ঢাবির মুহসীন হল ক্যান্টিনে তালা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
মানহীন অনুন্নত খাবার পরিবেশনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ক্যান্টিনে তালা লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে হল প্রভোস্ট এক সপ্তাহের মধ্যে ক্যান্টিন মালিকানা পরিবর্তনের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ২টা নাগাদ এই বিক্ষোভ চলে।
শিক্ষার্থীরা জানান, মুহসীন হলে দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের তুলনায় মানহীন খাবার পরিবেশন করা হয়। শিক্ষার্থীরা এটা নিয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক নিজামুল হক ভুইয়ার কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও হল তিনি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) হলের খাবার খেয়ে এক ছাত্র অসুস্থ হয় বলে খবর পাওয়া যায়। এই খবরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে শুক্রবার ক্যান্টিনে তালা লাগিয়ে দেন।
পরে সেখানে হল প্রভোস্ট ও হল শাখা ছাত্রলীগের নেতারা এসে বিভিন্ন আশ্বাস দিতে থাকেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে প্রত্যাখ্যান করেন। শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিন মালিক পরিবর্তনের দাবি জানান।
হল প্রভোস্ট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন টেন্ডার দিয়ে মালিক পরিবর্তনের আশ্বাস দেন। এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সাতদিনের জন্য ক্যান্টিন খোলা রাখার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা সম্মত হন।
এ বিষয়ে মুহসীন হল সংসদের এজিএস সাদিল আব্বাস বলেন, ‘নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হল ক্যান্টিনে তালা লাগিয়ে দেয়। হল প্রভোস্টের মালিকানা পরিবর্তনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছে।'
এক সপ্তাহের মধ্যে মালিকানা পরিবর্তন না করা হলে ফের আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্যান্টিন মালিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার টেন্ডার হবে। এছাড়া বিদ্যমান ক্যান্টিন মালিক এক সপ্তাহ খাবারের মান উন্নত করার চেষ্টা করবে। হলের দোকানে খাবার বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।'
হল প্রভোস্ট নিজামুল হক ভূইয়া জানান, আমরা বিষয়টি অবহিত হয়েছি এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।