অনিশ্চয়তার মধ্যেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পাকিস্তান
পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ২৫ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধলক্ষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।
২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডজনখানেক রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান খানের তেহরিক ই ইনসাফ ও নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগের মধ্যে।
নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফ এই নির্বাচনে ইমরান খানের মুখোমুখি হচ্ছেন।
ইমরান খানের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দহরম মহরম বলে কথিত রয়েছে।
এ কারণেই ‘নির্বাচনী প্রকৌশলী’ উপায়ে সেনাবাহিনী নিজেদের অনুগত রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচিত করতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে গত কয়েক দিনের মধ্যেই ৪ টি হামলা হওয়ার কারণে। এসব হামলায় ১৫২ জন নিহত হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ২৫ জুলাই নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা রক্ষায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩ লক্ষ ৭১ হাজার সৈন্য ব্যারাক ছেড়ে বেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থান করবে।
পাকিস্তানের এই নির্বাচনে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে।
১৯৪৭ সালে সৃষ্টির পর থেকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক বিদ্যমান।
এ কারণেই এত বছর দেশজুড়ে কেবল দ্বিতীয়বারের মত এত বৃহৎ আকারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।