ডাকসুর রাব্বানী-সাদ্দামের ইন্ধনে দুই হলে হামলা
ঢাকা: চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কনসার্ট আয়োজনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও ঢাবি ছাত্রলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য এই কনসার্ট নিয়ে দ্বন্দ্বে বিভক্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর জের ধরেই গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উত্তেজনার জেরে ছেলেদের দুইটি হলে হামলা চালানো হয়। ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাদের ইন্ধনে এসব হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে কনসার্ট আয়োজন করা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ। ছাত্রলীগের শীর্ষ তিন নেতা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী, ঢাবি সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে কনসার্টটি আয়োজন করা হয়। উপেক্ষা করা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে।
পরে শোভনের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শুক্রবার মধ্যরাতে মল চত্বরে পহেলা বৈশাখের কনসার্ট আয়োজনের প্রস্তুতিতে বাঁধা দেন। তারা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানান। অবশ্য এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাব্বানী, সনজিৎ ও সাদ্দাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। এসময় তাদের কর্মী সমর্থকরাও মল চত্বরে গিয়ে স্লোগান দেন। কিছুক্ষণ পর শোভনের অনুসারীদের উপর বিভিন্ন হলে গিয়ে হামলা চালায় রাব্বানী, সনজিৎ ও সাদ্দামের সমর্থকরা।
সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে তার নিজ হল স্যার এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষারের রুম ভাংচুর করা হয়। জিএস গোলাম রব্বানীর হল জহুরুল হক হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজার কক্ষে হামলা, ভাংচুর ও তছনছ করেছে রাব্বানী, সনজিৎ ও সাদ্দামের সমর্থকরা।
রুম ভাংচুর ও তাণ্ডব চালানোর পর রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। শুক্রবার দিনগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে ৩টার দিকে এসব হামলা চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানান।
এসময় হল ছাত্রলীগের কর্মী সাগর রহমানসহ বেশ কয়েকজন কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। সাগরকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখে হামলাকারীরা। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এসব হামলার বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীকে ফোন করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। আর ডাকসুর এজিএস ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুসাইন হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো হামলার ঘটনার কথা আমাদের জানা নেই। গতকাল পহেলা বৈশাখের কনসার্টকে ঘিরে অপ্রীতিকর একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।