মেক্সিকো সীমান্ত ট্র্যাজেডি: বাবার ভুলে মেয়ের মৃত্যু
মেক্সিকো সীমান্তে বাবা ও মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য তাদের নিজেদেরকেই দায়ী করেছেন মার্কিন সরকারের ইমিগ্রেশন অফিস।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, হৃদয়বিদারক ছবিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির প্রতীকী হয়ে উঠেছে বলে নির্বাহী ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ক্যান কিউকেনেলি অবহিত করা হয়।
তিনি জবাবে বলেন, আসলে বিষয়টি ঠিক বিপরীত। সীমান্তে এই সকল ট্রাজেডির জন্য দায়ী হলো ঐসব বাবারা, যারা ইমিগ্রেশনের নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে নদী পার হয়।
মৃত অস্কার আলবার্ট মার্টিনেজ এবং তার মেয়ে ভ্যালেরিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাবার এই ভুলের জন্য শুধু তিনি মারা যাননি তার মেয়েও মর্মান্তিক ঘটনার স্বীকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত না আমরা অভিবাসন নীতির সুষ্ঠু প্রয়োগ করতে পারব, ততদিন পর্যন্ত বাবারা বিপজ্জনকভাবে সীমান্ত পারাপারের ঝুঁকি নিতে থাকবে।
এদিকে, মৃতের পরিবার ভিন্নমত প্রকাশ করছে।
মৃত অস্কারের স্ত্রী এবং ভ্যালেরিয়ার মা বলেন, মেক্সিকোর মাতামোরাস অভিবাসন ক্যাম্পে আমরা ক্রমশ হতাশ হয়ে উঠছিলাম। ক্যাম্পে তাপমাত্রা ১১০ ডিগ্রীতে পৌঁছেছিল। আমরা মার্কিন বন্দরে আশ্রয় চেয়েছিলাম এবং প্রবেশের অনুমতি চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, মে মাসের শেষের দিকে ২ হাজারেরও বেশি অভিবাসী মারাত্মক ক্ষুধা ও খাদ্য সংকটে ভুগছিল। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৩ জনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়, যেখানে দিনে কয়েক হাজার আবেদন পত্র জমা পড়ে।
তিনি ওইদিন (২৬ জুন) রাতের ঘটনা বর্ণনা করতে যেয়ে বলেন, অস্কার আলবার্ট ভ্যালেরিয়াকে কাঁধে নিয়ে পানিতে নেমে পড়েন এবং খুব দ্রুত তিনি মুল ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন। তারপরই তিনি তার মেয়েকে হারিয়ে ফেলেন। পরে তিনি তার মেয়েকে দেখা মাত্রই উদ্ধার করতে চলে যান। ঠিক তখনই একটা তীব্র স্রোত তাদেরকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন,