কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য অতিরঞ্জিত: ভারত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বিজয় ঠাকুর সিং (মাঝে)

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বিজয় ঠাকুর সিং (মাঝে)

  • Font increase
  • Font Decrease

জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু ভারতের সম্পূর্ণ নিজস্ব বিষয়, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য অতিরঞ্জিত। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পাকিস্তান কাশ্মীর সম্পর্কে যেসব অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এ কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) বিজয় ঠাকুর সিং।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জেনেভাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪২তম অধিবেশনে কাশ্মীরে ভারত সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে ভাষণ দেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) বিজয় ঠাকুর সিং।

তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে বৈষম্য বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এটি (৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল) একটি সংসদীয় সিদ্ধান্ত। বিশ্ব এখন অনেক সচেতন। এই বানোয়াট গল্পটি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল থেকে এসেছে। যেখানে সন্ত্রাসের রিংলিডারদের বছরের পর বছর ধরে আশ্রয় দেওয়া হয়। এই দেশ কূটনীতির এক রূপ হিসাবে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনা করে।

আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে বিশ্ব উদাসীন থাকতে পারে না: কুরেশি

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভাষণে বলেছেন, ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে যে ট্র্যাজেডি আমাদের চোখের সামনে উদ্ভূত হচ্ছে তাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবশ্যই উদাসীন থাকতে পারে না।

কুরেশি আরও বলেন, আজ আমি মানবাধিকার কাউন্সিলের দ্বারস্থ হয়েছি। মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বের বিবেকের কাছে উপস্থিত হয়েছি। ভারতের অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার ও শ্রদ্ধা কামনা করছি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ভারতকে অবিলম্বে বন্দুকের ব্যবহার বন্ধ করে, রক্তপাত বন্ধ করে, কারফিউ তুলে নিয়ে শৃঙ্খলা ও যোগাযোগের ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের রেজ্যুলুশন এবং বিভিন্ন মানবাধিকার কার্যালয় কাশ্মীরিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত অপরাধীদের বিচারের জন্য পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তিনি।

   

জাপানের কূটনীতিককে তলব করেছে দক্ষিণ কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপানের ‘ব্লুবুক’ শীর্ষক বার্ষিক কূটনৈতিক নীতি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিনের আঞ্চলিক বিরোধের কেন্দ্রস্থলের দ্বীপগুলোকে নিজেদের বলে দাবির প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

ব্লুবুক নামের জাপানের ওই কূটনৈতিক নীতির প্রতি অসম্মতি জানাতে সিউলে জাপানি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন তাইসুকে মিবাইকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করেছ বলে জানা গেছে।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল যে, তারা কূটনৈতিক ব্লুবুকে জাপানের দাবির কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কারণ, ওই ডোকডো দ্বীপগুলো ঐতিহাসিকভাবে এবং ভৌগলিকভাবে সিউলের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অংশ।

উল্লেখ্য, ওই ডোকডো দ্বীপগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান অবস্থানের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার কার্যকর কর্তৃত্ব রয়েছে।

কিন্তু, ডোকডো দ্বীপগুলো ২০২৪ সালের কূটনৈতিক ব্লুবুকে অন্তর্ভুক্ত করে মন্ত্রিসভায় জমা দিয়েছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া।

জাপান এই বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়া ডোকডোতে তার অবৈধ দখল ধরে রেখেছে এবং এলাকাটি ঐতিহাসিক ও আইনগতভাবে জাপানি এলাকা।

;

ইউক্রেনের চিড়িয়াখানায় মর্মান্তিক আগুন, ২০০ প্রাণী নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিমিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহর ইয়েভপাটোরিয়াতে ট্রপিক পার্ক চিড়িয়াখানায় মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০০টিরও বেশি প্রাণী মারা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম নোভিনাইট ডট কমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র বলেছেন, এটি একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা। এ ট্র্যাজেডিতে চিড়িয়াখানার প্রায় সমস্ত প্রাণী মারা গেছে। এখানে ২০০ টিরও বেশি প্রাণী ছিল। আমি এতোটাই মর্মাহত যে, এরচেয়ে আর বিশদভাবে বর্ণনা করতে পারবো না।

এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে আশার বাণী হলো- চিড়িয়াখানার কর্মীদের সাহসী প্রচেষ্টায় ধোঁয়ায় ভরা এলাকা থেকে দুটি ভালুককে অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।

প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে- শর্ট সার্কিটের ফলে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

বৈচিত্র্যময় এ চিড়িয়াখানায় লেমুর, তোতা, কচ্ছপ, সাপ, বানর এবং অন্যান্য অসংখ্য প্রজাতির পশুপাখি ছিল।

;

ইরান তার আত্মরক্ষায় কাজ করছে : রাইসি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তার দেশের নজিরবিহীন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে যদি তেল আবিব সামান্য পদক্ষেপও নেয়, তবে তারা বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ১ এপ্রিল ইসরায়েলে প্রথম সরাসরি আক্রমণ চালিয়েছে তেহরান।

হামলাটি সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ৭ জন বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারকে হত্যার প্রতিক্রিয়া বলে দাবি করেছে ইরান।

রাইসি সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন কলে বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি যে, ইরানের বিরুদ্ধে সামান্যতম পদক্ষেপ অবশ্যই কঠোর, ব্যাপক এবং বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে।’

রাইসির অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সময় তিনি থানিকে পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ‘ইরান তার আত্মরক্ষায় কাজ করছে।’

তিনি ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য কিছু পশ্চিমা দেশের সমালোচনা করেন।

এদিকে, ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি সোমবার (১৫ এপ্রিল) নজিরবিহীন হামলার জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হ্যালেভি ইরানের গত শনিবার রাতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে সেনাদের বলেছেন, ‘ইসরায়েলের ভূখণ্ডে এতগুলো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে তেল আবিব।’

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সহায়তায় বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন গুলি ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ওই আক্রমণে সামান্য ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

;

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণ, নিহত শতাধিক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান জুড়ে বজ্রপাত ও ভারী বর্ষণের ফলে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে আঘাত হানা ঝড়ের কারণে কমপক্ষে ৫০ জন মারা গেছে। দেশটির প্রশাসন জরুরি সেবাদানকারী পরিষেবাগুলিকে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানে বেশিরভাগ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়াতে। যেখানে প্রবল বর্ষণ এবং আকস্মিক বন্যার কারণে ভূমিধস হয়েছে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছ উপড়ে গেছে।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারী বর্ষণের ফলে এখানে ২১ জন মারা গেছে, এই সপ্তাহে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজধানী ইসলামাবাদেও বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে সাতজন নিহত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ার এবং বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন যে, তিনি কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) আবহাওয়ার তীব্র পরিস্থিতির পূর্বাভাসের মধ্যে জরুরি পরিষেবাগুলিকে সতর্ক থাকতে বলেছে।

এদিকে আফগানিস্তান ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএনডিএমএ) মঙ্গলবার জানিয়েছে, মৌসুমি বৃষ্টি এবং প্রবল বন্যার কারণে আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও ৩৬ জন।

বজ্রপাত ও ভারী বর্ষণের ফলে আফগানিস্তানে ৬০০ টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ২০০ গবাদি পশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২০টিতে আকস্মিক বন্যার খবর পাওয়া গেছে।

;