শিক্ষায় উন্নতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব না

একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন



ইমরান হোসাইন, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না থাকার কারণ নিয়ে কথা বলেছেন ঢাবির অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন/ ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না থাকার কারণ নিয়ে কথা বলেছেন ঢাবির অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রীতি যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিষয়ক সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ কর্তৃক প্রকাশিত একটি জরিপে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর ৪১৭টি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একটি র‌্যাংকিং প্রকাশ করেছে। যাতে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই।

কেন নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়? এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুনের সাথে একান্ত আলাপ হয়। তার মতে, দেশের সত্যিকারের উন্নতি চাইলে সরকারের আগে উপলব্ধি করতে হবে, শিক্ষায় উন্নতি ব্যতীত দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। নেহি, নেহি, কাভি নেহি।’

জরিপে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষার্থী সংখ্যা, শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের অনুপাত, ছাত্রছাত্রীদের অনুপাত ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের অবস্থা। র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে আছে চীনের সিনহুয়া ইউনিভার্সিটি। দুইয়ে আছে গত বছরের প্রথমে থাকা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর। তিনে হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। চতুর্থ অবস্থানে ইউনিভার্সিটি অব হংকং।

সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার অনেক কারণ রয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ড কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলছে না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বায়নের ব্যাপার থাকে, যেখানে বিদেশি ছাত্র থাকবে, মাল্টিকালচারাল ব্যবস্থা থাকবে, বিদেশি শিক্ষক থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষকদের গবেষণা নেই বললেই চলে। আমাদের অধ্যাপকদের যোগ্যতা নিয়ে বিদেশে একজন ব্যক্তি সহকারী অধ্যাপকও হতে পারেন না। এ রকম পরিস্থিতিতে কিভাবে র্যাংকিংয়ে সেরা তালিকায় আসব? আমাদের ছাত্ররা যেভাবে আবাসিক হলে থাকে দেখতে মনে হয় বস্তির জীবন কাটাচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558451099060.jpg
অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন/ ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যে দেশ আগে অর্থনৈতিক উন্নতি করেছে, তারপরে শিক্ষাই উন্নতি করছে। উন্নতি হয় আগে শিক্ষায়, তারপর মানুষের মানসিক উন্নতি হয়। মানসিক উন্নতি হলে পরে তারা দেশটাকে উন্নত করে।’

পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলেন, ইউনেসকোর মতে একটি দেশ উন্নত করতে হলে তার পাঁচ ভাগ জিডিপি শিক্ষায় ব্যয় করতে হবে। আমরা করি এক দশমিক আট থেকে দুই দশমিক এক শতাংশের মতো। এটা এশিয়ায় কেন, সারাবিশ্বে সর্বনিম্ন।

গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় বরাদ্দ নেই। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে চৌদ্ধ কোটি টাকা দেওয়া হয় গবেষণার জন্য। আমাদের ৪৫টা বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে যে বাজেট তার তিন গুন বাজেট হয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য।

গবেষণার টাকা সবাইকে ভাতা হিসেবে দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই টাকা সবাইকে দেওয়া হয়, গবেষণা করুক বা না করুক। কেন সবাইকে দেওয়া হবে? এই টাকা তাদেরকেই দেওয়া উচিত যারা গবেষণা করে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের যে টাকা গবেষণায় দেওয়া হয়, সেটাও সঠিকভাবে ব্যয় করা হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে ১৪ থেকে ২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়, এটাকেও সঠিক ভাবে খরচ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিই। এই টাকা আমরা সবাইকে দেই। কারণ ভোট। আমরা ভোটের জন্য সবাইকে খুশি রাখতে চায়। তখন সবাই এটাকে বেতন হিসেবেই দেখে। গবেষণার কাজে লাগেনা।’

‘বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা জায়গা, যেখানে যোগ্যদের মর্যাদা দিয়ে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তবেই কেবল যোগ্য মানুষ তৈরির ক্ষেত্র তৈরি হবে।’

   

জাবিতে মাদকের বিস্তার রোধে র‍্যাব-পুলিশের সাথে কাজ করছে প্রশাসন



জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা-সংকট নিরসনে বিভিন্ন দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তুলেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিগত এক মাসেরও বেশী সময় ধরে চলমান আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে ভীষণভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় এবার নড়ে চড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, মাদক নির্মূল, ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিচারসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে হাত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক এই ইস্যুগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন উপাচার্য।

এসময় আবাসিক হলগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ও হল থেকে অছাত্রদের বের করার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ অবৈধ, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা চলে গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এবং প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে কিছু সংখ্যক মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এখনও হলে অবস্থান করছে। আমাদের বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময় শেষেও যারা হল তাগ করবে না, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাত্র বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী বা অনুসারী যেই হোক না কেন, অনিয়মিত বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তাকে আবাসিক হল ছেড়ে যেতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিবে না।’

হল থেকে অছাত্রদের বের করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, 'হলগুলোতে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য হলের শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সংখ্যা নিরূপণ এবং তাদের নামে বরাদ্দকৃত হলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের রিপিটার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বের করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া, অনিয়মিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হবে।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘মাদকের বিস্তার রোধে র‍্যাব ও পুলিশের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।’

ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ অভিযুক্তদের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়েছে।’

পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে বরখাস্তের বিষয়ে উপাচার্য জানান, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যথাযথ কমিটি কর্তৃক তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তিনি ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।’

দীর্ঘদিন ধরে চলমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ঘটনা প্রবাহে কয়েকটি দাবি উল্লেখপূর্বক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ যে আন্দোলন করছে সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওয়াকিবহাল। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সেসব বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে এবং তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও গতিশীলতার জন্য ২/১টি পদে পরিবর্তনের বিষয়টিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার মতো পদক্ষেপ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিরত থাকার পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরাসহ আরও অনেকে।

;

চবিতে 'পথের পাঁচালি'র ইফতার সামগ্রী বিতরণ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'পথের পাঁচালি'। চবি রেলস্টেশনের আশপাশের কলোনির ৬৫ পথশিশুর ৫০ পরিবারকে এ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টায় চবি রেলস্টেশনে এ বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

সংগঠনটির সভাপতি হাজিফুল ইসলাম শিহাব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আজকের এই উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তবে সদস্যদের চাঁদায় আমরা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১ মে চবির কিছু শিক্ষার্থীর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে ‘পথের পাঁচালি’। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ, স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী প্রদান করে আসছে। এছাড়াও প্রতি শুক্র ও শনিবার এসব শিশুদের নিয়ে রেলস্টেশন চত্বরে পাঠদান কার্যক্রমও পরিচালনা করে তারা।

;

অবন্তিকার মৃত্যু: সুষ্ঠু ও দ্রুততম সময়ে তদন্তের দাবি আইন বিভাগের



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর কারণ সুষ্ঠু ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত করে এর সাথে জড়িতদের উপযুক্ত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার নিজ বিভাগ।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিকালে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় এ দাবি জানানো হয়।

শোকবার্তায় বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আকস্মিক মৃত্যুতে আইন পরিবার আজ স্তব্ধ ও শোকবিহ্বল। অবন্তিকার মৃত্যু যেন একটি নক্ষত্রের পতন। অবন্তিকা তার মেধা, সততা এবং সময়ানুবর্তিতার জন্য বিভাগে একটি সুপরিচিত নাম। অবন্তিকার অকস্মাৎ চলে যাওয়া দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

শোকবার্তায় আরো বলা হয়, অবন্তিকার মৃত্যুতে আইন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করছে। অত্র বিভাগ অবন্তিকার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছে এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

এর আগে, সকাল ১১টায় অবন্তিকার অকাল মৃত্যু ও সুবিচারের দাবিতে শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করেছে আইন বিভাগ। অবন্তিকার স্মরণে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার দু-দিন সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিভাগটি।

;

দাবি না মানায় কুবি শিক্ষক সমিতির শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত দফা দাবি না মানায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি আবারও ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পূর্বঘোষিত সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো এ সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এক জরুরি সাধারণ সভা শেষে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্বের যে দাবিগুলো ছিল, সেগুলো উপাচার্য মানেননি। তাই আমরা পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) থেকে ২৭ মার্চ (বুধবার) পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করছি।'

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময়ে চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো হবে। তবে বাকি মিডটার্ম, প্রেজেন্টেশনও এই সিদ্ধান্তের অন্তর্ভুক্ত হবে।'

এদিকে দুপুরে শিক্ষক লাউঞ্জে জরুরি সাধারণ সভা ডাকে কুবি শিক্ষক সমিতি৷ সভার শেষে তারা তাদের পূর্বের সিদ্ধান্ত এবং দাবি দাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য দফতরে যান। এসময় উপাচার্যের কক্ষে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর শিক্ষক নেতাদের রাগান্বিত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এরপরেই দুপুর তিনটায় সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করে শিক্ষক সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংকট দেখছেন না বলছেন৷ উনি বলছেন এই সংকট শিক্ষক সমিতির, উনার নয়। আমাদের পূর্বের যে সিদ্ধান্ত এবং দাবিসমূহ নিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলাম, সেটি তিনি পড়েও দেখেননি৷ আমরা চাই, বাংলাদেশ সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকটে হস্তক্ষেপ করুক, এই প্রশাসন থেকে আমরা আর এই সংকটের সমাধান পাবো বলে আশ্বাস রাখতে পারছি না।'

শিক্ষকদের এই দাবি না মানা ও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি উনাদের বলেছি যে, এ বিষয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে৷ কিন্তু উনারা আসেন আমার রুমে, নিজেরা নিজেরা গোলযোগ করেন৷ কথা বলার কোনো পরিবেশ রাখেন না তারা। তাদের বলেছি আপনাদের আইনসিদ্ধ যেকোনো দাবি অবশ্যই কার্যকর করবো। শুধু শুধু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করবেন না।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) এক সাধারণ সভায় সাত দফা দাবি ও তিনটি সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়। ঐদিন প্রথম ধাপে দুই দিনের শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন করেছিল কুবি শিক্ষক সমিতি।

;