনিয়রের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ালেন কুবি শিক্ষক



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় সংরক্ষিত কক্ষে 'অনুমতি না নিয়ে' আসন বণ্টনের জের ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) একটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সাথে এক জুনিয়র শিক্ষক ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ' আচরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া জুনিয়র শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিনিয়র শিক্ষককে 'মারতে তেড়ে' যাওয়া ও নিজেকে 'উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ লোক' হিসেবে পরিচয় দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঐ ভুক্তভোগী শিক্ষক।

ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা শিক্ষক হলেন মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ এবং ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আসন বণ্টন কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে আছেন। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিডিয়া ল্যাবকে আসন বণ্টনের আওতায় রাখেন। অনুমতি না নিয়ে কেন এই কক্ষকে আসন বণ্টনের আওতায় আনা হলো এ বিষয়ে কাজী আনিছ কথা বলতে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে ঈদের বন্ধের পর গত ২১ এপ্রিল তাদের দেখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে। সেখানে কথা কথায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসির হুসেইন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসান।

পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তাদের ঘটনা সমাধানের লক্ষ্যে কয়েকজন শিক্ষক আলোচনায় বসেন। সেখানেও আবু ওবায়দা রাহিদ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন বলে জানিয়েছেন উপস্থিত শিক্ষকরা। এই আলোচনায় কাজী এম. আনিছুল ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।

এ ব্যাপারে একাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'বিষয়টি খুবই ক্ষুদ্র। ব্যক্তিগত ইগোর জায়গা থেকে সরে আসলে ঘটনাটি সহজেই সমাধান হতে পারতো। একজন শিক্ষকের সাথে আরেকজন শিক্ষক এমন আচরণ কখনো করতে পারেন না। বিষয়টির কোন গভীরতা নেই। আসন বিন্যাস নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা এতদূর টেনে আনার কোন মানে নেই।'

অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসির হুসেইন বলেন, ‘এই ধরনের আচরণ কখনোই কাম্য নয়। শিক্ষকসুলভ আচরণ বলে মনে হয়নি।'

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে আবু ওবায়দা রাহিদ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। একারণে মন্তব্য নেই যে, মিজান স্যার ছিলেন, প্রক্টর স্যার ছিলেন, জাহিদ হাসান স্যার ছিলেন। আমাদের দুইজনের মধ্যে যদি কথোপকথন বা তর্কবির্তক হয়ে থাকে তাহলে বাকি তিনজন মানুষ নিরপেক্ষ। বাকি তিনজন যদি বলে থাকেন এধরনের কিছু হয়েছে তাহলে আমি ধরে নিব আনিছ ভাইয়ের কথাটি সঠিক।'


সিট বণ্টনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা যথেষ্ট প্রসিডিওর বুঝি। আনিছ ভাই যখন অনুমতির কথা বলেছেন তখন আমি বলেছি যে, আপনার অনুমতি চেয়ে আপনাকে মেইল করেছি। তখন তিনি বললেন, আমি মেইল দেখি নাই। আমি অফিসিয়াল প্রসিডিওরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগকে মেইল করেছি আমরা যাওয়ারও দশদিন আগে।'

সার্বিক বিষয়ে বলেন, 'আমি এখনো বলছি, এধরনের কিছুই হয়নি। আমি মনে করি একজন সহকর্মী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে উনার সহযোগিতা করা উচিত ছিলো। কিন্তু তিনি সেটি না করে উনার চেয়ারম্যানশিপ ফলানোর জন্য আমার সাথে এবং আল-আমিন স্যারের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন।'

এ ব্যাপারে কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, 'বিভাগের একটি সংরক্ষিত কক্ষে আমার অনুমতি না নিয়েই আসন বণ্টন করা হয় আর এই বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি (আবু ওবাইদা রাহিদ) আমার সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। পরবর্তীতে ঈদের বন্ধের পর আমাদের দেখা হয়। সে সময় আমরা ভালোভাবেই কথা বলি। কিন্তু এক সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে যান। এরপর আমার সহকর্মীরা সেদিনকার ঘটনা সমাধানের জন্য আমাদের নিয়ে এরপরের দিন আলোচনায় বসেন। সেখানে তিনি আমার দিকে মারতে তেড়ে আসেন এবং উনি উপাচার্যের কাছের শিক্ষক, উনি আমাকে দেখে নিবেন বলে হুমকি দেন।'

এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী কোন মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'সকল শিক্ষকই আমার কাছে সমান। আর বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। এই বিষয়ে অভিযোগ আসলে আমি ব্যবস্থা নিবো। ভুক্তভোগী শিক্ষককে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে।'

 

;

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এমনকি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকার কথাও বলা হয়েছে। তবে শিক্ষক সমিতির এই কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষার দিন শিথিল থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরে উপাচার্য বরাবর প্রেরিত এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৩ মার্চ উপাচার্য বরাবর প্রেরিত শিক্ষক সমিতির ৭টি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বারবার মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করলেও উপাচার্য দাবিসমূহ সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। উপরন্তু গত ২২ এপ্রিল তারিখে দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবৈধভাবে পদায়িত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ফৌজদারি মামলার আসামি সদস্য সহযোগে একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবিসমূহ সমাধানে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত এ উদ্যোগ অত্যন্ত হাস্যকর হিসেবে শিক্ষকরা মতামত দেন এবং উক্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মাননীয় উপাচার্য শিক্ষকদের অবজ্ঞা করে সমস্যা সমাধানে মোটেও আগ্রহী নন। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (২৪ এপ্রিলের মধ্যে) সমাধানের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে চরমপত্র (আল্টিমেটাম) প্রদান করা হলো। অন্যথায় আগামী ২৫ এপ্রিল হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, আপনার সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির দোসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশ সংরক্ষিত থাকবে। ঘোষিত কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দিন শিথিল থাকবে।’

এব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘গত ১২ মার্চ শিক্ষক সমিতি থেকে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি উপস্থাপন করা হয়। উপাচার্য দাবিগুলো পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের শিক্ষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বারবার উপাচার্যের কাছে যৌক্তিক দাবিগুলো মৌখিক ও লিখিত দুইভাবেই উপস্থাপন করা হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। গতকাল দাবি বাস্তবায়নের যে কমিটি দিয়েছে এটা বিতর্কিত কমিটি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি হলো আইন লঙ্ঘন করে যাদেরকে বিভাগীয় প্রধান এবং ডিন নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরকে প্রত্যাহার করা। প্রক্টরের উপস্থিতি শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়েছে প্রক্টর দায় এড়াতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তার মূলে রয়েছে কোষাধ্যক্ষ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেয় তাহলে আমরা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব।’

এ ব্যাপারে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি সব সময় শিক্ষকদের স্বার্থে কাজ করে থাকেন। শিক্ষক সমিতির দাবির সাথে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয় কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা আমি জানি না। শিক্ষক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত আমি মনে করছি রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি কেন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে বিষয়টা বুঝতে পারছি না। শিক্ষক সমিতির দাবির ব্যাপারে কথা বলার জন্য কাল একটি মিটিং হবে কমিটির সাথে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমাদের নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগকে কেউ অবাঞ্ছিত করতে পারে কিনা সেটা তাদের বিষয়। কেউ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কথা বলতেই পারে। তবে সেটা কতটা আইনসিদ্ধ সেটা একটা প্রশ্ন।’

;

চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টর নিয়োগ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টরের নিয়োগ

চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টরের নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার একদিন পরেই এবার একযোগে পাঁচজন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে.এম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত সহকারী প্রক্টরবৃন্দরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক লিটন মিত্র, ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এনামুল হক, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রন্টু দাশ, ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত রহমান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সবাইকে যথারীতি প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ যোগদানের তারিখ হতে এক (১) বছরের জন্য সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো।

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করব। হলগুলোতে দীর্ঘদিন যাবৎ সিট বরাদ্দ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সিট বরাদ্দের বিষয়টা নিয়ে কাজ করব এবং যাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা আন্তর্জাতিক মানের র‍্যাংকে নিয়ে আসা যায় সেদিকেও নজর দিব।

;

ইবি ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে ২ হাজারের অধিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথম দিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের ডায়না সত্বরে ১০০ গাছ রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তন্মধ্যে দশ দিনে পাঁচ লাখ এবং বছরব্যাপী এক কোটি বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ৭ দিনে ৫০০ গাছ এবং ৬ মাসে ২ হাজার বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবুজায়ন হোক এবং সারা দেশ সবুজে ভরে ওঠুক।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবি শাখা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীর সহযোগিতায় ২ হাজার গাছ রোপণ করতে পারবে বলে আশাবাদী। সেই সাথে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ৫ হাজার গাছ লাগানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।

;