বিভাগ একীভূতকরণের দ্বন্দ্বে সেশনজটের শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা



সাইফ সাইফুল্লাহ, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভাগ একীভূতকরণকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সঙ্গে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (এপিইই) বিভাগের সৃষ্ট দ্বন্দ্বের ফলে ভয়াবহ সেশন জটের শঙ্কায় পড়েছেন বিভাগ দুটির প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী।

প্রায় এক মাস ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন পালন ও দুই বিভাগে পক্ষে-বিপক্ষে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সিন্ধান্তে অনড় থাকার ফলে এখনও পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহা করতে পারে নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ছয়মাসের সেশন জটের শঙ্কায় রয়েছেন দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, দাবি আদায়ের জন্য প্রথম বিজ্ঞান ভবনের সামনে আজ সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে এপিইই’র শতাধিক শিক্ষার্থী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এপিইই বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অধিকাংশ চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে এপিইই বিভাগের কোন কোড থাকে না এমন কারণ দেখিয়ে বিভাগটিকে ট্রিপল-ই বিভাগের সঙ্গে একীভূত করার দাবি তোলেন এপিইই’র শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৫ নভেম্বর বিভাগের একাডেমিক কমিটি প্রকৌশল অনুষদের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু ট্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষকদের বিরোধিতার কারণে ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত অনুষদের সভায় প্রস্তাবটি বাতিল করা হয় বলে সভায় উপস্থিত এক সদস্য জানান। পরে এপিইই’র শিক্ষার্থীরা অনুষদের সিদ্ধান্তকে বর্জন করে। আগামী বুধবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কমিটির সভায় আবারও বিষয়টি উত্থাপিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কর্মসূচির অংশ হিসেবে এপিইই’র শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপিও দেয় তারা। এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ১৬ নভেম্বর বিভাগ দুটিকে এক না করার দাবি তোলেন ট্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরদিন থেকে তারাও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এপিইই বিভাগে প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ এবং ট্রিপল-ই বিভাগের তিনটি বর্ষে প্রায় একশ জনের মতো শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। দুটি বিভাগেরই সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কোর্স সম্পন্ন না হওয়ায় সময়মত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এতে করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদেরই কমপক্ষে ছয় মাস সেশন জটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এপিইই’র শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগ এক করার আন্দোলন এই প্রথম নয়। দুই বিভাগেরই সিলেবাসের মিল থাকায় ২০১৫ সালে ট্রিপল-ই বিভাগ চালুর সময় শিক্ষার্থীরা এপিইই বিভাগকে ট্রিপল-ই করার দাবি জানায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দাবিটি মেনে নেয়নি।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বর্তমানে অধিকাংশ চাকরিতে এপিইই’র কোন সাবজেক্ট কোড থাকে না। তাই আবেদন করাও সম্ভব হয় না। আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট পেলেও চাকুরির ক্ষেত্রে ট্রিপল-ই কেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাই ভবিষ্যতের এ কথা চিন্তা করেই সেশন জটকে মুখ্য হিসেবে দেখছেন তারা।

ট্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, দুটি বিভাগের সিলেবাসে সামান্য মিল রয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত দুটি বিভাগকে এক করার কোন নজির নেই। বিভাগ এক হলে ট্রিপল-ই’র শিক্ষার্থীরা তাদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে এবং বিভাগের স্বকীয়তা হারাবে।

এপিইই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম নাহিদ বার্তা২৪-কে বলেন, ‘এভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করায় জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। ক্লাসে ফিরলে আবার কবে নাগাদ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে সে বিষয়েও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আমরা অনুষদের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু অনুষদ তা বাতিল করে দিয়েছে।’

ট্র্রিপল-ই বিভাগের সভাপতি আবু জাফর মু. তৌহিদুল ইসলাম বার্তা২৪-কে বলেন, ‘অনুষদের সিদ্ধান্তের পরও শিক্ষার্থীরা কেন আন্দোলন করছে তা আমার বোধগম্য নয়। এ ছাড়া আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদেরও পড়ালেখায় যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি সেশনজটে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে প্রকৌশল অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক একরামুল হামিদ বার্তা২৪-কে বলেন, ‘বিভাগ দুটি এক করতে হলে দুই বিভাগেরই সম্মতি দরকার। সেটা না থাকায়, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগটি নিজ নামেই থাকছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বার্তা২৪-কে বলেন, ‘যেহেতু একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে সেহেতু এর সমাধান অবশ্যই করতে হবে। সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

 

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;