আড়াই বছর পর মিলল সাগরে হারানো সচল ক্যামেরা



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
সমুদ্র নাকি সব ফিরিয়ে দেয়। সেটা সত্য প্রমাণিত হল জাপানের সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সেরিনা সুবাকিহারার জীবনে। বছর দু’য়েক পরে জাপানের একটি দ্বীপের সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া তার ক্যামেরাটি যখন উদ্ধার হল তাইওয়ানের সমুদ্র সৈকত থেকে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে মাসে জাপানের ইশিগাকি দ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন সেরিনা সুবাকিহারা। স্কুবা ডাইভিং করার সময় এক জন বন্ধুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তাকে সাহায্য করতে গিয়ে কোনো ভাবে হাত থেকে ফসকে যায় ডাইভিং কেসের মধ্যে ভরা ক্যামেরাটি। ওই ভাবে সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই তা ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। তবে বছর দু’য়েক বাদে তা খুঁজে পাওয়া গেল ১৫৫ মাইল দূরে, উত্তর তাইওয়ানের সুয়াও টাউনশিপ সমুদ্র সৈকত থেকে । তাইওয়ানের প্রাথমিক স্কুলের কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী সেই সৈকত থেকে উদ্ধার করে ক্যামেরাটি। স্কুলের তরফে সেখানে সমুদ্রের পাড় পরিষ্কার করার কাজে গিয়েছিল তারা। বছর এগারোর এক ছাত্র হঠাৎ দেখতে পায় সামুদ্রিক লতা ও ঝিনুকে জড়ানো কিছু একটা পড়ে রয়েছে, যা খানিকটা পাথরের মতো দেখতে। কৌতূহলের বশে তা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতেই ছাত্ররা বুঝতে পারে, সেটি আসলে ডাইভিং কেসে বন্দি একটা ক্যামেরা। তবে আশ্চর্যের বিষয় এই যে, ডাইভিং কেসে থাকার জন্য ক্যামেরাটিতে এক ফোঁটাও পানি ঢোকেনি। এমনকি তা পুরোপুরি অক্ষত হয়েছে। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যামেরাটি তাদের শিক্ষক পার্ক লি-কে দেখায়। ক্যামেরাতে কোনো নাম-ঠিকানা ছিল না। তবে তিনি সেখান থেকে ছবি দেখে তার কয়েকটি তার ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যামেরার মালিকের অনুসন্ধান শুরু করেন। এরপর সেই ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে ক্যামেরাটির মালিকের কাছ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। সেরিনা সুবাকিহারা তার ক্যামেরা খুঁজে পেয়ে যোগাযোগ করেন। ইতোমধ্যেই তার ক্যামেরাটি জাপান ছেড়ে তাইওয়ানে পৌঁছেছে। তবু ক্যামেরাটি খুঁজে দেওয়ায় তিনি যেন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে পারছেন না। এছাড়া ইন্টারনেটের কল্যানে এমন একটি কাজ সহজ হওয়ায়ও তিনি কৃতজ্ঞ বলে জানান।
   

বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে এখন তাদের লজ্জা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন শাহবাজ শরিফ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ অর্থ্যাৎ সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানকে দেশের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু তারা শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধিতে অসাধারণ অগ্রগতি করেছে।

শাহবাজ শরিফ বলেন, আমি তখন খুবই ছোট ছিলাম যখন...আমাদেরকে বলা হতো যে এটা আমাদের কাঁধে একটি বোঝা। আজ আপনারা সবাই জানেন, সেই ‘বোঝা কোথায় পৌঁছেছে (অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে)। এবং এখন আমরা যখন তাদের দিকে তাকাই, তখন আমরা লজ্জা বোধ করি।

বর্তমানে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক খাতের প্রায় সব সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে।

;

পাটনায় হোটেলে অগ্নিকান্ড, দগ্ধ হয়ে ছয়জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পাটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এখনও পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। ওই অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।

পাটনা রেল স্টেশনের কাছে অবস্থিত হোটেলের তিনটি ভবনে আগুন লাগে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মাধ্যমে ওই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।

আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ২০ জনকে নিরাপদে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।

হোটেল পলে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে অমিত হোটেলে এবং অন্য বাড়িতে। এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস।

আগুন নেভাতে ১৮টি দমকলের ইঞ্জিন কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই পুড়ে মৃত্যু হয় হোটেলে থাকা তিনজনের। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

এই বিষয়ে পুলিশ সুপার রাজীব মিশ্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‌২০ জন মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হোটেল থেকে। আগুনে পুড়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’‌

;

ইউক্রেনে সামরিক রসদ দ্রুত পাঠানোর উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোলাবারুদ, অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধের সরবরাহ দ্রুত ইউক্রেনে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিকে সমর্থন করার জন্য অনেক বিলম্বিত বিলে স্বাক্ষর করার পর বুধবার (২৪ এপ্রিল) এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মোট ৯৫ বিলিয়ন তহবিলের চূড়ান্ত অনুমোদিত বিলের মধ্যে কিয়েভের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের সম্মুখীন ইউক্রেনের জন্য কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক বিতর্কের পর এই অনুমোদন দেওয়া হলো।

জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই সপ্তাহান্তে প্রতিনিধি পরিষদে এবং সিনেটে অনুমোদিত জাতীয় সুরক্ষা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছি।’

আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে শিপমেন্টগুলো শুরু হবে বলে নিশ্চিত করছেন তিনি।

বাইডেনের বক্তব্যের কয়েক মিনিট পর পেন্টাগন নতুন তহবিল ব্যবহার করে কিয়েভের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, আর্টিলারি রাউন্ড, হাইমার্স রকেট লঞ্চারের জন্য গোলাবারুদ, ট্যাঙ্ক-বিরোধী অস্ত্র এবং সাঁজোয়া যান।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিল পাসের পরপরই দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বিল অনুমোদনের জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কংগ্রেস এবং সমস্ত আমেরিকানদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের দীর্ঘস্থায়ী অনুরোধ পূরণ করে মার্চের সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসাবে ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের অনুরোধে তাদের অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য শুরুতে এটি ঘোষণা করিনি।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চলতি মাসে ইউক্রেন হাতে পেয়েছে।’

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

;

ইউরোপ মরণশীল, এটি মারা যেতে পারে : ইমানুয়েল মাখোঁ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে অস্তিত্বের হুমকির সম্মুখীন হয়েছে ইউরোপ।’

তিনি মহাদেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের উপর কম নির্ভরশীল একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষা কৌশল গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

তিনি ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার আচরণকে আগ্রাসী বলে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘মস্কোর সীমানা কোথায় তা এখন আর স্পষ্ট নয়।’

মাখোঁ রাশিয়া এবং চীন উভয়ের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তার বাণিজ্য নীতি সংশোধন করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউরোপ আজ মরনশীল এবং এটি মারা যেতে পারে।’

তিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র পাওয়ার ঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আগামী দশকে ইউরোপের দুর্বল হয়ে যাওয়ার বা এমনকি মরে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।’

ম্যাক্রোঁ অর্থনীতি এবং প্রতিরক্ষায় ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ইউরোপকে তার নিজের ভাগ্যের মালিক হতে হবে। কারণ, মহাদেশটি অতীতে শক্তির জন্য রাশিয়া এবং নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ইউরোপীয় প্রতিরক্ষার কৌশলগত ধারণা তৈরি করতে হবে।’

;