মুমিন সরল ও ভদ্র হয়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুমিন সরল ও ভদ্র হয়, ছবি: সংগৃহীত

মুমিন সরল ও ভদ্র হয়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানুষের ভালো-মন্দ পরিচয় নির্ভর করে সুন্দর আচরণের ওপর। ইসলামে সুন্দর আচরণের বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইসলাম মনে করে, মানুষের জীবনে সুন্দর আচরণ, সৌজন্যবোধ শিক্ষা ও অনুসরণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

কোরআন ও হাদিসে সুন্দর আচরণ সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা রয়েছে। এক হাদিসে তো বলা হয়েছে, মুমিন ব্যক্তি সরল ও ভদ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে।

কোরআনে কারিমের দৃষ্টিতে সুন্দর আচরণ
কোরআনে কারিমে সুন্দর আচরণের ব্যাপারে অনেক আয়াত রয়েছে। এখানে সুন্দর আচরণ সম্পের্কে কিছু আয়াত উল্লেখ করা হলো-

এক. আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন, পক্ষান্তরে আপনি যদি রূঢ় ও কঠিন হৃদয় হতেন, তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করুন।’ -সূরা আলে ইমরান: ১৫৯

দুই. আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মুমিনদের জন্য আপনি আপনার ডানা অবনমিত করুন অর্থাৎ কোমল আচরণ করুন।’ -সূরা হিজর: ৮৮

তিন. কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ যখন তোমাকে সৌজন্যমূলক সম্ভাষণ জানাবে প্রতিউত্তরে তুমি তাকে তার চাইতে সুন্দর ধরনের সম্ভাষণ জানাও, কিংবা অন্তত ততটুকুই জানাও।’ –সূরা আন নিসা: ৮৬

চার. আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে না, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, এতিম ও দরিদ্রদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার তথা সুন্দর আচরণ করবে এবং মানুষকে সুন্দর কথা বলবে।’ -সূরা আল বাকারা: ৮৩

পাঁচ. মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহ্বান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সঙ্গে বিতর্ক করুন উত্তম পন্থায়।’ -সূরা নাহল: ১২৫

ছয়. কোরআনে কারিমে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয়, এতিম, দরিদ্র, প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথিক এবং যারা তোমাদের অধিকারে এসেছে, সবার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করো।’ -সূরা আন নিসা: ৩৬

সাত. কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয়ই তুমি তো ভূপৃষ্ঠকে কখনোই বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনোই পর্বত সমান হতে পারবে না। এসবের মধ্যে যেগুলো মন্দ কাজ সেগুলো তোমার পালনকর্তার কাছে অপছন্দনীয়।’ -সূরা বনি ইসরাইল: ৩৭-৩৮

আট. স্বয়ং হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন উত্তম নৈতিক চরিত্রের সর্বোত্তম মডেল। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি উত্তম নৈতিক চরিত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত।’ -সূরা আল কালাম: ৪

নয়. মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সঙ্গে যখন মূর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে- সালাম।’ -সূরা আল ফুরকান: ৬৩

হাদিসের দৃষ্টিতে সুন্দর আচরণ
পবিত্র কোরআনের পাশাপাশি হাদিসেও সবার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে এবং দয়া, সহানুভূতি ও কোমলভাবে কথা বলতে বলা হয়েছে।

এক. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘উত্তম কথা বা ভালো কথাও একটি সদকা।’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

দুই. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, প্রিয়নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মুমিন ব্যক্তি কখনও অভিশাপকারী, তিরস্কারকারী হতে পারে না। অশ্লীল বাক্যব্যয়ী ও অহেতুক বাক্যব্যয়ীও হয় না।’ –সুনানে তিরমিজি

তিন. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সদকা বা দান-খয়রাত মানুষকে শোচনীয় মৃত্যু হতে রক্ষা করে আর সুন্দর আচরণ আয়ুবর্ধক হয়। সুন্দর আচরণকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন।’

চার. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ কোমল ব্যবহার করেন, তাই সব ব্যাপারে তিনি কোমল আচরণ পছন্দ করেন।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

পাঁচ. ‘যে ব্যক্তি সুন্দর আচরণ থেকে বঞ্চিত সে কল্যাণ থেকেও সম্পূর্ণ রূপে বঞ্চিত।’ –সহিহ মুসলিম

ছয়. রাসূল (সা.) বলেন, ‘মুমিন হয় উত্তম চরিত্রের অধিকারী।’ অর্থাৎ সে বদমেজাজি, বিদ্বেষভাবাপন্ন ও মানুষের সঙ্গে রুক্ষ আচরণকারী হয় না। এটা মুমিনের শান নয়। মুসলমান তো অন্যের সঙ্গে নম্র আচরণ করবে, রুক্ষ আচরণ করবে না।

সাত. রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সুন্দর আচরণই নেক আমল।’ -সহিহ মুসলিম

আট. রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যার আচার-ব্যবহার সুন্দর, আমি তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ির নিশ্চয়তা প্রদান করছি।’ –সুনানে আবু দাউদ

নয়. নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমার ভাইয়ের সঙ্গে মুচকি হাসির বিনিময় করাও সদকার সওয়াব হয়ে যায়।’ –সুনানে তিরমিজি

দশ. রাসূলে কারিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সর্বোত্তম ঈমানদার হচ্ছে ওই লোক, যার চরিত্র সর্বোত্তম। আর তোমাদের মধ্যে সে লোকগুলো সর্বোত্তম যারা তাদের স্ত্রী-পরিবারের প্রতি উত্তম আচরণে অভ্যস্ত।’ –সুনানে তিরমিজি

এগারো. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নেক আমল তো হচ্ছে- উত্তম চরিত্র।’ –সহিহ মুসলিম

বারো. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম নৈতিক চরিত্র ও আচার-ব্যবহারের ন্যায় নেকির পাল্লা ভারী করতে আর দ্বিতীয় কোনো আমল নেই। আর আল্লাহ অশ্রাব্য গালমন্দ ও কটূকথা বলে এমন ব্যক্তিকে খুবই ঘৃণা করেন।’ –সুনানে তিরমিজি

তেরো. হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ হলেন নম্র ও দয়ার্দ্র, তিনি প্রতিটি কাজে নম্রতা ও দয়ার্দ্রতা প্রদর্শন পছন্দ করেন।’ -সুনানে ইবনে মাজা

চৌদ্দ. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি সরল ও ভদ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে, কিন্তু পাপিষ্ঠ ব্যক্তি ধোঁকাবাজ ও নির্লজ্জ হয়।’ -সুনানে আবু দাউদ

   

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল
মডেল। বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক স্বাধীনতা।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার
কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা.
বশিরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ ফজলুর রহমান, প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. নজিবর রহমান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

;

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ২০২ জন ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের ভিক্ষাবিরোধী বিশেষ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আলী সালেম আল সামসির বরাতে জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ পাওয়ার আশায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন আটককৃত এসব ভিক্ষুক। মূলত তারা পেশাদার ভিক্ষুক নন। তবে রমজানে ধনীরা দুস্থদের সহায়তা করে থাকেন, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করছিলেন তারা।

জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া ২০২ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ১১২ জন পুরুষ, আর বাকি ৯০ জন নারী।

দুবাই পুলিশের তথ্যমতে, যারা নির্দেশনা অমান্য করে ভিক্ষা কর ধরা পড়বেন, তাদের ৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৩ মাসের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর যারা অন্য দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে এনে ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নামাবে, তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে।

দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আল সামসি অনুরোধ করেছেন, সন্দেহজনক কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে যেন তাদের অবহিত করা হয়। এই কর্মকর্তার মতে, বেশিরভাগই ভিক্ষুকই বানানো গল্প বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

এমন প্রতারণার ঘটনাও সামনে এসেছে। সম্প্রতি নারীর পোশাক পরিধান করে মহিলার ছদ্মবেশে মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুবাইয়ের পুলিশ। তবে লোকটির নাম ও দেশের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। লোকটি পুলিশের কাছে বলেছে নারী ভিক্ষুকরা বেশি সহানুভূতি পায় বলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাই আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য একজন নারীর ছদ্মবেশে সে এ কাজটি করেছিল।

দুবাই পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সন্দেহভাজন এবং অপরাধমূলক ঘটনা বিভাগ বলেছে, লোকটি বোরকা এবং নেকাব আবৃত একজন মহিলার ছদ্মবেশে দুবাইয়ের একটি মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মার্চ দেশটির ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

দুবাইয়ে ভিক্ষাবিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে এমনিতেই ভিক্ষাবৃত্তি একেবারেই নিষিদ্ধ। সেখানে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভিক্ষা না দিতেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আর রমজান মাসে ভিক্ষা করার দায়ে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাস জেলের বিধান রয়েছে আরব আমিরাতে। তারপরও একশ্রেণির লোক ভিজিট ভিসায় এসে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে ভিজিট ভিসায় এসে এ ভিক্ষাবৃত্তি বেশি করা হচ্ছে বলে পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

;

‘৫৩ বছরেও দেশের মানুষ অধিকার ফিরে পায়নি’



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরকে নষ্ট করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কোনটাই তারা পাচ্ছে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি কামনায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে গণ-ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ সামান্য স্বার্থে নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সৎ সাহস অধিকাংশই হারিয়ে ফেলেছে। আল্লামা মামুনুল হক-সহ গুটিকয়েক সাহসী আলেম যারা দেশ-জাতি ও ইসলামের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তাদেরকেও মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এ সুযোগে আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ইসলাম এদেশের গনমানুষের অন্তরে গ্রথিত। একে এত সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না।

এসময় তিনি ঈদের পূর্বে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

যুব মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের পরিচালনায় গণ-ইফতারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজীজুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দীক, বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া ফারুকী, অফিস সম্পাদক মিজানুর রহমান মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আমীন, ওমর মাতুব্বর, নাঈমুদ্দীন, মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, আব্দুল আজীজ, দীদার প্রমুখ।

;

মক্কা-মদিনার রেলভাড়ায় বিশাল ছাড়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেসের টিকেটমূল্যে বিশাল ছাড় দিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে হারামাইন এক্সপ্রেসের ইকোনমি ক্লাসের টিকেটের দামে ৫০ শতাংশ এবং বিজনেস ক্লাসের টিকেটে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা। তবে এই ছাড় কেবল মদিনা থেকে মক্কা এবং জেদ্দা থেকে মক্কা-মদিনা রুটের যাত্রীরা ভোগ করবেন।

পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার মধ্যকার দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। সারা বছরই শহর দু’টিতে হজ ও উমরা যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকে। ২০১৮ সাল থেকে এই রুটে উচ্চগতিসম্পন্ন হারামাইন এক্সপ্রেস চালু করে সৌদির সরকার। যাত্রাপথে জেদ্দা শহরে যাত্রাবিরতি দেয় ট্রেনটি।

যাত্রীরা চাইলে সরাসরি স্টেশনে গিয়ে টিকেট কিনতে পারবেন, কিংবা এসএআর ডট এইচএইচআর ডট এসএ ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনেও টিকেট কিনতে পারবেন।

অনলাইনে মূল্য পরিশোধের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ইমেইলে টিকেট এসে যাবে বলে জানিয়েছে সৌদির পরিবহন মন্ত্রণালয়।

হারামাইন হাইস্পিড রেলওয়ে বা এইচএইচআর ট্রেন পবিত্র দুই নগরীর মধ্যে দূরত্বকে কমিয়ে এনেছে। চলাচলকে করে তুলেছে আরও সহজ ও আরামদায়ক। সুচালো মাথার হারামাইন ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টায় মদিনা থেকে মক্কায় পৌঁছে দিচ্ছে যাত্রীদের। যেখানে সড়কপথে সময় লাগে এর দ্বিগুণেরও বেশি।

ট্রেনগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। বিদ্যুৎ চালিত ট্রেনগুলো এ রুটে দিনে প্রায় ৫০ বার যাতায়াত করে। তবে হজের সময় এ ট্রিপের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

হারামাইন ট্রেন বিশ্বের ১০টি দ্রুততম ট্রেনেরও একটি। অন্যান্য অঞ্চলও উচ্চগতির এ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। জ্বালানি তেল-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে রেলসহ অবকাঠামো খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করছে সৌদি আরব। উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কও দেশটির ভিশন-২০৩০ পরিকল্পনার অংশ।

;