শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের মাঝেই শাবিপ্রবির হল বন্ধ



আরাফ আহমদ, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট
শাবিপ্রবি

শাবিপ্রবি

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল বন্ধ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলের মধ্যে সকল হল খালি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঈদের ছুটিতে সনাতন ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের থাকার কোনো ব্যবস্থা না করায় অসন্তোষ এবং ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। হল বন্ধ থাকায় মেয়েদেরকে সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বিকল্প কোনো থাকার ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়- ‘গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদ-উল--ফিতরের ছুটি উপলক্ষে ২৪ মে শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদেরকে হল ছেড়ে দিতে হবে এবং ১৩ জুন সকাল ৯টার পর তারা হলে প্রবেশ করতে পারবে।’

এছাড়া রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একই ছুটি উপলক্ষে ১৫ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

হল বন্ধের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। ছুটির দিনে হল খোলা রাখার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিল শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোনো আশ্বাস পাননি বলে জানান আবাসিক শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুজ্জামান।

এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবিকে উপেক্ষা করে হল বন্ধের বিষয়ে অটল রয়েছে শাবিপ্রবি প্রশাসন। শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট এবং পানি লাইন বন্ধ করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়া করতে শুক্রবার সন্ধ্যার পরপরই হলের দু’তলা থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে হল কর্তৃপক্ষের দাবি পানি ও বিদ্যুৎ সংস্কারের কারণে এসব লাইন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এসএম হাসান জাকিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ‘২৪ মে’র পর থেকে হলে হলে পানির পাম্প স্থাপন, লাইন পরিষ্কার ও ইলেক্ট্রিক এর সংস্কার কাজ করা হবে এবং কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসবের সংযোগ বন্ধ থাকবে।’

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শাবিপ্রবি’র হল বন্ধের কোনো নিয়ম না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিতর্কিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূইয়ার মেয়াদের শেষ সময়ে আবাসিক হল বন্ধের রীতি চালু হয়। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বন্ধ করার জন্য এবং সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে বেশ কয়েকবার হল বন্ধ করা হয়।

২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তৎকালীন উপাচার্য হল বন্ধ করলে শিক্ষার্থীরা দিনভর আন্দোলন করে এবং হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল খুলে দিতে বাধ্য হয়েছিল। এর পরবর্তীতে প্রতি বছরই ছাত্রলীগের সংঘর্ষের অজুহাত দেখিয়ে হল বন্ধ করে আসছে শাবিপ্রবি প্রশাসন।

এদিকে বেশ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিবেশ অনেকটাই শান্ত। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধের রীতি না থাকলেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা না বলে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাবেক উপাচার্যের একটি বিতর্কিত অনিয়মকে নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মাসের শেষের দিকে হঠাৎ করে হল বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। আমাদের টিউশনি রয়েছে। টিউশনির টাকা দিয়ে অনেকে পড়ালেখা চালায়। তাছাড়া আমার মাস্টার্স পরীক্ষা চলতেছে এবং আমি চাকরির জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি। এভাবে লম্বা ছুটিতে হল বন্ধ করে দিলে আমাদের পড়ালেখায় সমস্যা হবে। আর আবাসিক শিক্ষার্থীদেরকে হঠাৎ করে বের করে দিলে তারা থাকার জায়গা কোথায় পাবে?’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেয়েদের হলের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমার টিউশনি রয়েছে এবং চাকরির জন্য পড়াশোনা করছি। ৩০ মে’র পর বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। এখন অনেকটা বাধ্য হয়েই আমাকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে।’

আরেক শিক্ষার্থী নিখিলেশ কর বলেন, ‘আমি হলে ভর্তি এবং হলের নিয়মিত একজন শিক্ষার্থী। এই ছুটিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং মুসলিম বাদে অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য কোনো ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বাধ্য করে অন্যান্য ধর্মের লোকদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। আমাদের তো ঈদ নেই আমরা কোথায় যাবো?

বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধের বিষয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুজ্জামান ও দ্বীন বন্ধু সরকার বলেন, ‘ছাত্ররা তাদের অধিকার বলে বার বার হলে থাকার দাবি জানালেও প্রশাসনের অনড় সিদ্ধান্ত খুবই অগণতান্ত্রিক এবং সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যেভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত।’

সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন হল বন্ধে অসন্তুষ্ট তখন রাজনৈতিক চাপের কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হল খোলা রাখার দাবি জানাতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জানান, হল খোলা রাখার জন্য আমরা হল প্রশাসনের সাথে কথা বলতে গেলে গ্রুপের নেতারা হল থেকে নেমে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। অনেকটা বাধ্য হয়েই আমরা হল বন্ধের প্রতিবাদ করতে পারি না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে রাজনৈতিক চাপের কথা অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, ‘ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মী সমান। যেকোনো বিষয়ে তারা সবাই হল প্রভোস্ট, প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলতে পারে।’

কোন পরিস্থিতির কারণে এই বছর হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তা জানতে বেশ কয়েকজন হল প্রভোস্টের সাথে যোগাযোগ করে এই প্রতিবেদক। পরিস্থিতির বিষয়টি খোলাসা করতে রাজি নন হল প্রভোস্টরা। যোগাযোগ করলে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ ইকবাল হল বন্ধের বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘আমার একার পক্ষে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তের সময় উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, হলের প্রভোস্টবৃন্দসহ প্রশাসনের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর আগেও আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে দায়িত্ব পালন করেছি তখন হল খোলা রাখা হত। ঐসময়েও সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল খোলা রাখা হয়েছিল।’

   

ইবি ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে ২ হাজারের অধিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথম দিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের ডায়না সত্বরে ১০০ গাছ রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তন্মধ্যে দশ দিনে পাঁচ লাখ এবং বছরব্যাপী এক কোটি বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ৭ দিনে ৫০০ গাছ এবং ৬ মাসে ২ হাজার বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবুজায়ন হোক এবং সারা দেশ সবুজে ভরে ওঠুক।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবি শাখা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীর সহযোগিতায় ২ হাজার গাছ রোপণ করতে পারবে বলে আশাবাদী। সেই সাথে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ৫ হাজার গাছ লাগানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।

;

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে সোমবার (২২ এপ্রিল) সাঁতার কাটার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহাদ হকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটে। এই অপমৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর হতে এ তথ্য জানানো হয়।

সোহাদ হকের অপমৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য-সচিব করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।

কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কী না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

;

জব ফেয়ারের আয়োজন করল শেকৃবির এএসভিএম অনুষদ



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য জব ফেয়ারের আয়োজন করল এএসভিএম অনুষদ। সদ্য ইন্টার্নশিপ শেষ করা অনুষদের লেভেল-৫, সেমিস্টার-II (জুলাই -ডিসেম্বর /২০২২)শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ এই উদ্যোগ গ্রহণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অনুষদ।

মূলত অনুষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিনের দ্বি বার্ষিক পরিকল্পনার অংশ এবং অনার্স শেষ করা শিক্ষার্থীদের বেকারত্ব থেকে মুক্ত রাখতে ও দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার তাগিদে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসকে সামনে রেখে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেখ কামাল ভবনস্থ এএসভিএম সেমিনার গ্যালারিতে এই জব ফেয়ারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় নূন্যতম চল্লিশ হাজার (৪০,০০০) বেতনে কমপক্ষে ৮-১০ জন কে নিয়োগের উদ্দেশ্য এই উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড কে বিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, অনুষদের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ হওয়ার মধ্যেই চাকরির ব্যবস্থা করবো এটা ছিল আমার ডিনশীপ গ্রহণের সময়ে নেওয়া দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনার অংশ। এছাড়াও আমার শিক্ষার্থীদেরকে অনার্সের সার্টিফিকেট পাওয়ার সঙ্গে চাকরির ব্যবস্থা করব এটা ছিল ওদের প্রতি ওয়াদা। যদিও সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার সুযোগ আমাদের হাতে নেই, তবে বেসরকারি সেক্টরে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আশা করছি বর্তমান ইন্টার্নি শেষ করা ব্যাচ অতি শীগ্রই রেজাল্ট পাবে এবং ওদের এটা বিশেষ একটা সুযোগ হতে যাচ্ছে। এমন পদক্ষেপে সদ্য অনার্স শেষ করা ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থীদের বেকার থাকতে হবে না একদিনও।তবে একটি জব ফেয়ারেই আমরা সীমাবদ্ধ থাকব এমন নয়, খুব দ্রুতই এর পরেও এরকম জব ফেয়ার হতে চলছে। বিভিন্ন বড় প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ও পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। আশা করছি আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব এই উদ্যোগে সফল হব এবং অনুষদকে ভিন্ন এক অবস্থানে অধিষ্ঠ করতে সমর্থ হবো। 

এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন এবং এমন পদক্ষেপের প্রশংসা ও সফলতা কামনা করেছেন।অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন VASA এর সহ-সভাপতি রাহাত ইসলাম বলেন, এমন একটা উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীদের আনন্দিত করেছে। এই উদ্যোগ আমাদের অনুষদের গুরুত্ব বৃদ্ধি করবে। শিক্ষার্থীরা আরো আগ্রহ নিয়ে পড়াশোনা করবে এবং নিশ্চয়তা পাবে । তবে জব ফেয়ারের এই কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা নিশ্চয়ই সহজ ছিল না।  এর আগে আমাদের অনুষদে এমন উদ্যোগ নিতে দেখি নি। আমাদের বর্তমান ডিন স্যারের পরিশ্রম, পরিকল্পনা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে তার কার্যক্রমই এরকম ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করছে। আশা করছি ভিন্নধর্মী শিক্ষার্থীবান্ধন এমন উদ্যোগ অব্যহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলক কুমার পাল বলেন, এটি একটি ভালো এবং শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ। এএসভিএম অনুষদ এবং তাদের ডিনের এমন উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। আমরা অন্য অনুষদের ডিনদেরকেও আহ্বান করছি এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নেওয়া সকল উদ্যোগই আমাদের জন্য আনন্দের এবং গর্বের।

উল্লেখ্য যে, চাকরি প্রার্থী লেবেল-৫,সেমিস্টার -II ( জুলাই-ডিসেম্বর/২০২২) ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এর মধ্যে ডিন কার্যলায়ে নাম অন্তর্ভুক্তি, পাসপোর্ট সাইজ দুই কপি ছবি, সত্যায়িত সকল সার্টিফিকেট ও ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়।

;

ইউনিসেফ মীনা অ্যাওয়ার্ড পেলেন জবিসাসের সাবেক সভাপতি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মানতা সম্প্রদায় ও নদী ভাঙ্গন কবলিত শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ১৮তম ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সাবেক সভাপতি রবিউল আলম। রবিউল প্রিন্ট ও অনলাইন সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম আলোর আহমেদুল হাসান আশিকের সঙ্গে যৌথভাবে বিজয়ী হন। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ইউনিসেফ এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. জাফর ইকবাল, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বিটিভির ডিজি জাহাঙ্গীর আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার ও বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

প্রিন্ট সাংবাদিকতায় এ বছরের ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জয়ীরা হলেন, ঢাকা পোস্টের রাকিবুল হাসান তামিম, মুসা মল্লিক, নজরুল ইসলাম ও জসীম উদ্দিন। প্রতিদিনের বাংলাদেশের সাধন সরকার, বাংলা ট্রিবিউনের উদিসা ইসলাম ও সিভয়েস ২৪ এর শারমীন রিমা। ফটো সাংবাদিকতায় প্রথম আলোর সাজিদ হোসেন।

বিজয়ী ও মনোনীত প্রতিবেদনগুলোতে উঠে এসেছে সেসব শিশুর কথা, যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করা হয়। সেসব মেয়ের কথা, যাদের বিশুদ্ধ পানির অভাবে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার জন্য সংগ্রাম করতে হয়। উঠে এসেছে সেসব ছেলের কথা, যাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল রাস্তা এবং যাদের জীবন জলবায়ু অভিঘাত ও নিপীড়নের কারণে ব্যাহত হয়েছে। রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে নানা সমস্যা।

ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনার নামে। মীনা চরিত্রটি ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ও এর বাইরে শিশুদের অধিকারের জন্য কথা বলে আসছে। সঙ্গে বড়দের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে এ পুরস্কার প্রদান।

এবারের ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডগুলোর বিচারকমণ্ডলী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষক আবির আবদুল্লাহ, ফটোগ্রাফার জান্নাতুল মাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুন, রয়টার্সের বাংলাদেশের চিফ করেসপন্ডেন্ট রুমা পাল, রয়টার্সের সাবেক মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট রফিকুর রহমান, এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম ও রয়টার্সের বাংলাদেশের সাবেক ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির।

রবিউল আলম বলেন, এই অর্জন আমার জন্য অবশ্যই গর্বের। তবে শিশুদের শিক্ষার অধিকার তার মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতে আমার লিখনি যদি কিছুটা হলেও তাদের অধিকার আদায়কে ত্বরান্বিত করে তাহলে নিজেকে কিছুটা হলে সার্থক মনে হবে।

;