পাকিস্তানে আর্মি, মৌলবাদ ও ইমরানের রাজনৈতিক উত্থান



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমরান খানের পাল্লা এবার পাকিস্তানের নির্বাচনের প্রচারণার শুরু থেকেই বেশ ভারি ছিল। কারণ সেই পাল্লা ধরে এবার নিজেদের পুরো ওজন দিয়ে ঝুলে আছে পাকিস্তানের প্রবল প্রতাপশালী সেনাবাহিনী।

আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং প্রধানত ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে অনেক আগেই ‘‌খবর’‌ ছিল, রাওয়ালপিন্ডির খাকি উর্দিরা এবার ইমরানের মতো একজন অনভিজ্ঞ, আনাড়ি প্রশাসককেই বসাতে চাইছে দেশের মাথায়।

কেন চাইছে, সেটা প্রকাশিত সংবাদ বিবরণেই ছিল পরিষ্কারভাবে বর্ণিত। নওয়াজ শরিফ বা আসিফ জারদারি অনেক বেশি ঘাগু, পোড়খাওয়া রাজনীতিক, সব সময় বশে থাকেন না। সেখানে প্লেবয় ও খেলোয়াড় ইমরানকে পোষ মানানো সোজা।

তা ছাড়া পাকিস্তানের এলিট, অক্সফোর্ডে পড়া সেনাকর্তাদের সঙ্গে একই গোত্রের সাবেক ক্রিকেট সুপারস্টারের তালমিল অনেক ভাল হবে। পাকিস্তানের রাজনীতির দস্তুর মেনে নতুন নেতা ইমরান নিজের আখের গোছাবেন, কর্তারা নিজেদের।

কাজেই পাকিস্তানের সিভিল-মিলিটারি এলিট শ্রেণির পাশাপাশি সাবেক স্ত্রী জেমাইমা পর্যন্ত উচ্ছ্বসিত, উৎসাহী, কৌতূহলী।

ফিরেও আসতে পারেন কি তিনি আবার?‌ ইমরানের দুই ছেলে সুলেইমান আর কাসিমের হাত ধরে?‌ অসুবিধে কোথায়?‌‌

কারণ এখন ইমরানের ঘর তো ফাঁকা। জেমাইমার দু’‌নম্বর সতিন, ইমরানের তৃতীয় বেগম তথা আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক বুশরা মানেকা এপ্রিলেই ইসলামাবাদের বানি গালা এলাকায় ইমরানের বিরাট প্রাসাদ ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গেছেন।

বাজারে জোর খবর, দুজনের আধ্যাত্মিক, সাংসারিক, সব পথই এখন দুটি দিকে গেছে বেঁকে। এই তিন নম্বর বিয়েটাও নাকি টিকছে না। যদিও কিছুদিন আগেই বুশরা মানেকার উকিল জোর গলায় দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল কোত্থাও যাননি, যাওয়ার ইচ্ছেও নেই। কিন্তু বানি গালার পাড়া প্রতিবেশীরা বিলক্ষণ জানেন কী ঘটেছে।

মানেকার প্রথম পক্ষের দামড়া ছেলে খাওয়ার ফারিন মানেকা সেই যে নতুন বাবার বাড়িতে এসে জেঁকে বসেছিল, যাওয়ার নাম পর্যন্ত করছিল না। অথচ ইমরান নাকি বিয়ের আগেই শর্ত দিয়ে রেখেছিলেন, বুশরা মানেকার বাপের বাড়ির লোকেরা যখন তখন এসে ‘‌কী দুলাভাই কেমন আছেন?‌’‌ বলে আড্ডা বসাতে পারবে না। ফলে রোজ বাড়ি ফিরে মানেকা–পুত্র খাওয়ারকে দেখলেই মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছিল খান সাহেবের। সেই থেকেই নাকি মিয়া–বিবির ঝগড়া শুরু!‌


আরও পড়ুন: ইমরানের জয়ে জেমাইমা: ‘‌আমার খোকার বাবা রাজা হবে!’‌‌


অবশ্য বুশরা মানেকাও জামাইমার মতোই নিতান্ত ভদ্রলোক। চুপচাপ গোস্বা করে নীরবে সরে গেছেন।

ইমরানের দ্বিতীয় বিবি রেহাম খানের মতো চিল্লিয়ে পাড়া মাত করেননি। বিবিসি টিভি–'র আবহাওয়া রিপোর্টার রেহাম বিয়ের ১০ মাসেই বুঝে গিয়েছিলেন হাওয়া খারাপ। বিয়েটা ভাঙার পর বই লিখে ফেললেন ইমরানের বেলাগাম ব্যভিচার, অগুন্তি মহিলা, এমনকি পুরুষদের সঙ্গেও ইমরানের শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে!‌ সেই বইয়ের ছত্রে ছত্রে অবৈধ যৌনতার ব্যাখ্যান, ছত্রে ছত্রে গর্ভপাত। টুইটার, ট্যাবলয়েড সরগরম হয়ে উঠেছিল পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর কেচ্ছা নিয়ে।

বাধ্য হয়েই সেনা লেলিয়ে দিলেন ইমরান। অবশ্য তার আগে থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছিল রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের ওপর জারি হয়েছিল অঘোষিত সেন্সরশিপ। নওয়াজ শরিফ সম্পর্কে কোনও ভাল কথা লেখা যাবে না। পাকিস্তান মুসলিম লিগের কোনও মিছিলের খবর করা যাবে না। সামরিক হেফাজত থেকে কারও ‘‌নিখোঁজ’‌ হওয়া, সামরিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে পশতুনদের প্রতিবাদ নিয়ে কিচ্ছুটি বলা যাবে না। বিচারবিভাগের সমালোচনাও করা যাবে না।

এই ‘‌যাবে না’‌–র তালিকায় যুক্ত হয়েছিল রেহাম খানের বই। তার থেকে একটি লাইনও যাতে কোথাও তুলে না দেওয়া হয়, সতর্ক নজর রাখতে শুরু করেছিল সেনা কর্তৃপক্ষ। নয়তো ভোটের বছরে একা ইমরানের সাধ্য কি ওই কেচ্ছার আবর্জনা ঝেড়ে ফেলে উঠে দাঁড়ানোর! এবং ভবিষ্যতেও সেনা–সখাদের হাত ধরেই হাঁটবেন ইমরান, যে ইমরান ২০১৩ সালের নির্বাচনী প্রচারে সদর্পে বলেছিলেন, পাকিস্তানে বকলমে সেনা শাসনের দিন শেষ!‌

অবশ্য এই ইমরানই তো একসময় মৌলবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন, স্বদেশকে তালিবানমুক্ত করার শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু সময় তাঁকে শিখিয়েছে, সেনাবাহিনী এবং জঙ্গি মৌলবাদের দো–ধারী তলোয়ারের ওপর দিয়ে কীভাবে হাঁটতে হয়। হাঁটতে হাঁটতে অবশ্য ক্রমশই আরও পিছনের দিকে এগিয়ে গেলেন একদা অক্সফোর্ডের শিক্ষায় শিক্ষিত, আলোকপ্রাপ্ত ইমরান খান। হয়ে গেলেন আর্মি ও মৌলবাদের ইয়ার দোস্ত।

মিডিয়া বলেছে, এতো কিছুর পরেও পাকিস্তানের মহিলাকুল নাকি এবার ক্ষমাসুন্দর মুখে হুমড়িয়ে ভোট দিয়েছে ইমরানকে। প্রচার করছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ'র পক্ষে।

কিন্তু বিরোধীরা বলছে, পুরোটাই রিগিং। মানুষকে ভোট দিতেই দেওয়া হয়নি। তাছাড়া এবার জিততে মরিয়া ইমরান যেভাবে মৌলবাদী নীতি আর সেনা অনুশাসনের পক্ষে কথা বলেছেন, বিশেষত দেশের মেয়েদের আরও বেশি মধ্যযুগীয় সঙ্কীর্ণতার বিধিনিষেধে আটকে রাখার তালিবানি উদ্যোগে সায় দিয়েছেন, মেয়েদের ভোট তাঁর পক্ষে যাওয়ার স্রেফ কোনও কারণ নেই। সে তিনি এই ৬৫ বছর বয়সেও যতই রমণীমোহন থাকুন না কেন!‌

পেছনের আর্মি আর মৌলবাদী প্রশ্রয়ের স্পষ্ট মদদ না থাকলে এতো ঘটনা ও কেলেঙ্কারির নায়ক পাকিস্তানের রাজনীতির নায়ক হয়ে উঠতে পারতেন না। আসলে, পাকিস্তানে আর্মি, মৌলবাদ ও ইমরানের রাজনৈতিক উত্থান একই স্বার্থের বন্ধনে আবদ্ধ।

   

 ৯৯ টি  রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ৯৯টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৫৮টি ড্রোন এবং দুই ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে।


শুক্রবার বিমান বাহিনীর এক বিবৃতিতে কিয়েভ বলেছে, ৮৪টি বিমান লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে  ৫৮টি শাহেদ ড্রোন এবং ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র।

এই ড্রোনগুলো দিয়ে ওডেসা, খারকিভ, নিপ্রোপেট্রোভস্ক, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে হামলা করে রাশিয়া। জাপোরিঝিয়ার গভর্নর জানিয়েছেন, এই ড্রোন হামলায় দুই নারী আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন। শুক্রবার তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ভারতের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গেও কথা বলবেন। রাজঘাটে গিয়ে মহত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাও জানাবেন।

গত সপ্তাহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

রাশিার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ‘পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রসহ কোনো ন্যাটো দেশকে আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই।  তবে তারা যদি ইউক্রেনকে এফ ১৬ বিমান দেয়, তাহলে রাশিয়া তা ধ্বংস করে দেবে।’

পুতিন বলেছেন, ‘ওরা এফ১৬ পাবে বলে পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কিন্তু এফ১৬ পেলেও যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি বদলাবে না।’

;

হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের উপপ্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননে শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের উপপ্রধানকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বাজুরিয়েহতে তাদের বিমান বাহিনীর হামলায় আলী আবদেল হাসান নাইম নামের হামাসের ওই কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

আইডিএফ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর রকেট ফায়ারের অন্যতম নেতা এই নাইম ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা ও পরিকল্পনার জন্য দায়ী।

এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছেন, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

;

বিয়ে করলেন জোড়া মাথার অ্যাবি-ব্রিটানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জোড়া লাগা দুই বোন অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন মার্কিন সেনা সদস্য জোশ বোলিংকে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন হলেও স্বামী একজনই। তারা মূলত মিনেসোটার বাসিন্দা।

মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত অ্যাবি ও ব্রিটানির শরীর এক হলেও মাথা সম্পূর্ণ আলাদা। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন। এমনকি খাবারের প্রতি ভালোবাসাতেও আসে পার্থক্য। কারণ তাদের হৃৎপিণ্ড, পিত্তাশয় ও পাকস্থলী আলাদা। তাই ক্ষুধাও আলাদা সময়ে পায়।

প্যাটি-মাইক দম্পতির ঘরে ১৯৯০ সালে জন্ম নেন এই যমজ দুই বোন। জন্মের সময় যমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই অপারেশন করে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়নি পরিবার। ১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

জোশ বোলিং-এর ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ২০ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের রিসেপশনে দম্পতি নাচ ও চুম্বন করছেন। সেখানে একটি সাদা, স্লিভলেস ব্রাইডাল গাউন এবং লেস-ব্যাক পোশাক পরেছিলেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

;

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও নিঁখোজ প্রায় ১০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলায় সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ১৪০ জন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তারা জানিয়েছে ওই হামলায় আহতের সংখ্যা ১৮২ জন। হামলার পর ৯৫ জনের মতো এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

বাজা নিউজ সার্ভিসের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই তালিকায় এমন লোকও রয়েছেন যাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেননি। এর মধ্যে যারা মারা গেছেন, তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

গত ২২ মার্চ রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হামলার সময় সামরিক ইউনিফর্ম পরা চার সন্ত্রাসী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে, বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এর আগে সন্ত্রাসীর সংখ্যা পাঁচ বলে জানানো হয়েছিল।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গেছে পাঁচ শতাধিক রাউন্ড গুলি। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারপারসন দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘রাশিয়া রক্ত ​​দিয়ে এর প্রতিশোধ নেবে। সন্ত্রাসীরা বোঝে শুধু সন্ত্রাসের ভাষা। বলপ্রয়োগ না করলে এবং সন্ত্রাসীদের পরিবারসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তদন্ত করে কোনও লাভ নেই।’

আরটি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পরিকল্পনা করেই ওই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আক্রমণকারীদের জন্য ক্রোকাস সিটি হলে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

মস্কোর দাবি, একজন অভিযুক্ত হামলাকারী অপরাধ স্বীকার করে পুরো পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। প্ল্যান ছিল, হামলাকারীরা আক্রমণ করার ইউক্রেনের দিকে চলে যাবে। এক্ষেত্রে তিন হামলাকারীর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, সন্ত্রাসীরা পুরো হল পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদন্তের সময় হলটিতে রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে।

এদিকে, ওই হামলার পর থেকে ভিকটিমদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছে রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো। ‘ক্রোকাস হেল্প সেন্টার’ নামক একটি টেলিগ্রাম চ্যাটে জড়ো হওয়া ভিকটিমদের বন্ধু এবং আত্মীয়রাও নিজেদের মতো করে খোঁজ চালাচ্ছেন।

এদিকে, বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, যেমন ১৫ বছর বয়সি আর্সেনি, যিনি তার মা ইরিনা ভেদেনেইভার সঙ্গে কনসার্টে গিয়েছিলেন। রবিবার শট টেলিগ্রাম চ্যানেল আর্সেনির একটি ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তিনি কনসার্ট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দাদিকে এই ছবি পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

তার মাকে ইতিমধ্যেই মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত নিশ্চিত মৃতদের তালিকায় মা ও ছেলে উভয়ের নাম রয়েছে।

;