জাবি'তে উগ্রবাদ প্রতিরোধ শীর্ষক সেমিনার
সহিংসতা ও চরমপন্থার বিপরীতে শান্তি, সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা এবং বৈচিত্র্যময় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি ও সচেতন করা এবং ধর্মীয় চরমপন্থা প্রতিরোধে তাদের সমগোত্রীয়দের মধ্যে, পরিবারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনুষ্ঠিত হলো 'অসাম্প্রদায়িক, শান্তি-সম্প্রতি রক্ষা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধ' শীর্ষক সেমিনার।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেমোক্রেসি ফান্ড (ইউএনডিএফ) এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাবির কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন জাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সামিয়া খাতুন এবং স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মেহজাবিন রহমান।
অধ্যাপক মানস চৌধুরী তার বক্তব্য বলেন, 'বিভিন্ন সংজ্ঞা ও বিভাজন নিয়ে প্রশ্নহীন ভাবে সমর্থন করার লোক আমি নই। ফলে যেসব ভাবনার মাধ্যমে বলা হচ্ছে যে 'উগ্রতা' বিকশিত হচ্ছে বরং তার বাইরে নানাবিধ উপায়ে উগ্রতাকে আড়াল করা হচ্ছে।'
এছাড়া প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেন তার বক্তব্য বলেন, 'উগ্রবাদ, অসাম্প্রদায়িক ও প্রতিরোধের প্রচলিত ধারণাগুলো সমস্যাজনক। এই ধারণা ও অনুশীলন এক অর্থে উগ্রবাদী এবং অসহিষ্ণু। ইতিহাস পড়া এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা অসহিষ্ণুতার বিস্তৃতি অনেক গভীরে দেখতে পাই। ধারণাকে প্রশ্ন না করলে শান্তির আহ্বান জানানো সম্ভব না।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নোমান রহমান এবং রসায়ন বিভাগের সাইমা সাদিকা নিপার সঞ্চালনায় সমগ্র অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন ইতিহাস বিভাগের মোজাম্মেল হক তন্ময়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।