আইএসের বাংলাদেশি তরুণীর অস্ট্রেলিয়ায় আজীবন কারাদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সোমা। ছবি: সংগৃহীত

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সোমা। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্যা ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) নাম দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় নিজের আশ্রয়দাতাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি তরুণীকে আজীবন (৪২ বছর) কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির ভিক্টোরিয়া স্টেটস সুপ্রিম কোর্ট।

বুধবার (৫ জুন ) আদালত মোমেনা সোমা নামে ২৬ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি তরুণীর বিচারের রায় দেন।

২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রজার সিঙ্গারনভেলুকে ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টায় আটক হন সোমা। একই বছরের ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের পর মাত্র ৮ দিনের মাথায় এই হত্যা চেষ্টা করেন। রজার সিঙ্গারনভেলুকে রান্না ঘরের ছুরি দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আদালতে বিচারের রায় ঘোষণার সময় সোমা এবং বাদী রজার সিঙ্গারনভেলু উভয়ই উপস্থিত ছিলেন।

রায় ঘোষণার সময় সোমাকে উদ্দেশ্য করে বিচারক লেসলে টেইলর বলেন, 'আপনি যা ঘটিয়েছেন, বলেছেন এবং তাদেরকে (আইএসআইএস) সহযোগিতা করার প্রচেষ্টা প্রমাণিত।' আদালত ৩১ বছর এবং ৬ মাসের প্যারোল ছাড়া মোট ৪২ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন সোমাকে। আজীবন কারাদণ্ডের সর্বোচ্চ রায় তাকে প্রদান করা হয়েছে।

বিচারক সোমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিটিতে তার কার্যকলাপ মারাত্মক ভীতি সঞ্চার করে।'

'অথচ তারা (আইএসআইএস) তোমাকে শহীদ বানাতে পারেনি। তারা তোমাকে ইসলামের আদর্শের অংশ না বানিয়ে একজন ঘৃণীত অপরাধী হিসেবে তৈরি করেছেন।'

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, সোমা যখন ঢাকায় বসবাস করতেন, সেই সময় ২০১৩ সালে আইএসআইএসের (সংক্ষেপে ইসলামিক স্টেট-আইএস) প্রতি আকৃষ্ট হন এবং জড়িয়ে পড়েন। 

সরকার পক্ষের আইনজীবী আরও জানান, সিরিয়ার আইএসআইএস অধ্যুষিত এলাকায় প্রবেশের লক্ষ্য নিয়ে তুরস্কে পড়াশোনার পরিকল্পনা করেন সোমা। তবে সেখানে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর মেলবোর্নের লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করেন।

আদালত জানান, অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের পর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য, 'আবাসিক বাসস্থানে অবস্থান' প্রকল্পের অধীনে একটি স্থানীয় পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন তিনি। একই সঙ্গে ওই পরিবারের ওপর হামলার ছক আঁকতে থাকেন।

তিনি ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে অন্ধকারে দেখার জন্য বিশেষ চশমা কেনেন। ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখে ওই দম্পতি বাসায় ছিলেন না। এই সময়টায় আশ্রয়দাতা পরিবারের কিছু জিনিসে বারবার আঘাত করে আক্রমণের রিহার্সেল করেন সোমা।

পরিবারটি বাসায় ফিরলে তাদের চোখে এই ধরনের কিছু বিষয় ধরা পড়ে এবং তারা শিক্ষার্থীদের বাসস্থান প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সোমাকে সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেন৷

আদালত জানান, অনলাইনে আইএসআইএসের ভিডিও দেখার তিনদিন পরে ৯ ফেব্রুয়ারি রজার সিঙ্গারনভেলুকে আক্রমণ করেন তিনি এবং ছুরি দিয়ে হামলা চালান। তবে কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

রজার সিঙ্গারনভেলু মালয়েশিয়া ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। আদালতের বাইরে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, এই ধরনের আঘাতের পরও তার নিজের বেঁচে থাকাটা বিস্ময়! এছাড়াও সোমা কীভাবে অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের ভিসা পেলেন সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমরা মালয়েশিয়া থেকে আরেকটু ভালো জীবনযাপন এবং শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অস্ট্রেলিয়া এসেছি। তিনি (সোমা) অনেক দেশে বিপদজনক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরও কীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমোদন পান?'

   

দুর্নীতি মামলায় তদন্তের মুখোমুখি মাহাথির ও তার ছেলেরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেছেন, তারা এমন একটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছেন যে মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ও তার ছেলেদের নাম রয়েছে।

মিডিয়া সংস্থাগুলোর দ্বারা প্রকাশিত অফশোর আর্থিক এবং ব্যবসায়িক রেকর্ডগুলোর তদন্তের অংশ হিসাবে গত জানুয়ারিতে মাহাথিরের ব্যবসায়ী পুত্র মিরজান এবং মোখজানিকে তাদের সম্পদের পরিমান ঘোষণা করার নোটিশ দিয়েছিল দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন।

রয়টার্স জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন প্রধান কমিশনার আজম বাকি বৃহস্পতিবার মাহাথির বা তার ছেলেদের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন।

তিনি এক মন্তব্যে টেলিভিশন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে তদন্ত শেষ হতে দিন। একটি উপযুক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, যখন আমরা মামলার ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দীর্ঘদিনের শত্রু ৯৮ বছর বয়সি মাহাথিরের সঙ্গে মিত্রতা রয়েছে এমন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে কমিশন বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলা চালু করেছে।

তবে, আনোয়ার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের টার্গেট করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘তদন্তগুলো উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি মোকাবেলায় সরকারের প্রচেষ্টার অংশ।’

;

মোদি এবং রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ ছাড়াও এ বিষয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির সভাপতিকে নোটিশ পাঠিয়ে দুই দলের দুই তারকা প্রচারককে সাবধান করার জন্যও বলেছে কমিশন।

শুধু তাই নয়, মোদি এবং রাহুলকে কী বলে সাবধান করা হলো, সেটা চিঠি লিখে জানানোর নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে ওই চিঠিতে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে দল এবং দলের তারকা প্রচারকদের দায়িত্বও মনে করিয়ে দিয়েছে নির্বাচনী সংস্থাটি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মোদি এবং রাহুল-উভয়ের বিরুদ্ধেই ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশও জমা পড়েছে।

গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ভোটপ্রচারের জন্য রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় একটি জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন যে, কংগ্রেস তার ইস্তাহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তিনি বলেছিলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।’

এর পরে সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে গিয়ে মোদি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির উপরে। ক্ষমতায় এলে এরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে।’

এদিকে, সম্প্রতি হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল মন্তব্য করেন যে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে। সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই বাঁশওয়াড়া এবং আলিগড়ে ওই মন্তব্য করেন মোদি। মোদির সেই মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয় কংগ্রেস এবং বামেরা। কমিশনের কাছে অভিযোগও জমা দেন তারা।

অন্যদিকে, রাহুলের বিরুদ্ধে ভাষা এবং অঞ্চলের ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপিও। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, দেশের দারিদ্র বৃদ্ধি নিয়ে রাহুল যে দাবি করে চলেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাহুলের বিরুদ্ধে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করার অভিযোগও তোলে বিজেপি।

;

গণকবরের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের অবরোধে ধ্বংস হওয়া গাজার দুটি হাসপাতালে গণকবর আবিষ্কারের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

খবরটি বুধবার (২৪ এপ্রিল) রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ২৪ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীরা খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যার শিকার এবং গণকবরে প্রায় ৩৪০ জনের মরদেহের সন্ধান পেয়েছেন।

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের চত্বরেও দুটি গণকবরে প্রায় ৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জবাব চাই। আমরা এটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত দেখতে চাই।’

গণকবরগুলো আবিষ্কারের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে পরিস্থিতির স্বাধীন তদন্তে জাতিসংঘের দাবি জোরালো হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর নাদাভ শোশানি বলেছেন, ‘নাসেরের কবরটি কয়েক মাস আগে গাজাবাসীরা খনন করেছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, ফিলিস্তিনিদের দেওয়া কবরের মরদেহগুলো জিম্মিদের সন্ধানকারী সেনারা পরীক্ষা করেছিল। তবে এই হত্যাকান্ডের পেছনে ইসরায়েলের সেনারা ছিল এমন অভিযোগের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি তিনি।

গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় চলমান যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষা পাওয়া হাসপাতালগুলো বারবার ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে।

উল্লেখ্য, হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক নির্বিচার এই হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৪,২৬২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;