মিয়ানমার অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের ট্রানজিটে পরিণত



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবৈধ বন্যপ্রাণীর ব্যবসায় মিয়ানমার একটি প্রধানতম ট্রানজিট পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমার বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের আটক করার বিষয়ে অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি ছাড় দেয়। এ কারণে বন্যপ্রাণী নিয়ে তাদের জমজমাট বাণিজ্য চলে।

জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম সম্পর্কিত সংস্থা (ইউএনওডিসি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ইউএনওডিসি চলতি মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মিয়ানমারের কর্মকর্তারা প্যাঙ্গোলিন বা বনরুইয়ের ৩৪টি চালান জব্দ করেছেন। যার ওজন মোট ১ হাজার ২০০ কেজির সমান।

মিয়ানমারে হাতির চামড়ারও বিশাল অবৈধ বাণিজ্য রয়েছে। যা দেশটির শান স্টেটের মাইন লার এবং তাচিলিকের মতো বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জনপ্রিয় বাজারগুলোতে বিক্রয়ের জন্য পাওয়া যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564826627722.jpg

মিয়ানমারের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ডের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টি উইলিয়ামস বলেন, ‘প্রাকৃতিক কারণেই মিয়ানমার অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছে।’

এ দেশে প্রচুর বন্যপ্রাণী, সীমান্ত অঞ্চলে সংঘাত বা সরকারি নিয়ন্ত্রণহীনতার জন্য এ ব্যবসা রমরমা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীনের মত প্রতিবেশী একটি দেশ যেখানে বন্যপ্রাণীর বিপুল চাহিদা রয়েছে।

মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে এ অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য বন্যহাতির দাঁত এবং অন্যান্য প্রাণীর ১.১৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে।

২০১৮ সালের অক্টোবরেও ২৭৭ টি হাতির দাঁত, অন্যান্য প্রাণীর ২২৭টি হাড়, ৪৫টি পশুর চামড়া, ১ হাজার ৫৪৪টি শিং এবং ৪৪.৫ কেজি বনরুইয়ের খোসা এবং ১২৭ অন্যান্য অংশ ধ্বংস করা হয়েছিল।

চলতি বছরের মার্চে ইয়াঙ্গুনে ২১৯টি হাতির দাঁত, ২১০টি হাতির হাড়, ৫২৭টি বাঘের চামড়া এবং অন্যান্য প্রাণীর অংশ, বিভিন্ন ধরনের ৮০০ শিং, ১৩৪.৭ কেজি বনরুই খোসাসহ মোট ৭৬৬.১১ কেজি পণ্য পুড়িয়ে ফেলে।

ইয়াঙ্গুনে এক অনুষ্ঠানে প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক মন্ত্রী ইউ ওন উইন বলেছেন, ‘আমরা অবৈধ বন্যপ্রাণী পাচার প্রতিরোধ ও ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে এই প্রচেষ্টার সাফল্য নিশ্চিত করতে জনসাধারণকেও সহযোগিতা করা দরকার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564826640224.jpg

শক্তিশালী স্থানীয় চাহিদা এবং নির্ভরযোগ্য স্থানীয় বাজার থাকার কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের তুলনামূলক সুবিধা রয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম অবৈধ বন্যপ্রাণী লেনদেনের জন্য স্বর্গে পরিণত হয়েছে।

ব্রুনেই ও মালয়েশিয়া ছাড়া আসিয়ান অন্তুর্ভুক্ত ১০টি দেশের মধ্যে আটটি দেশে প্রকাশ্যে হাতির দাঁত বিক্রি হয়। এশিয়া এবং আফ্রিকাতে আইন প্রয়োগকারীরা প্রতি বছর ৫০০ কেজির মতো হাতির দাঁত জব্দ করে। এতেই বোঝা যায় কতগুলো হাতিকে হত্যা করা হয়ে থাকে।

তবে জব্দ করার চেয়ে অনেকগুণ চীনের মূল ভূখণ্ডে, হংকং, লাওস, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন বা মালয়েশিয়ায় গোপনে বিক্রি করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর কয়েক হাজার হাজার হাতি অবৈধভাবে হত্যা করা হয়, রফতানির জন্য কয়েকশ টন হাতির দাঁত প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু মাত্র ১০ টন প্রতিবছর ধরা পড়ে।

গত দশ বছর ধরে অবৈধ বনরুইয়ে বাণিজ্য এতই বেড়েছে যে, ১০ লাখেরও বেশি এ প্রাণীকে হত্যা করা হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য উদ্বেগের আরেকটি নাম হল বাঘ। বাঘের চামড়া, পাশাপাশি অন্যান্য এশিয়ান বড় বিড়ালের চামড়াগুলি সাজসজ্জা এবং উপহারের জন্য ব্যবহৃত হয়। আর চামড়া ছাড়া সম্পূর্ণ মাংস হাড় ব্যবাহার হয় যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধে। যদিও এ ওষুধের কোনোও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

অন্যদিকে বাতের ব্যা্থার ওষুধে এশিয়ার কালো ভাল্লুকের পিত্তথলি ব্যবহার করতে এ প্রাণীর সংখ্যা ৩০ বছরে ৩০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে।

মজার বিষয় হল এ সকল অবৈধ প্রাণীর ভোক্তার ৯০ শতাংশই হল চীনের মূল ভুখণ্ডের। কিন্তু তারা এ পণ্য কিনতে ও ব্যবহার করতে টুরিস্ট সেজে আসেন হংকংয়ে।

ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং ক্রমবর্ধমান লাওস এবং মালয়েশিয়া প্রধান ট্রানজিট হাব। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত মূল ট্রানজিট পয়েন্টের মধ্যে রয়েছে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং কম্বোডিয়া।

   

সংবাদ পাঠের মাঝেই গরমে অজ্ঞান সংবাদ পাঠিকা!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অঞ্চলজুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা রয়েছে। সেখানে অসহনীয় গরমে কাহিল সবাই। একাধিক জেলার তাপমাত্রা চল্লিশেরও উপরে। দাবদাহের এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলছে না!

এই তীব্র গরমের কারণে লাইভ সংবাদ পাঠের মাঝেই জ্ঞান হারিয়েছেন কলকাতা দূরদর্শনের সংবাদ পাঠিকা লোপামুদ্রা সিনহা। বাংলা টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ তিনি। মিঠাইসহ লোপামুদ্রা কাজ করেছেন একাধিক হিট মেগাসিরিয়ালে।

সিরিয়ালের এই পরিচিত অভিনেত্রী দীর্ঘদিন দূরদর্শনে সংবাদ পাঠও করেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে অসুস্থতার কথা জানান লোপামুদ্রা নিজেই।

তিনি তার ফলোয়ার্সদের বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে নিউজ বুলেটিন পড়ার সময় মারাত্মক গরমে অসুস্থবোধ করছিলাম। লাইভ নিউজ চলার সময় আমার বিপি (রক্তচাপ) মারাত্মক কমে যায় এবং আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। বেশকিছুক্ষণ ধরেই আমার শরীর খারাপ লাগছিল। মনে হচ্ছিল একটু পানি খেলে ঠিক হয়ে যাবে। আমি কোনওদিন পানি নিয়ে সংবাদ পড়তে বসি না। সেটা ১০ মিনিটের নিউজ হোক বা আধ ঘন্টার, কখনও প্রয়োজন পড়েনি। ফ্লোর ম্যানেজারকে ইশারা করে জলের বোতল চাই। কিন্তু, সেই সময় কোনও বাইট চলছিল না। ফলে আমি পানি খেতে পারচ্ছিলাম না। অবশেষে একটা বাইট আসায়, পানি খাই।’

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে লোপামুদ্রা আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল বাকি চারটা নিউজ স্টোরি আমি শেষ করতে পারব। দুটি কোনওরকমে কমপ্লিট করি, তিন নম্বরটা হিট ওয়েভের ওপর স্টোরি ছিল। সেটা পড়বার সময়ই আমার আস্তে আস্তে কথাটা জড়িয়ে যাচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম আমি শেষ করতে পারব, নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু না, ওই স্টোরিটার সময় আমি আর কিছুই দেখতেই পাচ্ছিলাম না। টেলিপ্রমটারটা আবছা হতে হতে শেষে আমি জ্ঞান হারাই।’

নিজের ২১ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম এমন ঘটনার সম্মুখীন হলেন লোপামুদ্রা। ওই সময় তার নিউজ প্রোডিউসার তৎক্ষণাৎ বুলেটিন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন।

;

মেক্সিকোতে দুই মেয়র প্রার্থীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেক্সিকোতে এক দিনে দুই মেয়র প্রার্থীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। দেশটিতে নির্বাচনের আগে সহিংসতা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।

আগামী ২ জুন মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেসনাল এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত সেখানে নিহত প্রার্থীর সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য তামাউলিপাস কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা মেয়র প্রার্থী নোয়া রামোস ফেরেটিজকে হত্যাকারী ব্যক্তির অনুসন্ধান শুরু করেছে।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে এবং তিনি ফুটপাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন।

পিআরআই পার্টির নেতা আলেজান্দ্রো মোরেনো সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমরা এই সহিংসতাকে মেনে নেব না।’

দ্বিতীয় নিহত প্রার্থীর নাম আলবার্তো গার্সিয়া। তিনি নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ওক্সাকার সান হোসে ইন্ডিপেন্ডেন্সিয়ার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।

রাজ্য নির্বাচনী বোর্ড গার্সিয়ার মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছে। বোর্ড গার্সিয়ার মৃত্যুকে হত্যা বলে অভিহিত করে বলেছে, এই ধরনের অপরাধ নির্বাচনের সময় হওয়া উচিত নয়।

মেক্সিকোতে সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত গ্রুপগুলো দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদদের হত্যা করেছে।

উল্লেখ্য, মেক্সিকোতে স্থানীয় পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বা পৌরসভার আয় থেকে অর্থ আদায় করার জন্য ড্রাগ কার্টেলরা প্রায়শই এই ধরনের হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর এপ্রিলের শুরুতে স্বীকার করে বলেছিলেন যে, কার্টেলগুলো প্রায়শই নির্ধারণ করতে চায় যে, কে মেয়র হিসাবে কাজ করবে।

তিনি বলেছিলেন, তারা একটি চুক্তি করে এবং বলে যে, তাদের মনোনীত কোন ব্যক্তি মেয়র হতে চলেছেন। এর বাইরে অন্য কেউ নির্বাচন করতে চাইলেই তাকে হত্যা করা হয়।

সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো সরকারকে প্রায় ২৫০ জন প্রার্থীর জন্য দেহরক্ষী সরবরাহ করতে বাধ্য করেছে। এক্ষেত্রে পৌরসভার পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

;

ইসরায়েলের ড্রোন হামলার পাল্টা জবাব ইরাকের 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের পর এবার ইরাকের বাগদাদের দক্ষিণের ব্যাবিলন প্রদেশের ক্যালসোর ইরানপন্থি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা ঘটে।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গভীর রাতে প্যারা মিলিশিয়া বাহিনীর সেনাঘাঁটিতে বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় এক সেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হামলার পাল্টা জবার দিতে ইসরায়েলের ইলাত শহরে পাল্টা ড্রোন হামলার দাবি করেছে ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ত প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালসোর সে স্থানটিতে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি ইরাকের ইরানপন্থী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস বা হাশেদ আল-শাবি বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করে থাকে।এই প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী ইরানের মদতপুষ্ট এবং প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে গঠিত।

মিলিশিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লোহিত সাগরের তীরবর্তী ইসরাইলের ইলাত শহরে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। সেনাঘাঁটিতে হামলার জবাবে  ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কালসো নামে একটি সেনাঘাঁটিতে অবস্থানরত পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের সেনাদের ওপর আকাশ থেকে বোমা হামলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র জানিয়েছে, কারা এ বিমান হামলার জন্য দায়ী তা জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে। ইরাকে অবস্থানরত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইরাকে কোনো মার্কিন সামরিক তৎপরতা ছিল না।’

গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ভোরে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। তবে এই দাবি অস্বীকার করে ইরান।

 

;

বুশরা বিবিকে টয়লেট ক্লিনার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরান খানের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান দাবি করেছেন, তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে টয়লেট ক্লিনার মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো হয়েছিল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের দুর্নীতির রেফারেন্সের শুনানির সময় ইমরান খান বিচারক নাসির জাভেদ রানাকে জানান, আদালত কক্ষে অতিরিক্ত দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে, যা একটি বন্ধ আদালতের পরিবেশ তৈরি করেছে।

শওকত খানুম হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আসিম ইউসুফ শিফা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে বুশরা বিবির পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে জেল প্রশাসন পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (পিআইএমএস) হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে অনড় বলেও জানান ইমরান খান।

তিনি আদালতকে জানান, বুশরা বিবির খাবারে টয়লেট ক্লিনার মেশানো হয়েছে। ফলে প্রতিদিনের পেট জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে।

আদালত শুনানি চলাকালীন ইমরানকে সংবাদ সম্মেলন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলে তার জবাবে খান বলেছিলেন যে তার বক্তব্যগুলো ভুলভাবে উদ্ধৃত হয়েছে এবং তিনি সেগুলো স্পষ্ট করার জন্য সাংবাদিকদের সাথে জড়িত ছিলেন।

শুনানির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে আদালত শালীনতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

;