প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আল্লামা শফীর ‘শোকরিয়া মাহফিল’ ৪ নভেম্বর
কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের (স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) সমমর্যাদা দিয়ে স্বীকৃতির বিল জাতীয় সংসদে পাস করায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে আলেম-উলামাদের পক্ষ থেকে শোকরিয়া মাহফিল (সংবর্ধনা অনুষ্ঠান) একদিন এগিয়ে ৪ নভেম্বর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ব্যাপক জনসমাগমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেবে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ।ওই অনুষ্ঠানে আলেমদের পক্ষ থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান একদিনে এগিয়ে আনার কারণ হিসেবে জানা গেছে, ৪ নভেম্বর রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। তফসিল ঘোষণার পর সোহরাওয়ার্দীতে এ ধরনের সমালোচনার জন্ম দিতে পারে, তাই সংবর্ধনার তারিখ একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
সংবর্ধনা একদিন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের নেতারা। শনিবার (২৭ অক্টোবর) কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক অফিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হাইয়াতুল উলইয়ার জরুরি এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আশরাফ আলী, ফয়েজী, মুফতি রুহুল আমিন, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা নূরুল হুদা, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মুফতি মাহফুজুল হক, মুফতি নূরুল আমিন, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা ওয়াসিউর রহমান, মাওলানা সফিউল্লাহ, মাওলানা আবু তাহের নদভি, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মুশকাক আহমদ, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন ও মাওলানা আবদুল খালেক প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কওমি মাদারাসাগুলোর মুহতামিম (প্রিন্সিপাল) শিক্ষক ও ছাত্ররা অংশ নেবেন। কর্তৃপক্ষের আশা, বিপুল উপস্থিতি রেকর্ড সৃষ্টি করবে।
এর আগে ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় গণভবনে আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শোকরিয়া মাহফিল নামে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমর্যাদা দিয়ে স্বীকৃতির বিল জাতীয় সংসদে পাস করার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে আসছেন হেফাজতের আমির এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
এবার আনুষ্ঠানিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে যাচ্ছে বাংলাদেশের আলেম সমাজ। বিষয়টি মাইলফলক হয়ে থাকবে।