সিআইএ-র গুপ্তচর কবুতর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সিআইএ-র গুপ্তচর কবুতর

সিআইএ-র গুপ্তচর কবুতর

  • Font increase
  • Font Decrease

শান্তির প্রতীক পায়রা। আদিকাল থেকেই মানুষের সঙ্গে দারুণ সখ্যতা পায়রার। দূর-দূরান্তে বার্তা প্রেরণে পায়রা তথা কবুতরের বহুল ব্যবহারের কথাও আমরা সবাই জানি। তবে শুধু বার্তাপ্রেরণই নয় গুপ্তচরবৃত্তিতে দারুণ কার্যকর কবুতর। শুধু প্রয়োজন একটু প্রশিক্ষণ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকেই গোয়েন্দাকাজে কবুতরের ব্যবহার শুরু হয়। যেটা এখন বিশ্বের নানা গোয়েন্দা সংস্থাতেই বহুল প্রচলিত। তবে কবুতর দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।

স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন গোপন মিশনেও তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর কবুতর দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়েছিল। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত কিছু নথিপত্র প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। বিবিসির সিকিউরিটি করেসপন্ডেন্ট গর্ডন কোরেরা এক প্রতিবেদনে সেইসব ঘটনার কিছু প্রকাশিত হয়েছে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরের স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি করতে কবুতরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কাকের মাধ্যমে জানালায় বাগিং ডিভাইস স্থাপন, ডলফিনের দ্বারা সমুদ্রপথে গোপন মিশন পরিচালনা-সবকিছুই উঠে এসেছে গোপন এসব নথিতে।

সিআইএ’র বিশ্বাস, গোয়েন্দা সংস্থার গোপনীয় মিশনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো পশুপাখি দ্বারা ‘ইউনিক’ভাবে সম্পাদন করা যায়।

জানা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গোয়েন্দ সংস্থা এমআই-১৪ কবুতর দিয়ে ইউরোপ অধিকৃত এলাকাতে গোপন মিশন পরিচালনা করেছিল। কবুতর পাঠিয়ে তারা জার্মান রাডার স্টেশন ও ভি-১ রকেট লঞ্চ সাইট সম্পর্কিত তথ্য উদ্ধার করেছিল।

আর এ জন্য কবুতেরর গায়ে একটি প্রশ্নপত্র যুক্ত করেছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেই প্রশ্নের উত্তরগুলো নিয়ে হাজারের উপরে কবুতর শেষ পর্যন্ত সফলভাবে ফিরে এসেছিল তাদের কাছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয় পরাশক্তিগুলোর মধ্যে। স্নায়ুযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিকল্পগুলো অনুসন্ধানে ব্রিটেনের যৌথ গোয়েন্দা কমিটি একটি  ‘কবুতর উপকমিটি’ তখন গঠন করেছিল। কবুতর এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাদের জন্য। কিন্তু ব্রিটিশদের এই কার্যক্রম একপর্যায়ে বন্ধ হয়। তখন সিআইএ কবুতর ব্যবহারের মধ্যদিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি শুরু করে।

নতুন প্রকাশিত নথি থেকে জানা যায়, ১৯৭০ সালের পরিচালিত অপারেশনের কোডনেম ছিল টেকানা। কবুতরের সাহায্যে ছোট্ট ক্যামেরা দিয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ছবি তোলা তখন থেকে শুরু হয়। অপারেশন টেকানায় শুধু কবুতর নয় বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখির সাহায্য নেয় তারা।

প্রকাশিত নথি থেকে জানা যায়, দুর্গম ভবনগুলো থেকে ৪০গ্রাম ওজনের ছোট ছোট বাগ স্থাপন ও তুলে আনতে কাকও প্রশিক্ষিত করেছিল সিআইএ।

এছাড়া ফ্লোরিযার দক্ষিণ উপকূলে সিআইএ’র অপর একটি দল ডলফিনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। প্রশিক্ষিত সেসব ডলফিন পানির নিচে শত্রুপক্ষের জাহাজে আক্রমণে সক্ষম ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের পারমাণবিক সাবমেরিন গুলোর শব্দগ্রহণে সক্ষম সেন্সর বহন করে সেসব ডলফিন পানির নিচে চলাচল করত। এভাবে তারা কুকুর, বিড়াল, শকুনসহ নানা প্রজাতির প্রাণীকে গোয়েন্দা কার্যক্রমে নামিয়ে দিয়েছিল।

তবে সিআইএর মতে, গুপ্তচরবৃত্তিতে সবচেয়ে কার্যকর ছিল কবুতর। সত্তরের দশকের মাঝামাঝিতে সিআইএ কবুতর দিয়ে কয়েকটি পরীক্ষামূলক মিশনও পরিচালনা করে। এর একটি ছিল একজন বন্দীকে নিয়ে অপরটি ছিল ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত নৌঘাটির উপরে।

পরীক্ষামূলক সে মিশনে ক্যামেরায় খরচ হয়েছিল দুই হাজার ডলার, যার ওজন ছিল ৩৫ গ্রাম। হার্নেসের ওজন মাত্র ৫ গ্রাম। পরীক্ষায় দেখা যায়, কবুতরের সাহায্যে তোলা ১৪০টি ছবি বেশিরভাগই ছিল উন্নতমানের। ছবিগুলো এতই পরিষ্কার ছিল যে, নৌঘাটিতে মানুষের হাটাচলা, পার্কিংরত গাড়ি সবকিছুই ছিল স্পষ্ট।

বিশেষজ্ঞরা দেখতে পায়, সেই সময় গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের তোলা ছবির চেয়ে কবুতরের সাহায্যে তোলার ছবির মান বেশি উন্নত। সেই পরীক্ষামূলক সফলতা থেকেই গোয়েন্দারা তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর নজরদারিতে কবুতর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

নথি থেকে দেখা যায়, মস্কোগামী জাহাজগুলোতে খুব গোপনে প্রশিক্ষিত কবুতর পাঠানো হত। যে কবুতর দিয়ে লেনিনগ্রাদের শিপইয়ার্ডে তৈরি হতে থাকা সোভিয়েত সাবমেরিনগুলোর উপর নজর রাখতে পেরেছিল তারা।

এভাবে অনেক গোপন মিশনেই কবুতরের ব্যবহার শুরু করে সিআইএ ।

গুপ্তচর কবুতর দিয়ে কতগুলো মিশন পরিচালিত হয়েছে এবং সেসব মিশনে কী কী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো এখনো অপ্রকাশিতই রয়ে গেছে।

   

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;

তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিউনিসিয়ার জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

 

;

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধে আয়াটার আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছ থেকে মোট ৭২ কোটি ডলার রাজস্ব পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে। দ্রুত এ রাজস্ব পরিশোধের জন্য উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আয়াটার মতে, বাংলাদেশের কাছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং পাকিস্তানের কাছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে এই জোট ভুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থার। এই রাজস্ব থেকেই সংস্থার বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে, তাই রাজস্ব বকেয়া থাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । এ অবস্থায় দ্রুত এই বকেয়া অর্থ পরিশোধে দুই দেশের সরকারকে তাগাদাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়াটা।

আয়াটার এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ বলেছেন, পরিষেবা সংস্থাগুলোকে বিমান, ইঞ্জিন, খুচরা যন্ত্রাংশ, জ্বালানী খরচ, ওভারফ্লাইট ফি এর জন্য ইজারা সহ ডলার-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব বকেয়া থাকলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিমান পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া রাজস্ব পেতে বিলম্ব হলে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে করোনা মহামারির পর থেকে বিভিন্ন দেশ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও রয়েছে সেসব দেশের তালিকায়। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব করা (চুক্তির) প্রাথমিক শর্তের লঙ্ঘণ। যদি শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এ দুটি দেশে পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়াটা। সংস্থাটির সদর দপ্তর কানাডার মন্ট্রিয়ালে। এর অন্তর্ভূক্ত সংস্থাগুলো প্রতিদিন বিশ্বের মোট বিমানযাত্রীর ৮৩ শতাংশকে পরিবহন পরিষেবা দেয়। এই পরিষেবা বাবদ এই সংস্থাটিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব দিতে হয় দেশগুলোকে। রাজস্বের অর্থ দিয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করে সংস্থাটি।

;

১৯৯৪ সালের বোমা হামলা

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৪ সালের বোমা হামলার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা। ৩০ বছর আগের সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদির জন্য গ্রেফতারের নোটিশ জারি করতে বলেছে দেশটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার একটি আদালত ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুরোধ জানিয়েছে। এছড়া ওয়াহিদীকে গ্রেফতার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্টারপোল তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। যদিও একটি রেড নোটিশ সদস্য দেশগুলোতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা গঠন করে না।

যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না, গ্রেফতার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।


বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-সহ ইরানি প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। তবে, বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে প্রেসিডেন্টের সাথে যেতে দেখা যায়নি।

ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আহমেদ ওয়াহিদী মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা হামলাটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। সেই সময় বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। ইরান অবশ্য সবসময়ই এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ইরান এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।

আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আদালত রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য ভিত্তিহীন এ বিষয়কে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

;