হিরোশিমা দিবস

জাপানকে পারমাণবিক নিষেধাজ্ঞা চুক্তিতে যোগ দিতে আহ্বান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বোমা ফেলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় হিরোশিমা শহর | ফাইল ছবি

বোমা ফেলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় হিরোশিমা শহর | ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

হিরোশিমা দিবসে জাপানকে পারমাণবিক নিষেধাজ্ঞা চুক্তিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে খোদ শহরটির মেয়র।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা ফেলার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র কাজুমি মাতসুই জাপান সরকারকে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করার চুক্তিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৯৯টি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানটি হিরোশিমার স্মৃতিসৌধ গ্রাউন্ড জিরোর কাছে পিস মেমোরিয়াল পার্কে অনুষ্ঠিত হয়।

হিরোশিমা সিটি মেয়র তার ঘোষণাপত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানান, জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কিত চুক্তি, যা ২০১৭ সালের জুলাই মাসে অন্য ১২২টি দেশের সমর্থন নিয়ে পাস করা হয়েছিল তাতে যেন জাপান স্বাক্ষর করে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565079634572.jpg
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছিলেন তবে চুক্তির বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। জাপান যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে অন্যান্য দেশের মতো এ চুক্তিতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর ‘লিটল বয়’ নামের নিউক্লীয় বোমা ফেলে এবং এর তিনদিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ‘ফ্যাট ম্যান’ নামে আরও একটি নিউক্লীয় বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার লোক মারা যান। নাগাসাকিতে মারা যান প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ। পরবর্তীতে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২ লাখ ১৪ হাজার জাপানি। বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের ওপর হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য গণনায় ধরে হিরোশিমায় ২ লাখ ৩৭ হাজার এবং নাগাসাকিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার লোকের মৃত্যু ঘটে। দুই শহরেই মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক ব্যক্তি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের পেছনে এই বোমাবর্ষণের ভূমিকা এবং এর প্রতিক্রিয়া ও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। জাপানের সাধারণ জনগণ মনে করে এই বোমাবর্ষণ অপ্রয়োজনীয় ছিল, কেননা জাপানের বেসামরিক নেতৃত্ব যুদ্ধ থামানোর জন্য গোপনে কাজ করে যাচ্ছিল।

   

৩টি ইসরায়েলি ড্রোন ধ্বংস করলো ইরান, ভিডিও প্রকাশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ইসফাহান শহরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইসরায়েলি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোন হামলা হয়েছে এবং সেগুলোকে প্রতিহত করতে সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।

রাজধানী তেহরান থেকে ইসফাহান প্রদেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমান ঘাঁটিও রয়েছে এখানে। আর প্রদেশের নাতানজ্ শহরটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নির্ভরযোগ্য সূত্রের কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে সেখানকার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি নিরাপদেই আছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে বিবিসি আরও জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের আকাশে তিনটি ড্রোন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। আর রয়টার্সের বলছে, দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরে ওই তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়। পরে ড্রোন ধ্বংস করার একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিবিসি। ভিডিওটি স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে পাওয়া বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

এদিকে সাময়িকভাবে ইরানের আকাশে বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর পুনরায়  ফ্লাইট চালু করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, তেহরানের ইমাম খামেনেয়ি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবার ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় প্রদেশ ইসফাহানে বিস্ফোরণের পর ইরানের বেশিরভাগ অংশে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়।

;

হামলার পর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করল ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু তেহরানের দাবি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়, বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানের ইসফাহান শহরের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানি বার্তাসংস্থা ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ হামলার পরপরই ইরানের কয়েকটি শহরে আকাশ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইআরএনএর খবরে বলা হয়, ইরানের বেশ কয়েকটি প্রদেশের আকাশে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে ইরানে পাল্টা হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল সেসব আহ্বান উপেক্ষা করে ইরান, সিরিয়া ও ইরাকে সিরিজ হামলা চালিয়েছে।

উল্লেখ্য, গেল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কূটনৈতিক কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরাইলি হামলার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে ইরান গত সপ্তাহান্তে ইসরাইলের ওপর প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালায়। এরপর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে দুপক্ষের মধ্যে। নতুন করে ইসরাইলের হামলা আগুনে ঘি ঢাললো বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

;

ইরানের পর সিরিয়া-ইরাকে ইসরায়েলের সিরিজ হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনার মধ্যেই সিরিয়া ও ইরাকে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে আল জাজিরা ও এবিসি নিউজ।

ইরনা বলছে, আদ্রা এবং আল-থালা সামরিক বিমানবন্দর এবং দক্ষিণ সিরিয়ার আদ্রা শহর ও কারফা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত একটি রাডার ব্যাটালিয়নে হামলা হয়েছে। এদিকে, ইরাকের আল-ইমাম এলাকায়ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে, মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইরানের একটি স্থানে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ইসরাইলের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে এ হামলা চালানো হয় বলে এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন সিনিয়র একজন মার্কিন কর্মকর্তা। 

প্রতিবেদনে ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের খবরও দেয়া হয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ইসফাহান শহরে নয়, শহরটির কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এ হামলায় কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

অন্যদিকে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের অন্তত তিনটি শহরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, কাহজাভারিস্তান শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। কাহজাভারিস্তান শহরটি ইসফাহান বিমানবন্দর এবং ইসফাহানের উত্তর-পশ্চিমে সেনা বিমান বাহিনীর অষ্টম শেখারি ঘাঁটির কাছে অবস্থিত বলে জানা গেছে। 

উল্লেখ্য, গেল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কূটনৈতিক কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরাইলি হামলার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে ইরান গত সপ্তাহান্তে ইসরাইলের ওপর প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালায়। এরপর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে দুপক্ষের মধ্যে। নতুন করে ইসরাইলের হামলা আগুনে ঘি ঢাললো বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

;

ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে: ইরান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে খবর দিয়েছে আল জাজিরা, এবিসি নিউজসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।

কিন্তু সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান বলেছেন, তারা বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং দেশটিতে এখনও কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

শুক্রবার পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া ও টাইমস অব ইসরাইল। 

তবে এর আগে, বার্তাসংস্থা ফারস জানিয়েছে, ইরানের ইসফাহান শহরের কাছে অবস্থিত শেখারি সেনা বিমান ঘাঁটির কাছে ‘তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ’ শোনা গেছে। 

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এবিসি এবং সিবিএস নিউজ জানায়, ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’

 

;