না জানিয়ে রাবি ছাড়লেন ৫ নেপালি শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নেপালের পাঁচজন শিক্ষার্থী। ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর আব্দুল কাইয়ূম ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরির কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে তারা নেপালে চলে যান বলে জানা গেছে। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) তাদের খোঁজখুজি করে না পেয়ে ডরমিটরির ওয়ার্ডেন অধ্যাপক আশাদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরে কোছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বার্তা২৪কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান।
চলে যাওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মাহাতো, সুজান পারাজুলি, মিলন কুমার মোকতার, বিনোদ লামিছানে ও কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী লিলা জুং রায়া মাঝি। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, কোনো অনুমতি ছাড়াই ডরমিটরি ত্যাগ করেছেন তারা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নেপালি ছাত্র আনন্দ কুমার সাহা নামের এক শিক্ষার্থী জানান, চলে যাওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করবেন না। তারা নেপালে চলে গেছে।
জানতে চাইলে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বার্তা ২৪কে বলেন, ‘চলে যাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকেই অনিয়মিত ছিল। বিভাগে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়ালেখার প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় চলে যেতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে লিখিত জানানো হয়েছে। বিষয়টি একাডেমিক শাখা দেখাশোনা করেন। এ বিষয়ে দায়িত্বরত উপ-রেজিস্ট্রারকে জানানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করে ব্যবস্থা নেবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেন বলেন, ‘তারা কেনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানায়নি। এছাড়া তারা ভর্তিও বাতিল করেনি। তারা যদি আবার ফিরে আসে তাহলে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে।’