৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া, নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন স্পটে। ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছেন।

রোববার (২৯ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় ইন্দোনেশিয়ার লম্বোক দ্বীপে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

বালির ২০ কি.মি. পূর্বদিকের দ্বীপটি সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছে, ভূমিকম্পের আঘাতে অনেক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে।

মার্কিন জিওলজিকাল সার্ভের কর্মকর্তার বলছে, ইন্দোনেশিয়ার উত্তরপূর্বের শহর মাতারাম থেকে ৫০ কি.মি দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল। এরপর আরো ৬০ টি ছোট মাত্রার ভূমিকম্প সেখানে ধারাবাহিকভাবে আঘাত করে।

   

বিয়ে করলেন জোড়া মাথার অ্যাবি-ব্রিটানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জোড়া লাগা দুই বোন অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন মার্কিন সেনা সদস্য জোশ বোলিংকে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন হলেও স্বামী একজনই। তারা মূলত মিনেসোটার বাসিন্দা।

মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত অ্যাবি ও ব্রিটানির শরীর এক হলেও মাথা সম্পূর্ণ আলাদা। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন। এমনকি খাবারের প্রতি ভালোবাসাতেও আসে পার্থক্য। কারণ তাদের হৃৎপিণ্ড, পিত্তাশয় ও পাকস্থলী আলাদা। তাই ক্ষুধাও আলাদা সময়ে পায়।

প্যাটি-মাইক দম্পতির ঘরে ১৯৯০ সালে জন্ম নেন এই যমজ দুই বোন। জন্মের সময় যমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই অপারেশন করে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়নি পরিবার। ১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

জোশ বোলিং-এর ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ২০ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের রিসেপশনে দম্পতি নাচ ও চুম্বন করছেন। সেখানে একটি সাদা, স্লিভলেস ব্রাইডাল গাউন এবং লেস-ব্যাক পোশাক পরেছিলেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

;

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও নিঁখোজ প্রায় ১০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলায় সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ১৪০ জন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তারা জানিয়েছে ওই হামলায় আহতের সংখ্যা ১৮২ জন। হামলার পর ৯৫ জনের মতো এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

বাজা নিউজ সার্ভিসের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই তালিকায় এমন লোকও রয়েছেন যাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেননি। এর মধ্যে যারা মারা গেছেন, তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

গত ২২ মার্চ রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হামলার সময় সামরিক ইউনিফর্ম পরা চার সন্ত্রাসী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে, বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এর আগে সন্ত্রাসীর সংখ্যা পাঁচ বলে জানানো হয়েছিল।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গেছে পাঁচ শতাধিক রাউন্ড গুলি। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারপারসন দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘রাশিয়া রক্ত ​​দিয়ে এর প্রতিশোধ নেবে। সন্ত্রাসীরা বোঝে শুধু সন্ত্রাসের ভাষা। বলপ্রয়োগ না করলে এবং সন্ত্রাসীদের পরিবারসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তদন্ত করে কোনও লাভ নেই।’

আরটি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পরিকল্পনা করেই ওই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আক্রমণকারীদের জন্য ক্রোকাস সিটি হলে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

মস্কোর দাবি, একজন অভিযুক্ত হামলাকারী অপরাধ স্বীকার করে পুরো পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। প্ল্যান ছিল, হামলাকারীরা আক্রমণ করার ইউক্রেনের দিকে চলে যাবে। এক্ষেত্রে তিন হামলাকারীর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, সন্ত্রাসীরা পুরো হল পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদন্তের সময় হলটিতে রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে।

এদিকে, ওই হামলার পর থেকে ভিকটিমদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছে রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো। ‘ক্রোকাস হেল্প সেন্টার’ নামক একটি টেলিগ্রাম চ্যাটে জড়ো হওয়া ভিকটিমদের বন্ধু এবং আত্মীয়রাও নিজেদের মতো করে খোঁজ চালাচ্ছেন।

এদিকে, বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, যেমন ১৫ বছর বয়সি আর্সেনি, যিনি তার মা ইরিনা ভেদেনেইভার সঙ্গে কনসার্টে গিয়েছিলেন। রবিবার শট টেলিগ্রাম চ্যানেল আর্সেনির একটি ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তিনি কনসার্ট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দাদিকে এই ছবি পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

তার মাকে ইতিমধ্যেই মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত নিশ্চিত মৃতদের তালিকায় মা ও ছেলে উভয়ের নাম রয়েছে।

;

কাশ্মিরে হাইওয়ে থেকে বাস খাদে পড়ে ১০ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত-শাসিত জম্মু-কাশ্মিরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই অভিবাসী শ্রমিক। তারা শ্রীনগরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাদের বহনকারী গাড়িটি হাইওয়য়ে থেকে ৩০০ ফুট গভীরে একটি খাদে পড়ে গেলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মিরের শ্রীনগর-জম্মু মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পরে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং গাড়িটি রামবান জেলার ব্যাটারি চেশমা ​​নামক স্থানে ৩০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়।

এনডিটিভি বলছে, নিহতরা অভিবাসী শ্রমিক এবং তারা শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিলেন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য কাশ্মিরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশও সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এই প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, নিহতদের পরিবারকে সকল সহায়তা দেওয়া হবে।

;

পাথর ছুড়ে নারী হত্যার প্রথা ফেরাচ্ছে তালেবান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা আবারও চালু করতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। 

শনিবার রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক অডিও বার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই ঘোষণা দেন। 

টেলিগ্রাফ ও এনডিটিভি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিগ্রাফের হাতে আসা এক ভিডিওতে আখুন্দজাদা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যে ওকালতি করছে তা শরিয়াহ-বিরোধী। পাথর মেরে কোনো নারীকে হত্যা করার ঘটনা নারী অধিকারের লঙ্ঘন বলে ভাবছেন তারা। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে এই নিয়ম কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব।’

তিনি আরও বলেন, কাবুল দখল নিয়েই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু মাত্র।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে কোনো প্রবেশাধিকার নেই।

একজন তরুণ ছাত্রের বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, দেশটিতে অনেক পরিবারের জন্য মেয়েদের একমাত্র ভবিষ্যৎ হলো বিয়ে। তাদের মধ্যে বিষণ্নতা ব্যাপক। গত দুই বছরে মেয়েদের আত্মহত্যার হারও অনেক বেড়েছে দেশটিতে। 



;